একই দিনে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশে ‘ডেসপিকেবল মি ৪’

‘ডেসপিকেবল মি ৪’ সিনেমার পোস্টার। আইএমডিবি

অ্যানিমেশন সিনেমা ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘ডেসপিকেবল মি’র ভক্ত ছড়িয়ে আছে সারা দুনিয়ায়। ২০১০ সালে সিরিজের প্রথম ছবি মুক্তি পায়। ২০১৩ সালে আসে দ্বিতীয় কিস্তি; তৃতীয় কিস্তি মুক্তি পায় ২০১৭ সালে। সব কটি ছবিই গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করে। ভক্তদের জন্য সুখবর, আগামীকাল মুক্তি পাচ্ছে এই সিরিজের চতুর্থ সিনেমা ‘ডেসপিকেবল মি ৪’।

৩ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ছবিটি। একই দিনে বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সেও মুক্তি পাবে এই ছবি। ইউনিভার্সেল পিকচার্সের পরিবেশনায় ছবিটি পরিচালনা করেছেন ক্রিস রেনড। গ্র-এর কণ্ঠ দিয়েছেন স্টিভ ক্যারেল। এ ছাড়া বিভিন্ন চরিত্রে কণ্ঠ দিয়েছেন ক্রিস্টেন উইগ, মিরান্ডা কসগ্রোভ, স্টিভ কুগান, ক্রিস রিনাউড, ডানা গাইয়ের এবং পিয়েরে কফিন।

আরও পড়ুন

ছবিটি দেখার জন্য যেন তর সইছে না ভক্তদের। এই উন্মাদনা আরও বেশি বাড়িয়ে দিয়েছে ছবির ট্রেলার। মুক্তির দ্বিতীয় দিনেই ইউনিভার্সেল পিকচার্সের ইউটিউব চ্যানেলে ট্রেলারটি দেড় মিলিয়নের মতো দর্শক দেখে ফেলেছে।

আগের ছবিতে দেখা গিয়েছিল, ভিলেনগিরি ছেড়ে দিয়ে তিনজন পালক মেয়ে এবং স্ত্রীর সঙ্গে সুখে দিন কাটাচ্ছে গ্র। অ্যান্টিভিলেন লিগে একটি চাকরিও জুটিয়ে নিয়েছে সে। স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে মিলে অন্যান্য ভিলেনকে প্রতিরোধ করার মিশনে নামে মাঝেমধ্যে। স্বামী গ্র ও স্ত্রী লুসির একত্র কোড নাম দেওয়া যায় গ্রুসি। এখানে ব্র্যাট নামে নতুন এক সুপারভিলেনের আগমন ঘটে। ছোটবেলায় সে হলিউডের একটি টিভিতে সুপারভিলেন হিসেবে অভিনয় করত। সে ওই চরিত্রের সঙ্গে নিজেকে মিলিয়ে ফেলেছিল। কিন্তু একসময় এই অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়, লোকজন ভুলে যেতে থাকে তাকে।

এই ঘটনাকে অপমান হিসেবে গ্রহণ করে সে এবং প্ল্যান করতে থাকে একদিন টিভির সেই ভিলেন রূপ নেবে বাস্তবে। আর তখন প্রতিশোধ হিসেবে পুরো হলিউডকে ভূমি থেকে উপড়ে নিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হবে মহাশূন্যে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সে কাজও করতে থাকে, এমনসব প্রযুক্তি সে তৈরি করে, যা দিয়ে এসব করা সম্ভব। এমন অবস্থায় তার সাহায্য দরকার গ্র পরিবারের।

এ কিস্তিতে দেখা যাবে কিছু নতুন মুখ। তার মধ্যে গ্রæও লুসির শিশুপুত্র গ্র জুনিয়র অন্যতম। এবারের গল্পে দেখা যাবে, ১৯৮৫ সালের প্রাক্তন ছাত্রদের মধ্যে সেরা ছাত্রের পুরস্কারটি ম্যাক্সিম লে মালকে দেওয়া হয়, যিনি নিজেকে তেলাপোকার দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দিয়ে সজ্জিত করেছেন। কিন্তু গ্রæএবং অ্যান্টিভিলেন লিগ (এভিএল) এজেন্টরা অনুষ্ঠানের শেষে তাকে গ্রেপ্তার করে। জেল থেকে পালানোর পর সে ও তার বান্ধবী ভ্যালেন্টিনা তার শিশুপুত্র গ্রæজুনিয়রসহ গ্রæএবং তার পরিবারের প্রতি প্রতিশোধ নিতে চায়। এভিএল তাদের সুরক্ষার জন্য পুরো পরিবারকে নতুন পরিচয়ে, মাত্র তিনজন মিনিয়ন্সসহ স্থানান্তরিত করে। বাকি মিনিয়ন্স এভিএল সদর দপ্তরে স্থানান্তরিত হয়।