সম্প্রতি 'ব্যাচ ২০০৩' নামের একটি ছবিতে অভিনয় করে আলোচিত আবদুর নূর সজল। সহকর্মীদের মতে, ছবিতে একেবারে অন্য রূপে পাওয়া গেছে তাঁকে। একটি স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাওয়া ছবিটির পরিচালক পার্থ সরকার। নতুন এ ছবিসহ অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হলো তাঁর সঙ্গে।
প্রশ্ন :
একেবারেই নীরবে ছবিটির কাজ করলেন কেন? বিশেষ কোনো কারণ ছিল?
আমাদের সবার একটাই চাওয়া ছিল—ছবিটির কোনো কিছুই যেন আগে থেকে কেউ আঁচ করতে না পারে। আমরা ভেবেছি, ছবিটি দেখার সময়ই যেন সবাই সবকিছু জানতে পারে। তাই সবকিছু নীরবেই করতে হয়েছে। আমরা সফল হয়েছি, ছবিটি দর্শক ভালোভাবে গ্রহণ করেছেন। সবাই খুব যত্ন নিয়ে কাজ করছিলাম। সবাই সবার জায়গা থেকে সেরাটুকু দিয়েছি। তবে যে পরিমাণ প্রশংসা পাচ্ছি, তা কখনো ভাবিনি। ভক্তরা যেভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, তাতে আমি এবার ভক্তদেরও ভক্ত হয়ে গেছি। আমার সহকর্মীরাও উদারভাবে প্রশংসা করছেন, এতে ভীষণ অনুপ্রাণিত হয়েছি।
প্রশ্ন :
নেতিবাচক চরিত্রে আগেও অভিনয় করেছেন। এটি কোন দিক দিয়ে আলাদা?
নেগেটিভ চরিত্রে আগেও অভিনয় করেছি, তবে এ চরিত্রটা আমার জন্য একেবারে আলাদা। এতে নিষ্ঠুরতার পাশাপাশি ভালোবাসাও ছিল। সবচেয়ে মজার ব্যাপার ছিল, গল্পটায় কাজ করার প্রধান কারণ, এখানে একটা সামাজিক বার্তা আছে। এই ছবির জন্য আমরা অনেক পরিশ্রম করেছি। সারা রাত শুটিং করতাম। টানা ১৯ দিন ঘুমিয়েছি মাত্র দুই ঘণ্টা করে।
প্রশ্ন :
আগে বড় পর্দায় ছবি মুক্তি পেয়েছিল। সবাই হলে গিয়ে ছবি দেখেছেন। এবার অনলাইনে। এ নিয়ে কোনো আক্ষেপ আছে?
এই ছবিও বড় পর্দায় মুক্তির পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু লকডাউনের কারণে সিদ্ধান্ত বদলাতে হয়েছে। অনলাইন সময়ের দাবি। আমার অবশ্য বড় পর্দায় ছবি দেখতেই বেশি ভালো লাগে। বড় পর্দা এবং অনলাইনে একত্রে সমন্বয় করে ছবি মুক্তি দেওয়া গেলে আরও ভালো হয়।
প্রশ্ন :
সাধারণত ঈদের মতো উৎসবে আপনার নাটকের সংখ্যা বেশি থাকে। এবার কী অবস্থা?
এবার কোনো কাজই করছি না। করোনার যে অবস্থা, তাতে কাজ করতে বাইরে বের হওয়া পরিবার ও সহকর্মীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। সবার সুরক্ষার কথা ভেবে থেমে আছি। তবে পুরোনো কিছু নাটক প্রচারিত হতে পারে।
প্রশ্ন :
সবার একটাই প্রশ্ন—সজল বিয়ে করবেন কবে?
এই প্রশ্নের আর উত্তর দেব না। যখন করব, তখনই জানাব। তবে পাত্রী ঠিক করা আছে।