ক্যামেরার সামনে না থাকলেও পেছনে থাকব
রেহানা মরিয়ম নূর ছবিতে অ্যানি চরিত্রে অভিনয় করেছেন আফিয়া তাবাসসুম। ২০১৮ সালে মডেল হিসেবে কাজ শুরু করে ২০১৯ সালে তিনি যুক্ত হন জীবনের প্রথম সিনেমায়। জানালেন নিজের অভিজ্ঞতা ও প্রতিক্রিয়া।
প্রশ্ন :
বড় পর্দায় নিজেকে দেখে কেমন লাগল?
বেশ ভালো। আমার বিশ্বাস, ছবিটা দ্বিতীয়বার দেখলে প্রথমবারের চেয়ে বেশি ভালো লাগবে। মুভির শুরুতে কেউ আমাকে চিনতে পারেননি। শেষ হওয়ার পর বেরিয়ে এসে সবাই আমার সঙ্গে কথা বলেছেন, এটা খুব ভালো লেগেছে।
প্রশ্ন :
মা–বাবা কী বললেন?
আম্মু সরল আর নরম মনের মানুষ। তিনি বলছিলেন, বাচ্চাটাকে বুঝিয়ে বললেই পারত। আমাদের দুই বোনকে তিনি এভাবেই বড় করেছেন। বাবা জটিল চিন্তাভাবনার জায়গাগুলো বুঝতে পারেন। তিনি সংস্কৃতি অঙ্গনের সঙ্গে জড়িত। তাঁর কাছে ছবিটা বেশি ভালো লেগেছে। তিনি বললেন, এ রকম অনেক ঘটনা ঘটে, যা মানুষ জানতে পারে না। এ রকম ঘটনা নিয়ে সিনেমা হওয়া দরকার ছিল।
প্রশ্ন :
সাদের দলে যুক্ত হলেন কীভাবে?
রেহানা মরিয়াম নূর ছবির সহকারী পরিচালক ইয়াসির ভাইয়া আমার সঙ্গে আগে থেকে যুক্ত ছিলেন। একবার হাসপাতাল থেকে ফিরছিলাম। এত অসুস্থ ছিলাম যে লিফটের ভেতরে বসে পড়েছিলাম। পাশে দাঁড়ানো বন্ধুটা ওই অবস্থায় আমার একটা ছবি তোলে। খুব সাধারণ একটা ছবি। ওই ছবিটা দেখেই ইয়াসির ভাইয়ার মনে হয়েছে, অ্যানি চরিত্রে আমাকে মানাবে।
প্রশ্ন :
মিডিয়ায় কবে থেকে কাজ করছেন?
২০১৮ সালে কাজ শুরু করেছি। মডেলিং করতাম, শুধুই ফটোশুট করেছি, র্যাম্পও করিনি। টিভিসি করেছি। মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, অমিতাভ রেজা চৌধুরী, আদনান আল রাজীব ভাইয়াদের কাজ করেছি। ২০১৯ সালে আর্বোভাইরাসের একটা গানের ভিডিওতে কাজ করছিলাম, তখন রেহানা ছবিটার জন্য ডাক পাই। অডিশন দিলাম, দুই মাস অনুশীলন করলাম। এরপর শুটিং শুরু হলো সে বছরের অক্টোবর মাসে।
প্রশ্ন :
বন্ধুরা আপনার এই অগ্রযাত্রায় খুশি?
খুবই খুশি। আমি নিজেরও আশা করিনি যে এত দ্রুত এত কিছু হয়ে যাবে। রেহানা ছবিটা আমার ক্যারিয়ারের ভিতটা গড়ে দিল। এটা আমার জন্য একটা বড় অনুপ্রেরণা। আমার ইউনিভার্সিটি অনেক সাপোর্ট দিয়েছে।
প্রশ্ন :
আপনারা ছবি দেখার পর পরিচালক সাদ কী বললেন?
ছবি দেখার পর সাদ ভাইয়া এসে বলেছেন, ‘তুই আবার আমাকে মারবি না তো? তোর নিজের কাছে ঠিক লেগেছে তো? আমি বাইরের লোকের কথার তোয়াক্কা করি না। কিন্তু তোরা অনেক পরিশ্রম করেছিস।’ সাদ ভাইয়া এ রকম মানুষ।
প্রশ্ন :
শেষতক আপনি বিনোদনজগতে থাকবেন?
আমার খুব ইচ্ছা ডিরেক্টর অব ফটোগ্রাফি (ডিওপি) হওয়া। যদি দেশ বা বিদেশ থেকে একটা কোর্স করতে পারি, তাহলে ডিওপি হব। ক্যামেরার সামনে না থাকলেও পেছনে থাকব। এ জগৎ থেকে আমি নড়ছি না।