‘বছরে এক বা দুইবার কোথাও থেকে ঘুরে আসা দরকার’
গেল বছরের শেষ দিকে মুক্তি পেয়েছে ওয়েব সিরিজ ‘মোবারকনামা’। এতে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন সামিয়া অথৈ। এই জানুয়ারিতে মুক্তির কথা রয়েছে তাঁর অভিনীত একটি ওয়েবফিল্ম ও ওয়েব সিরিজের। সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে কথা হয় যখন, তখন তিনি মালয়েশিয়ার বিমানবন্দরে।
প্রথম আলো :
মালয়েশিয়ার বিমানবন্দরে কী করছেন?
দেশে ফিরছি। ইন্দোনেশিয়ার বালিতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। বছরের শেষ দিকে আমার একটা ওয়েব সিরিজ মুক্তি পেল—‘মোবারকনামা’। প্রশংসা পেলাম। একটানা কয়েকটি কাজ করেছি। বেশ ব্যস্ত ছিলাম। মনে হলো, নিজেকে একটু সময় দেওয়া দরকার। তাই দেশের বাইরে ঘুরতে যাওয়া। নিজেকে উজ্জীবিত করা বলতে পারেন।
প্রথম আলো :
তা এই ভ্রমণে কতটা উজ্জীবিত হলেন?
দারুণ কেটেছে সময়। আমি ইন্দোনেশিয়ার বালির সৈকতে ঐতিহ্যবাহী সব খাবার খেয়েছি। প্রথমবার গেলাম তো, ওদের সাংস্কৃতিক নানা দিক জানতে পেরেছি। আসলে আমি তো যখন কাজ করি, টানা কাজ করি। আমার মনে হয়, কাজ শেষে প্রত্যেক মানুষের সাময়িক অবসর দরকার। একেকজন একেকভাবে রিফ্রেশনমেন্টের উপায় খোঁজেন। আমি ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। ভ্রমণ আমাকে সতেজ হতে অনেক বেশি সাহায্য করে। ভ্রমণ আমাকে নতুন উদ্যমে কাজে ফেরার শক্তি দেয়।
প্রথম আলো :
এই ভ্রমণে সঙ্গী হয়েছেন কারা?
আমার বিদেশি বন্ধুবান্ধব আছে, তারা ছিল। আমরা আমাদের মতো আনন্দ উদ্যাপন করেছি। ভ্রমণে কিন্তু আরও অসাধারণ কিছুও ঘটে।
প্রথম আলো :
আপনার মতে কী সেসব?
একেকটা দেশের একেকটা সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারি। যেকোনো দেশ বা অঞ্চলের খাবার, পোশাক আবিষ্কার করা যায়। সংস্কৃতি সম্পর্কে জানা যায়। তাই আমার মনে হয়, যে মানুষ সব সময় কাজের মধ্যে থাকেন, তাঁর বছরে এক বা দুইবার হলেও কোথাও থেকে ঘুরে আসা দরকার। আমি মনে করি, সামর্থ্য অনুযায়ী চাইলেই যে কেউ ঘুরে আসতে পারেন। কারণ, মানুষ যত ভ্রমণ করবে, ততই শিখবে।
প্রথম আলো :
ঘোরাঘুরির ক্ষেত্রে কোন জায়গাটা বেশি ভালো লাগে?
সব সময় নতুন নতুন জায়গা খুঁজে বের করতে ভালো লাগে। তবে সমুদ্র আমাকে অনেক বেশি টানে। আমার যখন খুব মন খারাপ হয়, তখন মনে হয় সমুদ্রের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে পারলে ভালো লাগবে। সমুদ্রের সামনে যতক্ষণ থাকি, মনটা ততই হালকা হয়। কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকতে তাই বেশি যাওয়া হয়েছে। এবার তো টানা কাজের পর বান্দরবান, কক্সবাজার ঘুরে এরপর ইন্দোনেশিয়ায় এসেছি। বছরের শেষটা সুন্দরভাবে শেষ করে নতুন বছর নতুনভাবে শুরু করতে চেয়েছি।
প্রথম আলো :
নতুন কী কাজে নামবেন?
এই জানুয়ারিতে একটা অ্যান্থলজি ফিল্ম মুক্তি পাবে, আশুতোষ সুজনের পরিচালনায়। এটিতে অভিনয় করেছি ফজলুর রহমান বাবু ভাইয়ের বিপরীতে। এরপর আরেকটা ওয়েব সিরিজ মুক্তি পাবে, যেটিতে আছেন মোশাররফ করিম ভাই। নতুন কিছু কাজের খবরও চূড়ান্ত হয়ে আছে, কাজ শেষ না করে আপাতত বলতে চাচ্ছি না। ওটিটিতে সুন্দর সুন্দর গল্পের প্রস্তাব পেয়েছি। ওগুলোর রিহার্সেল আছে। একে একে সব কাজ সামনে আসবে।
প্রথম আলো :
আপনি তো চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছিলেন!
শেষ ‘দামাল’ সিনেমায় কাজ করেছি। ঐতিহাসিক গল্পের ছবির অংশ হয়ে ভালো লেগেছে। নতুন ছবি নিয়েও কথাবার্তা চলছে। আমিও সিনেমায় নিয়মিত হতে চাই। তবে ভালো গল্প ও পরিচালক যদি পাই।