পড়ালেখা শেষ না করলে বাবা বাসায় থাকতে দেবেন না: দীঘি

দীঘি
ফেসবুক থেকে
বেশ কয়েকটি ওয়েব ফিল্মের কাজ শেষ করেছেন দীঘি। শেষ ইমরান মাহমুদুল ও বাঁধন সরকার পূজার দ্বৈতকণ্ঠে গাওয়া গান ‘চোখে চোখে’তে মডেল হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মুঠোফোনে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছে ‘বিনোদন’।

প্রশ্ন :

পয়লা বৈশাখে কী করছেন?

বিশেষ কোনো আয়োজন নেই। বাইরে প্রচুর গরম। বের হতেও তো ভয় লাগে! হয়তো সন্ধ্যার পর বন্ধুদের নিয়ে একটু বের হতে পারি, এটুকুই। কারণ, বেশ কয়েক দিন টানা কাজ করেছি, একটু আরামও দরকার। এমনিতে পয়লা বৈশাখ এলে মনটাও খারাপ হয়ে যায়। মায়ের কথা মনে পড়ে বেশি। ছোটবেলার বৈশাখের কথা মনে পড়ে। মা আমার জন্য লাল-সাদা রঙের শাড়ি কিনতেন। সকালে নিজ হাতে পরিয়ে দিতেন। বাসায় অনেক রান্নাবান্না হতো। দিনটিতে বাসাজুড়ে উৎসবের আমেজ থাকত।

আরও পড়ুন

প্রশ্ন :

‘চোখে চোখে’ গানের ভিডিও চিত্রে মডেল হয়েছেন। কেমন হয়েছে কাজটা?

ভালো। শুদ্ধ রোমান্টিক একটা গান। মনে হচ্ছে, সিনেমার গানের শুটিং করছি। অনেকটাই সিনেমার মতো বড় পরিসরে কাজ হচ্ছে। ইমরানের গানে, ইমরানের সঙ্গে প্রথম কাজ করছি। উনি আমার পছন্দের কণ্ঠশিল্পী। আগে থেকেই আমাদের দুজনের ভালো জানাশোনা আছে। আমাদের দুজনেরই চাওয়া ছিল, একসঙ্গে কাজ করব। আরও আগেই ইমরানের গানে মডেল হিসেবে কাজ করার কথা ছিল। ব্যাটে–বলে মেলেনি। এবার সুযোগ হয়ে গেল।

দীঘি
ইনস্টাগ্রাম

প্রশ্ন :

পরপর বেশ কটি গানে আপনাকে মডেল হতে দেখা গেল...

এটি নিয়ে চারটি গানে মডেল হলাম। ছোটবেলায় মডেলিং করেই পরিচিতি পেয়েছিলাম। সেই সুবাদেই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছি। ফলে মডেলিং করার ব্যাপারে একটা দুর্বলতা আছে। তবে সেটা বেছে বেছে, ভালো কাজ পেলে করি।

প্রশ্ন :

অনেক দিন হলো বড় পর্দার সিনেমায় দেখা যাচ্ছে না!

সত্যি বলতে কি, নায়িকা হিসেবে আমার শুরুটা ভালো হয়নি। তাই আস্তেধীরে ভালো পরিচালক, ভালো গল্পে কাজ করার চেষ্টা করছি। সেদিক থেকে ওটিটিতে ভালো গল্পের সিনেমা পাচ্ছি। এর আগে চরকিতে ‘শেষ চিঠি’ ওয়েবফিল্মটি ভালো গেছে। এর মধ্যে করলাম সুমন ধরের ‘ফেরা’ ও আবু হায়াত মাহমুদের ‘মার্ডার নাইন্টিজ’ নামে দুটি ওয়েবফিল্মের কাজ। আগামী ঈদে আসতে পারে ছবি দুটি।

প্রশ্ন :

শুনলাম, নাটকেও ডাক পাচ্ছেন?

হ্যাঁ, অনেক নাটকে ডাক আসে। গত বছর ঈদের আগে থেকে নাটকে অভিনয়ের ডাক আসছে। এবার আরও বেশি এসেছিল। রাজি হইনি। সিনেমা আর ওয়েবফিল্মের বাইরে কাজ করব না।

দীঘি
ইনস্টাগ্রাম

প্রশ্ন :

লেখাপড়ার খবর কী?

আমি ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগে পড়ছি। দ্বিতীয় সেমিস্টার চলছে। ঈদের পরপরই ফাইনাল পরীক্ষা। সপ্তাহে দুই দিন ক্লাস থাকে। এই দুই দিন হাতে কোনো কাজ রাখি না। আপাতত লেখাপড়াকেই প্রাধান্য দিচ্ছি। কারণ, পড়ালেখা শেষ না করলে বাবা বাসায় থাকতে দেবেন না বলে দিয়েছেন।