অভিনেতা রাসেল ব্র্যান্ডের বিরুদ্ধে চার নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ
ব্রিটিশ অভিনেতা, কমেডিয়ান রাসেল ব্র্যান্ডের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণ ছাড়াও যৌন নিপীড়ন ও মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। ২০০৬ থেকে ২০১৩—খ্যাতির শিখরে থাকা অবস্থায় অভিনেতা এই অপরাধগুলো করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম সানডে টাইমস ও চ্যানেল ৪-এর এক যৌথ অনুসন্ধানে এ তথ্য উঠে এসেছে। সানডে টাইমস জানিয়েছে, ২০১৯ সাল থেকে যৌথভাবে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে তারা।
বিবিসি জানিয়েছে, ২০০৬ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে চারজন নারীর বিরুদ্ধে এই অপরাধগুলো ঘটিয়েছেন রাসেল ব্র্যান্ড। তবে অভিনেতা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ‘পরস্পরের সম্মতির ভিত্তিতেই তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক হয়েছে।’
যে সময় রাসেল ব্র্যান্ড অপরাধগুলো সংঘটন করেছেন, তখন তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। এর মধ্যে বিবিসি রেডিও ২ ও চ্যানেল ৪-এর হয়ে কাজ করেছেন; সঙ্গে হলিউড সিনেমায় অভিনয় তো ছিলই।
নির্যাতনের শিকার এক নারী জানিয়েছেন, ১৬ বছর বয়সী রাসেল ব্র্যান্ডের কাছে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিনি; তখনো তিনি স্কুলের শিক্ষার্থী ছিলেন।
অন্য দুই অভিযোগকারী জানিয়েছেন, তাঁরা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন লস অ্যাঞ্জেলেসে। এক অভিযোগকারী জানিয়েছেন, ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর রেপ ক্রাইসিস সেন্টারে তাঁকে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল।
সানডে টাইমের প্রতিবেদন ও চ্যানেল ৪-এর তথ্যচিত্র প্রচারের পরই এক্সে (সাবেক টুইটার) নিজের প্রতিক্রিয়া জানান রাসেল ব্র্যান্ড। অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘যে সময়ে এই অভিযোগ উঠেছে, তখন আমি মূলধারার বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত সময় পার করছি। তখন সারাক্ষণই আমি খবরে ছিলাম। তখন অভিনয়ে ব্যস্ত ছিলাম, নিজের বই লেখা নিয়ে তুমুল ব্যস্ততা চলছিল।’ তিনি ‘সংগঠিত আক্রমণ’-এর শিকার বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেন রাসেল ব্র্যান্ড।
এই শতকের প্রথম দিকে স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ান হিসেবে খ্যাতি পান রাসেল ব্র্যান্ড। বিবিসি রেডিও ও চ্যানেল ৪-এ অনেক জনপ্রিয় চরিত্রে দেখা গেছে তাঁকে। ২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত জনপ্রিয় চ্যাট শো ‘বিগ ব্রাদার’স বিগ মাউথ’-এর সঞ্চালনা করেন; অনুষ্ঠানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।পরে তাঁকে দেখা যায় ‘ফরগেটিং সারাহ মার্শাল’-এর মতো হলিউড সিনেমাতেও। ২০১০ সালে পপ তারকা কেটি পেরিকে বিয়ে করেন রাসেল ব্র্যান্ড। তবে সেই বিয়ে টিকেছিল মাত্র দুই বছর।কয়েক বছর ধরে তিনি মূলত ইউটিউব ভিডিও তৈরি করছেন।