প্রথম আলো :
বেশ কয়েকটি সিনেমায় কাজ করেছেন। অনেক দিন নতুন কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি...
নেই বলে পরেও থাকবে না, এমন তো কথা নেই।
প্রথম আলো :
সামনে কি তাহলে চমক আছে?
পূজা চেরি তো সব সময় ‘চমকে দেওয়া’ কিছু করার চেষ্টা করে। সেই চমকের জন্য কিছু প্রস্তুতিও লাগে। এখন সেই প্রস্তুতিই চলছে।
প্রথম আলো :
কিছুটা আভাস দেওয়া যায়?
আভাস–পূর্বাভাস আপাতত কিছুই দিতে চাই না। কাজ শুরুর আগে হাইপ তৈরি না করে কাজ করে দেখাতে চাই। তাই আগে কাজটা শুরু করি। এরপর সবাই নিজেরাই জানতে পারব।
প্রথম আলো :
সময় কাটছে কীভাবে?
খুব ভালোভাবে যাচ্ছে। মাকে সময় দিচ্ছি। সাধারণত কাজের ব্যস্ততায় মায়ের সঙ্গে সময় কাটানো খুব একটা সম্ভব হয়ে ওঠে না। কাজের কথা যদি বলি, জানুয়ারির প্রথমে দিকে নতুন কাজ শুরুর কথা রয়েছে, সেই প্রস্তুতিও নিচ্ছি। এটা সিনেমা, ওটিটি এমনকি বিজ্ঞাপনচিত্রও হতে পারে। তবে যা–ই শুরু করি, দারুণ কিছুই করব।
প্রথম আলো :
ছোটবেলা থেকেই আপনি চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত। শিশুশিল্পী থেকে নায়িকা। তারপর একের পর এক আলোচিত ছবি। অনেকের মতে, পূজা নাচ ভালো করে, অভিনয়েও ছন্দে আছে। সে তুলনায় কাজের সংখ্যা কম। কেন?
আমি আসলে সংখ্যায় নয়, মানে বিশ্বাসী। যাঁরা ভালো কাজ করেন, তাঁদের এভাবেই চলতে দেখেছি। সংখ্যায় নয়, মানেই তাঁরা জোর দিয়েছেন। কাজের সংখ্যা বাড়াতে চাইলে তো অনেক কাজই করা যায়। তবে ভালো কাজ হলে তবেই সংখ্যাটা বাড়াব। তা ছাড়া নিজের নাম আর ভাবমূর্তি নষ্ট করে কাজ করতে চাই না। আমি বরাবরই ভালো কাজের সন্ধানী। ভালো কাজের কথাবার্তাও চলছে।
প্রথম আলো :
আপনার কাছে ভালো কাজের সংজ্ঞা কী?
এখনকার দর্শক আসলে অনেক স্মার্ট। তাঁরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সিনেমা এবং ওটিটি কনটেন্ট দেখে অভ্যস্ত। আমার কাছে ভালো কাজ বলতে ভালো পরিচালক, ভালো সহশিল্পী আর ভালো গল্প।
প্রথম আলো :
আপনি এমনও বলেছিলেন, আপনার কাছে সহশিল্পীর চেয়ে গল্প বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
আমি আসলে ওভাবে বলিনি বিষয়টা। পরিচালক, ভালো সহশিল্পী আর ভালো গল্প মিলিয়ে একটা ভালো ছবি। আর প্রতিষ্ঠিত প্রভাবশালী সহশিল্পী নিঃসন্দেহে ছবিতে বাড়তি মাত্রা যোগ করে। সেই ছবির সম্ভাবনাও অনেকটা এগিয়ে থাকে। একই সঙ্গে নতুনদেরও সুযোগ দেওয়া উচিত। এখন যাঁরা ভালো করছেন, তাঁরা সবাই খুব ভালো করছেন। আমারও মনে হয়, নতুনদের আরও বেশি আসা উচিত। তা না হলে জুটিও তৈরি হয় না। একই সহশিল্পীর সঙ্গে কাজ করতে করতে দেখা যায়, দর্শকেরা বলতে থাকেন, একঘেয়েমি চলে আসছে। এটাও কখনো তৈরি করতে চাই না।
প্রথম আলো :
এখন যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের মধ্যে আপনার কাছে কাদের কাজ ভালো লাগে?
কমবেশি সবার কাজই ভালো। আমি আজ পর্যন্ত যাঁদের কাজ দেখেছি, সবাই আমাকে মুগ্ধ করেছেন। এর মধ্যে সিয়ামের কথা বলব, আমার প্রথম দিককার ছবির নায়ক। যদি শাকিব খানের কথা বলি, তা–ও বলতে পারি।
প্রথম আলো :
শাকিব খান তো আর নতুন নন...
নতুন না হলেও তিনি প্রতিনিয়ত নিজেকে নতুনভাবে উপস্থাপন করছেন। রীতিমতো একের পর এক চমক দিচ্ছেন। এমন একটা হাইপ তিনি তৈরি করেছেন, এই ধাক্কায় আরও ১০–২০ বছর এভাবেই থাকবেন মনে হয়। আমার পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভকামনা। সিয়ামও ভালো করছে। এর বাইরে আদর আজাদ, শরিফুল রাজ খুব ভালো কাজ করছেন। এখনকার অন্য নায়কেরাও কমবেশি ভালো করছেন।
প্রথম আলো :
বলা হচ্ছে এ বছরটা বাংলাদেশি সিনেমার জন্য ইতিবাচক একটা বছর। আপনার ছবি ‘জ্বিন’ যেমন মুক্তি পেয়েছে, তেমনি একাধিক ছবি আলোচিত হয়েছে। আপনার অভিনীত ছবি ছাড়া প্রেক্ষাগৃহে বসে কোনো সিনেমা দেখেছেন?
আমার ছবির বাইরে প্রিয়তমা ও সুড়ঙ্গ দেখেছি। সুড়ঙ্গ বাংলাদেশে আর প্রিয়তমা আমেরিকায় দেখেছি। এ ধরনের ছবি আরও কয়েকটা মুক্তি পেলে বাংলাদেশি ছবি পিছিয়ে পড়ছে বলে যে অজুহাত দিই, তা আর থাকবে না। এমন কাজ আমাদের বাংলাদেশি সিনেমাকে আরও অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমি সব সময় বলি, দর্শক ভালো গল্প চান। সাধারণ দর্শক হিসেবে বলব, এ বছরের সিনেমাগুলোর গল্প, সবার অভিনয় ও নির্মাণ ভালো লেগেছে। গান ভালো ছিল। দেখতে চোখের আরাম ছিল।