শিল্পী সম্মানিত হলে শিল্পও এগোবে: আলাউদ্দীন আলী
>প্রতিবারের মতো এবারও গুণীজন সংবর্ধনা দিচ্ছে সিটিব্যাংক এনএ বাংলাদেশ। ‘গানে গানে গুণীজন সংবর্ধনা’র ১৪ তম আসরে এবার সম্মাননা জানানো হচ্ছে প্রখ্যাত গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক আলাউদ্দীন আলীকে। আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি হবে। গতকাল এই আয়োজন নিয়েই কথা হয় প্রখ্যাত এই সংগীতজ্ঞের সঙ্গে।
গানে গানে গুণীজন সংবর্ধনা গ্রহণ করতে যাচ্ছেন আপনি। কেমন লাগছে?
ভালো লাগছে। যেকোনো স্বীকৃতিই একজন শিল্পীর জন্য সম্মানের। তাঁর কাজের মূল্যায়ন। তাঁকে আরও এগিয়ে যেতে উত্সাহিত করে। এই সম্মাননা দিয়ে আমাকে সম্মানিত করার জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ।
এর আগে তো শুধু কণ্ঠশিল্পীদেরই এই সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। এবার গানের অন্য শাখায়ও এই সম্মাননা দেওয়া হলো। বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন?
আমি একটু অবাকই হয়েছি। ১৩ বছর ধরে এই সম্মাননা শুধুই কণ্ঠশিল্পীদেরই দেওয়া হচ্ছে। সেই রীতি থেকে বেরিয়ে এবার গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক হিসেবে আমাকে দেওয়া হচ্ছে। এটি ভালো লক্ষণ। যখন আমাকে এই সম্মাননা দেওয়ার কথা বলা হয়, তখন আমি তাঁদের বলেছি, একটি গানের পেছনে শুধুই কণ্ঠশিল্পী থাকে না, থাকে বহু মানুষ জড়িত। অন্তত গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালকদের এ ধরনের সম্মাননা দেওয়া উচিত।
এ ধরনের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে শিল্পীদের সম্মানিত করার বিষয়টিকে কীভাবে দেখেন?
এটি খুবই ইতিবাচক। কারণ, শিল্পী সম্মানিত হলে শিল্পও এগোবে। কিন্তু আমাদের এখানে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে এ ধরনের উদ্যোগ খুবই কম। আমাদের দেশের অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানই রয়েছে, যারা শিল্পীদের তো সহযোগিতা করেই না, বরং এ দেশের মানুষের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে নেয়। তবে যারা ব্যতিক্রম, তারা আমাদের আশাবাদী করে।