কী কারণে প্রচার-প্রচারণায় থাকছি না, সেটি নায়ক জানেন: নিপুণ আক্তার
৩ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রেক্ষাগৃহে চলছে মাহবুবুর রশিদের সিনেমা ‘ভাগ্য’। অথচ ছবি মুক্তির আগে ও পরে কোথায়ও দেখা যায়নি সিনেমার নায়িকা নিপুণ আক্তারকে। এ প্রসঙ্গসহ নানা বিষয়ে ‘বিনোদন’–এর সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি
প্রশ্ন :
ছবির প্রচার করতে দেখা যায়নি আপনাকে। কারণ কী?
তেমন কোনো বড় কারণ নেই। ছবির প্রচার নিয়ে কিছু সিদ্ধান্তের কারণে ওভাবে প্রচারে থাকতে পারিনি। মুক্তির সময় ফেসবুকে প্রচার করেছি। তবে কোনো টেলিভিশন বা পত্রিকায় ছবিটি নিয়ে কথা বলা, সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময়–সুযোগ হয়নি।
প্রশ্ন :
অনেকেই মনে করছেন ছবির প্রযোজকের সঙ্গে ঝামেলার কারণেই আপনি প্রচারে নেই...
বিষয়টি সত্য নয়। প্রযোজকের সঙ্গে আমার কোনো সমস্যা নেই। সিনেমার এই মন্দাকালেও ছবিতে প্রযোজক বিনিয়োগ করেছেন। এটি অনেক বড় ব্যাপার। এই ছবির নায়ক নিজেই প্রযোজক। আমার সঙ্গে তাঁর কোনো ঝামেলা নেই। বরং সম্পর্ক অনেক ভালো। এর আগে ‘ধূসর কুয়াশা’ নামের আরও একটি ছবিতে তাঁর সঙ্গে অভিনয় করেছি। আমি কী কারণে প্রচার-প্রচারণায় থাকছি না, সেটি নায়ক জানেন। এর বেশি কিছু বলব না।
প্রশ্ন :
নায়ক তো একা একা ঢাকা ও ঢাকার বাইরের প্রেক্ষাগৃহগুলোতে যাচ্ছেন। সঙ্গে আপনি থাকলে দর্শকের অংশগ্রহণ আরও বাড়ত না?
হ্যাঁ, তা বাড়তে পারত। কারণ, আমারও তো ভক্ত-দর্শক আছেন।
প্রশ্ন :
ছবির প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন?
সেটা পাচ্ছি। নায়ক হলে হলে যাচ্ছেন, প্রচুর দর্শকের ভিড় দেখা যাচ্ছে; ফেসবুকের মাধ্যমে দেখছি। তা ছাড়া আমার কিছু শুভাকাঙ্ক্ষী ছবিটি দেখেছেন, ভালো বলেছেন। সত্যি কথা কি, ছবির গল্পটা যেমন সুন্দর, গানও সুন্দর। ছবির দুটি গান আমার বেশি পছন্দ।
প্রশ্ন :
শিল্পী সমিতির কমিটির মেয়াদ এক বছর পার হলো, এ সময়ের মধ্যে আপনাদের অর্জন কী?
কাজ তো করে যাচ্ছি। নির্বাচনের আগে আমাদের প্রতিশ্রুতি ছিল, আগের কমিটি থেকে অন্যায়ভাবে সদস্য পদ বাতিল করা সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করব, করেছি। চলচ্চিত্র শিল্পীদের পরিবার নিয়ে বড় পিকনিক আয়োজন করেছি। আমাদের নানা প্রতিকূলতা আছে। এসব মোকাবিলা করেই এগোতে হচ্ছে। এই কমিটির ২১ সদস্যের মধ্যে ১১ জন আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলের। তাঁদের সহযোগিতা সেভাবে পাইনি, পাচ্ছি না।
প্রশ্ন :
কিন্তু পিকনিকে তো সব শিল্পীর অংশগ্রহণ ছিল না। অনেকে এটাকে ব্যর্থ পিকনিক বলেছেন।
মোটেও ব্যর্থ হয়নি আমাদের পিকনিক। প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেল থেকে নির্বাচনে জয়ী ১১ জন সেই শুরু থেকেই সমিতির কার্যক্রমের সঙ্গে ছিলেন না। গত বছরের শেষের দিকে আদালত থেকে সাধারণ সম্পাদক পদটি আমার পক্ষে রায় আসে। সব সময়ই চেয়েছি, একসঙ্গে সবাই মিলে সমিতিকে এগিয়ে নেব। রায় পাওয়ার পর প্রথম কার্যনির্বাহী পরিষদের মিটিংয়ে ওই ১১ জন প্রথম অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু পরে দেখা গেল সেটি ছিল লোক দেখানো। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পদ টিকিয়ে রাখার কৌশল। পরে যখন পিকনিক আয়োজন করলাম, মিটিং ডাকা হলো, তাঁদের কেউই মিটিংয়ে এলেন না।
প্রশ্ন :
আপনার নতুন সিনেমার খবর কী?
‘মনোলোক’, ‘রাসেলের জন্য অপেক্ষা’ ও ‘সুজন মাঝি’—এই তিনটি সিনেমা সেন্সরে জমা পড়েছে। ‘ভাষার জন্য মমতাজ’ ছবির কিছু অংশের শুটিং বাকি আছে।