২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

দুই দিন কাজ করে চার দিন ব্রেক নিই

‘মা-বাবা ভাই বোন’ নামে এনটিভিতে প্রতি রবি, সোম ও মঙ্গলবার প্রচারিত হচ্ছে একটি ধারাবাহিক নাটক। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি এই নাটকের পরিচালক হাসান রেজাউল। অভিনয় করেছেন তাসনুভা তিশা। সম্প্রতি চরকিতে মুক্তি পাওয়া ‘বকুল ফুল’-এও তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। এসব নিয়ে কথা হলো তাঁর সঙ্গে

প্রশ্ন :

আপনার মুঠোফোন এই বন্ধ এই খোলা।

আমি যেখানে শুটিং করছি, এখানে ফোনের নেটওয়ার্কের খুবই সমস্যা।

তাসনুভা তিশা
ছবি : সংগৃহীত

প্রশ্ন :

কোথায় শুটিং করছেন?

বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায়, একটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। আমরা যে জায়গায় শুটিং করছি, ঠিক তার আশপাশে ফোনের নেটওয়ার্ক খুব যায় আসে।

প্রশ্ন :

নাটক, টেলিছবি, নাকি চলচ্চিত্রের শুটিং?

ভালোবাসা দিবসের একটা নাটকের শুটিং করছি। কোন চ্যানেলের, কিছুই জানি না।

প্রশ্ন :

ভালোবাসা দিবসের নাটকের শুটিং শুরু করে দিয়েছেন?

কয়েক দিন আগেই শুরু করেছি। তবে কতগুলোর শুটিং করেছি, মনে নেই। অনেক আগের নাটকও প্রচারিত হতে পারে। আজ (সোমবার) যে নাটকের শুটিং করছি, স্ক্রিপ্টে নাম লেখা আছে ‘২৭, ২৮, ২৯’। এটা দিয়ে রোল নম্বর বোঝানো হয়েছে। বন্ধুত্বের গল্প।

তাসনুভা তিশা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

প্রশ্ন :

কোন ধরনের গল্পে অভিনয়ের প্রস্তাব পাচ্ছেন?

আমি নিজেই একটু ভালো গল্পে কাজ করতে চাচ্ছি। ভালোবাসার তো বিভিন্ন টার্ম আছে, সেখানে বন্ধুত্ব আরেকটা টার্ম। ভালোবাসা দিবসে আমরা নরমালি দেখি, বয়ফ্রেন্ড–গার্লফ্রেন্ডের প্রেম–ভালোবাসার গল্পে নাটক ও টেলিছবি তৈরি হয়। এটা বন্ধুদের মধ্যে বন্ডিংয়ের গল্প। তিন বন্ধুর চরিত্রে আমি, খায়রুল বাসার ও সাফা কবির অভিনয় করছি। এবার যে ধরনের গল্প পাচ্ছি, আগের মোস্টলি প্যাটার্নের। গল্প বলার ভিন্ন স্টাইল সে রকম পাচ্ছি না। তবে এখন পর্যন্ত যা করেছি, এটাই শুধু ভিন্ন মনে হচ্ছে।

প্রশ্ন :

এই ভালোবাসা দিবসের এত এত কাজ করছেন, আপনার কাছে ভালোবাসা মানে কী?

শান্তিপূর্ণ একটা ব্যাপার। আরামের একটা জায়গা।

প্রশ্ন :

আপনার সবচেয়ে আরামের জায়গাটা কোথায়?

আমার বাসায় (হাসি)। পৃথিবীতে ওটাই আমার সবচেয়ে বেশি আরামের জায়গা।

তাসনুভা তিশা
প্রথম আলো

প্রশ্ন :

চরকিতে মুক্তি পাওয়া ‘বকুল ফুল’–এর কেমন প্রতিক্রিয়া পেয়েছেন?

দারুণ। বেশ ভালো ছিল। মানুষ দেখে ভালো বলেছে। কারণ, সব ধরনের ইমোশনের ব্লেন্ড থাকলে আমরা যেকোনো কাজ উপভোগ করি। ওই জায়গা থেকে সিম্পল স্টোরি টেলিং অ্যাট দ্য সেম টাইম একটা সুন্দর মেসেজ ছিল।

প্রশ্ন :

ওয়েবে ও টেলিভিশনের কাজে কোনো পার্থক্য পান?

কিছুটা তো আছে। আমার কাছে মনে হয়, ওয়েবের কাজ একটু যত্ন করে বানানো হয়। কারণ, বাজেট ভালো থাকে। তুলনামূলক গল্প বলার স্টাইলটাও ভিন্ন। টেলিভিশন নাটকে অনেক ধরনের গল্প দেখানো যায়ও না, ওয়েবে চাইলে হয়তো দেখাতে পারি, তবে সেটা অবশ্যই গল্পের প্রয়োজনে।

প্রশ্ন :

সামনে নতুন কী কী কাজকর্ম করছেন?

ওয়েবের জন্য সকাল আহমেদের নতুন একটি কাজ করব। শিহাব শাহীনের পরিচালনায়ও একটি কাজের পরিকল্পনা চলছে।

প্রশ্ন :

মাসে কত দিন শুটিং করেন?

আমি ব্রেক নিয়েই কাজ করি। একটানা কাজ করতে ভালো লাগে না। দুই দিন কাজ করে চার দিন ব্রেক নিই। টায়ার্ড হয়ে যাই। মেন্টালি অনেক ক্লান্ত হয়ে যাই। তা ছাড়া প্রস্তুতির জন্যও সময় লাগে।

তাসনুভা তিশা
ছবি : সংগৃহীত

প্রশ্ন :

নতুন করে সংসার নিয়ে কোনো চিন্তা আছে?

এখন যে রকম আছি, চলতে থাকবে। ভালোই তো আছি, চলুক না।

প্রশ্ন :

আপনার কাছে জীবন মানে কী?

জীবন মানে বেঁচে থাকা, সুস্থ ও সুন্দরভাবে। যদিও একটু ডিফিকাল্ট। অনেক চ্যালেঞ্জ থাকে, অনেক ফাইটও করতে হয়। একজনকে ভালো-খারাপ সবকিছুর মধ্য দিয়ে যেতে হয়—এটাই আসলে জীবন।

প্রশ্ন :

এনটিভিতে তো প্রচারিত হচ্ছে আপনার অভিনীত ‘মা–বাবা ভাই বোন’ নাটকটি।

সংসারের নানান টানাপোড়েন, হাসি-আনন্দ আর দ্বন্দ্ব এই ধারাবাহিকের মূল উপজীব্য। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘মা–বাবা ভাই বোন’ উপন্যাসটির মূল পটভূমি ঠিক রেখে সময় ও চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে কিছুটা রূপান্তর করা হয়েছে। এই পরিচালকের সঙ্গে আগেও কাজ করেছি। নাটকের সহশিল্পীরাও চমৎকার। অনেক দিন আগে ‘নয়ছয়’ নামের পারিবারিক একটা গল্পের কাজ করেছিলাম। এরপর ‘বাকরখানি’ নামে আরেকটি কাজ করেছিলাম। পারিবারিক গল্পে দীর্ঘ বিরতির পর এই নাটকের কাজ করলাম।