একেকটি নাটক শেষ করতে এই যে এত এত সময় দিচ্ছেন, পারিশ্রমিক কি একই? কেনই-বা এত সময় দিচ্ছেন?
হ্যাঁ, সাধারণত আগে এক ঘণ্টার নাটক তিন থেকে চার দিনে শেষ করতাম। তখন যে পারিশ্রমিক নিয়েছি, এখন এসে এত সময় নিয়েও একই পারিশ্রমিক নিচ্ছি। পারিশ্রমিক নিয়ে ভাবছি না। কাজগুলো বড় বাজেটে, ফিল্মের ক্যানভাসে করার চেষ্টা। একটা টার্গেট আছে। আমি সামনে ফিল্ম করতে চাই। এখন আমার অভিনয়, কাজের মানটা একটা জায়গায় নিতে হবে। কম সময় নিয়ে যখন কাজ করি, তখন গল্প পরিপূর্ণভাবে করা সম্ভব হয় না। সময় নিয়ে করার কারণে গল্প পরিপূর্ণভাবে বলা সম্ভব হয়। এতে কাজের মান বাড়ে, বেশি দর্শকের কাছে পৌঁছায় কাজটি। আমিও চাই, আমার কাজ বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাক। এ কারণেই একই পারিশ্রমিকে বাড়তি পরিশ্রম করছি। বলতে পারেন এভাবে সময় দিয়ে নাটক করা ফিল্মের পূর্বপ্রস্তুতি। এতে করে পরবর্তী সময়ে যখন সিনেমা করব, তখন সিনেমার পথটি সহজ হবে।
প্রথম আলো :
কিন্তু ওটিটিতে তো আপনাকে দেখা যাচ্ছে না...
আমি যে ধরনের গল্পে ওটিটির কাজ করতে চাই, সে ধরনের গল্প হাতে আসছে না। নাটকের জন্য যে ধরনের গল্পের, যে ধরনের বাজেটের কাজ আসে, ওটিটির জন্য অনেকটা সেই ধরনের কাজই আসে। তাহলে ওটিটিতে কাজ করা তো বৃথা। তা ছাড়া এখন নিশো ভাই একদমই নাটক করছেন না। অপূর্ব ভাই নাটক কমিয়ে দিয়েছেন। এখন পরের প্রজন্ম হিসেবে সিনিয়রদের মধ্যে আমি, জোভানরা আছি। কাজের মান ধরে রাখা বা কাজের মান ওপরে নিয়ে যাওয়া, এটি আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। সে কারণেই পরিকল্পনা করে অনেক কিছুই করতে হচ্ছে। সেই প্ল্যানে ওটিটিও আছে। অপেক্ষা করছি।
২০২৩ সালে সিনেমায় অভিষেকেই বাজিমাত করেন আফরান নিশো। সে সময় আপনিসহ ছোট পর্দার অনেকেই সিনেমায় আগ্রহ দেখান। তার খবর কী?
অন্যরা কী বলেছেন সেটা জানি না। সে সময় আমি বলেছিলাম, এত বছর ধরে নাটক করেন নিশো ভাই, তিনি প্রথম সিনেমা হিট দিতে পেরেছেন। সে কারণে আমিও উৎসাহিত হয়েছি সিনেমায়। নিশো ভাইয়ের মতো আমিও একজন পরিপূর্ণ নাটকের অভিনেতা হিসেবে তৈরি হয়ে ফিল্ম করলে ভালো কিছু হতে পারে। আরও পরিপক্ব অভিনেতা হতে চাই। আমি নাটকে আরও দর্শক তৈরি করতে চাই, ভক্তশ্রেণি তৈরি করতে চাই। সেই পথেই আছি। আমার হাতে এখন যত ভালো সিনেমাই আসুক না কেন, করব না। এখনই সিনেমা করলে আমার জন্য ঝুঁকি আছে। সিনেমায় অভিষেকটা নিশো ভাইয়ের মতোই চাই আমি। ২০২৫ সালে যদি না-ও হয়, ২০২৬ সালে সিনেমা করব।
প্রায়ই দেখা যায়, নানা শ্রেণি-পেশার ভক্তদের সঙ্গে আপনি ভিডিও করে নিজের ফেসবুক পেজেই প্রকাশ করেন। কাজটি করে কী বার্তা দিতে চান?
এবারের ঈদের হিসাব ভিন্ন। বেশ কয়েক বছর ধরে ঈদের অনুষ্ঠানমালায় ১৫ থেকে ২০টি ঈদের নাটক প্রচারিত হতো। এবার ৫ থেকে ৭টি হতে পারে। কারণও আছে। এবার যেসব নাটকে কাজ করেছি, অনেক সময় ধরে একেকটি নাটক শেষ করেছি, করছি। এখন নীলাদ্রিতে যে নাটকের শুটিং করছি, ৭ দিন লাগছে। এমন আরও বেশ কিছু ঈদের নাটক ৮ দিন, ১০ দিন, এমনকি ১২ দিনও লেগেছে শেষ করতে। আগে একটি নাটক সর্বোচ্চ ৩ থেকে ৪ দিনে শেষ হতো। এবার একেকটি নাটকে এত সময় নেওয়ার কারণে বেশি নাটক করার সময় হচ্ছে না। ফলে নাটকের সংখ্যা কম।