এখন কেমন আছেন?
শারমিন আঁখি : আগের চেয়ে অনেকটা ভালো। বাঁ হাতের কবজির ওপরের জায়গায় অনেকটা পুড়েছিল। এই অংশ নিয়ে বেশ ভুগেছি। এই হাতে এখনো শক্তি আসেনি। ধীরে ধীরে কিছু ধরতে পারি, কিন্তু তেমন কোনো কাজ করতে পারি না। এটা সেরে উঠতে আরেকটু সময় লাগবে। এখনো নিয়মিত চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
প্রথম আলো :
এর মধ্যেই কাজে ফিরলেন?
শারমিন আঁখি : ১ বছর ৩ মাস ১৩ দিন পর ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালাম। সত্যি বলতে, বাড়িতে সময় কাটতেই চায় না। কত আর বাসায় বসে থাকা যায়। একা থাকতে থাকতে বিষণ্নতা চলে আসে। মাঝেমধ্যেই বেশ কিছু কাজের প্রস্তাব আসত। আমিও কাজ করতে চাই, যে কারণে মনে হলো, কাজে ফিরি। মানিয়ে নেওয়ারও একটা ব্যাপার আছে।
আবার সেই রূপসজ্জাকক্ষে প্রবেশ করতে হয়েছিল?
শারমিন আঁখি : শিল্পীকে তো মেকআপ রুমে যেতেই হবে। কিন্তু এবার শুটিংয়ে আসতেই হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাচ্ছিল। শুটিং বাড়িতে ঢুকতেই ভয় লাগছিল। বলা যায়, প্রথম দিন আতঙ্কেই ছিলাম। সেদিন আমি সারা দিন ওয়াশরুমেই যাইনি। এই মেকআপ রুমের ওয়াশরুমের লাইট জ্বালাতে গিয়েই বিস্ফোরণ ঘটে। এখনো সেই ট্রমা কাটেনি। পরে আমি চিত্রলেখাদিকে (অভিনেত্রী চিত্রলেখা গুহ) বললাম, ওয়াশরুম ব্যবহার করতে ভয় পাচ্ছি। দিদি নিজেই ওয়াশরুমের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বললেন, যেন আমি ভয় না পাই। প্রথম দিনের শুটিং ভয়ে কাটলেও দ্বিতীয় দিন ভয় পাইনি।
প্রথম আলো :
শুটিংয়ে ফিরে কী মনে হলো?
শারমিন আঁখি : মানসিকভাবে শক্তি পেলাম। সবার সঙ্গে দেখা হলো। কথা হলো। ফিরতেও একটা ভয় লাগছিল। কিন্তু শুটিংয়ে ফিরে ভালো লেগেছে। নিজের মধ্যে একটা চাঙা ভাব কাজ করেছে। এই ২ দিনের শুটিং থেকে আমি ২০ দিন চলার শক্তি পেয়েছি।
সহকর্মীরা কীভাবে নিলেন?
শারমিন আঁখি : আমার শুটিংয়ে ছিলেন চিত্রলেখাদি, শরাফ আহমেদ জীবন ভাই, মুসাফির সৈয়দ বাচ্চু ভাই, আবদুল্লাহ রানা ভাই, আইরিন আফরোজসহ অনেকে। তাঁরা সবাই আমাকে সহযোগিতা করেছেন। সবাই চান, আমি দ্রুত কাজ শুরু করি। পরে সেটের মধ্যে আবদুল্লাহ রানা ভাই বললেন, আমি তাঁর পছন্দের অভিনেত্রীদের একজন। তাঁর চোখে আমি নাকি ফাইটার। আমার সঙ্গে নাকি তাঁর অভিনয়ের ইচ্ছা ছিল। একজন জ্যেষ্ঠ শিল্পীর মুখে এ কথা শুনে আমি আবেগাপ্লুত হয়ে গিয়েছিলাম।
এর আগে মঞ্চে ফিরেছেন, এখন কি নিয়মিত কাজ করবেন?
শারমিন আঁখি : চট্টগ্রামে মঞ্চে অভিনয় করলাম। বেশ ভালো লেগেছে। আবার ৩০ জুন শো আছে। টানা মহড়া করতে হবে। এখন অভিনয়ের মধ্যেই থাকতে চাই। ওয়েব সিরিজের কাজ করব। মাসে খুব বেশি নয়, দু–চারটি কাজ করতে চাই।