‘আমি যে জেনুইন নোয়াখাইল্লা, এটা অনেকেই জানে না’

ঢাকায় মেসে থাকা তরুণদের জীবনের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে ধারাবাহিক নাটক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’। ইউটিউবে এই নাটকের গত দুই পর্বে দেখা গেছে, লাক্স তারকাখ্যাত ফারিয়া শাহরিনকে। নাটকটিসহ অন্যান্য প্রসঙ্গে গত রোববার দুপুরে কথা হলো তাঁর সঙ্গে...
ফারিয়া শাহরিন
ইনস্টাগ্রাম

প্রশ্ন :

‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নাটক নিয়ে ফেসবুকে আপনার উচ্ছ্বাস দেখা গেল।

এ নাটকে সবাই আমাকে নোয়াখাইল্লা সংলাপ বলতে দেখে অবাক হয়েছে। আমি যে জেনুইন নোয়াখাইল্লা, এটা অনেকেই জানে না। আমার মা-বাবাও নোয়াখাইল্লা। মা-বাবার কাছে নোয়াখাইল্লা ভাষা শিখে এই নাটকে অ্যাপ্লাই করেছি। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে, আমি ভেবেছিলাম, নোয়াখালীতে অন্তরার চরিত্রটি শেষ হবে। সুখবর হচ্ছে, অন্তরাকে ঢাকায়ও দেখা যাবে। আমি আবারও এ নাটকের শুটিংয়ে অংশ নেব।

ফারিয়া শাহরিন
ইনস্টাগ্রাম

প্রশ্ন :

আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে, বেশ ভালো দর্শক প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন?

সত্যিই তাই। এত ভালো রেসপন্স পাচ্ছি, মনে হচ্ছে মিডিয়াতে নতুন এসেছি। এ নাটক প্রচারের পর থেকেই যেখানেই যাই, সবাই আমাকে অন্তরা বলে ডাকে। লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার পর আমি অনেক নাটকে অভিনয় করেছি, এ নাটকের মতো রি-অ্যাকশন পাইনি। খুবই সিম্পল গল্প, মানুষ রিলেট করতে পারে।

ফারিয়া শাহরিন
ইনস্টাগ্রাম
আমাকে নোয়াখাইল্লা সংলাপ বলতে দেখে অবাক হয়েছে। আমি যে জেনুইন নোয়াখাইল্লা, এটা অনেকেই জানে না। আমার মা-বাবাও নোয়াখাইল্লা। মা-বাবার কাছে নোয়াখাইল্লা ভাষা শিখে এই নাটকে অ্যাপ্লাই করেছি। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে, আমি ভেবেছিলাম, নোয়াখালীতে অন্তরার চরিত্রটি শেষ হবে।

প্রশ্ন :

অভিনয় শুরুর আগে এ নাটকের পর্বগুলো দেখা হয়েছিল কি?

আমি মালয়েশিয়াতে পড়াশোনা করার সময়ই এ নাটক সম্পর্কে জানতে পারি। এখন তো তৃতীয় সিজন চলছে। প্রথম দুটি দেখা না হলেও এ সিজনের প্রথম থেকে দেখছি। আমার কাছে তো ভীষণ ভালো লাগত। বন্ধুবান্ধব আর পরিচিতদের অনেকেও বলত, ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এর মতো নাটকে কেন অভিনয় করি না!

ফারিয়া শাহরিন
ইনস্টাগ্রাম

প্রশ্ন :

নাটকটি অনেক জনপ্রিয়—এটা বলার পাশাপাশি অনেকে এও বলে থাকেন, এ নাটকে সূক্ষ্মভাবে নারীদের অসম্মান করা হয়েছে? আপনার কাছে কি তেমনটা মনে হয়েছে?

কই না তো, নারীকে তো ছোট করেনি। কাবিলা এ নাটকে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসে। এত দূরে থেকেও তারপরও ভালোবাসা কমে না। এখনকার যুগে এসব তো খুব বিরল। এখন তো ছেলেমেয়েরা দেখা করে। আড্ডা দেয়। সময় কাটায়, এসব বিবেচনা করলে কাবিলার ভালোবাসা তো ব্যতিক্রম দেখানো হচ্ছে। কাবিলার গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে অনেকে আজেবাজে কথা বলার পরও ভালোবাসা থেকে সরে না। আমি তো মনে করি, এখান থেকে শেখার কিছু আছে। আর মেয়েদের নিয়ে কিছু কিছু কথা তো মজা করে দেখানো হয়।

ফারিয়া শাহরিন
ইনস্টাগ্রাম
বেশির ভাগ সিনেমাই তো দেখি, প্রেম হয়ে গেল। এরপর নাচানাচি শুরু হয়ে গেল। নাচেগানে ভরপুর সিনেমায় কাজ করতে চাই না

প্রশ্ন :

নতুন কাজের খবর বলুন?

কাজকর্ম তো করছি। মাঝে তো লম্বা সময় দেশে ছিলাম না। দেশে ফেরার পর অনেক ধরনের কাজ করেছি। নতুন বছর থেকে বেছে বেছে কাজ করার কথা ভেবেছি। বিশেষ করে, ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এ অভিনয়ের পর প্রমিজ করেছি, কোয়ালিটি ওয়ার্ক করব। অন্য রকমের কাজ করব না। ওই ধারাবাহিকতায় কাজ করছি। সম্প্রতি প্রীতি দত্তের পরিচালনায় ভালো লাগার একটি কাজ করলাম।

প্রশ্ন :

সার্বিকভাবে নাটকের গল্প কেমন হওয়া উচিত?

কিছু মেসেজ থাকা উচিত। কারণ, মানুষ তো নাটক থেকে অনেক কিছু শেখে। আমার মনে হয়, কিছু কিছু নাটকে সুইসাইড দেখায়, যা উচিত না। আমাদের তরুণ প্রজন্মের অনেকে মনে করে, নাটকে যেহেতু হয়েছে, আমিও করি। ধর্ষণ এখন অনেক বেড়ে গেছে। নাটক-সিনেমায় ধর্ষণের বিষয়গুলো বন্ধ করা উচিত। হয়তো ওরা দেখাচ্ছে মেসেজ দেওয়ার জন্য, কিন্তু দেখা গেল উল্টোটা ঘটছে। আমিও সুইসাইড করব। সব ধরনের কাজ হওয়া উচিত, কিন্তু একটা লিমিট রেখে।

ফারিয়া শাহরিন
ছবি : সংগৃহীত

প্রশ্ন :

আপনার সমসাময়িক অনেকে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন

চলচ্চিত্রের ব্যাপারে এখনো তেমন সিদ্ধান্ত নিইনি। এখনো নাটকে ফোকাস থাকতে চাই। চলচ্চিত্রে ভালো প্রস্তাব পেলে করব। বাণিজ্যিক সিনেমা হলে করব না। গল্পনির্ভর হলে করব। বেশির ভাগ সিনেমাই তো দেখি, প্রেম হয়ে গেল। এরপর নাচানাচি শুরু হয়ে গেল। নাচেগানে ভরপুর সিনেমায় কাজ করতে চাই না।

ঢাকায় মেসে থাকা তরুণদের জীবনের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে ধারাবাহিক নাটক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’
ইনস্টাগ্রাম