‘হ্যাপি বার্থডে প্রিয়তমা’ কথাটা অনেক বেশি পোস্ট হয়েছে: ইধিকা পাল

ইধিকা পালছবি : ইনস্টাগ্রাম
কলকাতার টিভি সিরিয়ালের নিয়মিত মুখ ইধিকা পাল প্রথমবার অভিনয় করলেন চলচ্চিত্রে। বড় পর্দায় তিনি অভিনয়ের সুযোগ পেলেন বাংলাদেশের শাকিব খানের বিপরীতে ‘প্রিয়তমা’ ছবিতে। আজ ইধিকার জন্মদিন। এ উপলক্ষে ‘প্রিয়তমা’য় অভিনয়ের অভিজ্ঞতাসহ নানা প্রসঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।

প্রশ্ন :

‘প্রিয়তমা’ ছবিটি মুক্তি পর প্রথম জন্মদিন। এবারের জন্মদিনের প্রথম প্রহর কীভাবে কাটল?

খুবই ভালো কেটেছে জন্মদিনের এবারের আয়োজন। কী বলব, ‘প্রিয়তমা’ মুক্তির পর ‘হ্যাপি বার্থডে প্রিয়তমা’ কথাটা অনেক বেশি পোস্ট হয়েছে। সবাই উইশ করছেন। অনেক শুভেচ্ছা পেয়েছি, পাচ্ছি। খুব ভালো লাগছে। দিনটা শুরু করেছি পরিবারের সঙ্গে। এরপর বৃদ্ধাশ্রমে গিয়ে সবার সঙ্গে দিনটা উদ্‌যাপন করেছি। সব মিলিয়ে ভালোই কেটেছে।

প্রশ্ন :

‘প্রিয়তমা’ ছবিতে আপনাকে শাকিব খানের প্রিয়তমা হিসেবে দেখা গেছে। তাঁর কাছ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা পেয়েছেন?

শাকিব খানের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ এসকে ফিল্ম থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। তা ছাড়া তাঁর কাছ থেকেও শুভেচ্ছা পেয়েছি। এমনকি আমার ‘প্রিয়তমা’ টিমের সবার কাছ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা পেয়েছি।

ইধিকা পাল
ছবি : ইনস্টাগ্রাম

প্রশ্ন :

এবারের জন্মদিনে এখন পর্যন্ত পাওয়া সেরা উপহার কী?

‘প্রিয়তমা’ দেখার পর সবাই যেভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন, এটাই সেরা উপহার। কিংবা বলা যায়, এটাই হয়তো এত বছরের সেরা উপহার।

প্রশ্ন :

শাকিব খানের সঙ্গে চলচ্চিত্রে অভিষেকের পর আপনার ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে অনুসারীসংখ্যায় কোনো পরিবর্তন এসেছে?

ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকের অনুসারী বাড়ে-কমে। ওঠানামা তো করতেই থাকে। শাকিব খানের সঙ্গে ছবিতে অভিনয় শুরুর খবরের পর কিছুটা প্রভাব অবশ্যই পড়েছে। আমিও পুরো ব্যাপারটা ভীষণ উপভোগ করছি।

‘প্রিয়তমা’ সিনেমায় শাকিব খান ও ইধিকা পাল
ছবি : পরিচালকের সৌজন্য

প্রশ্ন :

শাকিব খানের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

নিঃসন্দেহে খুব ভালো ছিল। একটা দেশের সবচেয়ে বড় সুপারস্টারের সঙ্গে কাজ করাটা আসলেই অসাধারণ।

প্রশ্ন :

সিনেমার শুটিংয়ের কারণে মাসখানেকের বেশি সময় আপনাদের প্রতিদিনই দেখা–সাক্ষাৎ হয়েছে। আপনার দৃষ্টিতে শাকিব খান কেমন?

আমি তো শুটিংয়ের কারণে বেশ কিছুদিন তাঁকে কাছ থেকে দেখেছি। আমার মনে হয়েছে, শাকিব খান খুবই পেশাদার অভিনেতা। শুধু পেশাদারই নন, খুব বিনয়ী স্বভাবের এবং নিরহংকার তিনি।

প্রশ্ন :

‘প্রিয়তমা’ ছবির শুটিং শেষে কলকাতায় ফেরার পর নিশ্চয়ই সেখানকার বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়েছে। তাঁরা আপনার বাংলাদেশের কাজের অভিজ্ঞতার কথা জানতে চেয়েছেন?

একদমই তা–ই। বন্ধুরা অনেক কিছু জানতে চেয়েছে। তাদের সঙ্গে অনেক গল্প করেছি। ওখানে কেমন কাজ করেছি, কেমন অভিজ্ঞতা হয়েছে এসব শুনতে চেয়েছে। আমিও আমার সুন্দর সুন্দর অভিজ্ঞতা ওদের সঙ্গে ভাগাভাগি করেছি।

প্রশ্ন :

বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে ‘প্রিয়তমা’ ছবিটি দেখতে লম্বা লাইন চলছে। কেউ কেউ আবার টিকিটও পাচ্ছেন না। প্রথম ছবি নিয়ে কি স্বপ্নটা এমন ছিল? এ সময় বাংলাদেশে থাকতে পারলে কেমন লাগত?

বাংলাদেশে এ সময় থাকতে পারলে তো খুবই ভালো লাগত। আর কিছুটা প্রত্যাশা তো ছিলই, কারণ, শাকিব খানের বিপরীতে কাজ করেছি। শাকিব খান তো বাংলাদেশের বড় তারকা। মানুষের এত ভালোবাসা ও উচ্ছ্বাস দেখে আরও বেশি ভালো লাগছে।

‘প্রিয়তমা’ সিনেমায় শাকিব খান ও ইধিকা পাল
ছবি : পরিচালকের সৌজন্য

প্রশ্ন :

কলকাতার অনেকেরই পূর্বপুরুষদের শিকড় বাংলাদেশে। আপনারও কি তেমন? আপনার জন্ম আর বেড়ে ওঠা কোথায়?

আমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা কলকাতায়। তবে আমি দাদুর কাছে গল্প শুনেছি, আমাদের পূর্বপুরুষেরা বাংলাদেশে থাকতেন, সম্ভবত তাঁরা ঢাকায় থাকতেন। তো বাংলাদেশের সঙ্গে আমার একটা যোগাযোগ আছে। তবে এই মুহূর্তে পরিবারের কেউ বাংলাদেশে থাকেন না।

প্রশ্ন :

আপনার পরিবারের কেউ কি শোবিজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন? নাকি আপনিই প্রথম? আর প্রথম হলে কার প্রেরণায় এই পথচলা?

আমার পরিবারের কেউই শোবিজের সঙ্গে ছিলেন না, আমিই প্রথম। বিভিন্ন অভিনেতা ও অভিনেত্রীর কাছ থেকে প্রতিনিয়ত অনুপ্রাণিত হই, যাঁদের কাছে থেকে অনেক কিছু শিখেছি, যাঁদের দেখেও অনেক কিছু শিখেছি। এখনো শিখছি। প্রতিনিয়ত তাঁরা আমাকে কাজ করার প্রেরণা জোগান।