শাকিব খান সব তো ক্লিয়ার করেই দিয়েছেন: অপু বিশ্বাস
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর বক্তব্য-পাল্টাবক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ‘বিনোদন’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শাকিব খান বলেছেন, দুজনই এখন তাঁর কাছে অতীত। এ বিষয়ে শবনম বুবলীর প্রতিক্রিয়া আমরা গতকাল ছাপিয়েছি। আজ ছাপা হলো অভিনেত্রী অপু বিশ্বাসের সাক্ষাৎকার
প্রশ্ন :
কোথায় আছেন?
বাসায়। ২৮ তারিখ একটা বিজ্ঞাপনচিত্রের কাজ শুরু হবে। সেটির প্রস্তুতির জন্য কিছুক্ষণের মধ্যে বাসা থেকে বের হব। লাল শাড়ি ছবির টানা শুটিং করে ফিরেছি। গলা বসে গেছে।
প্রশ্ন :
‘লাল শাড়ি’ তো আপনার প্রথম প্রযোজিত ছবি। শুটিং কেমন হলো?
আগে যেমন শুটিংয়ে গেছি, প্যাকআপ বলেছে, গাড়িতে উঠে চলে এসেছি, এবার তো সেটি করতে পারিনি। সব আমাকেই সামলাতে হয়েছে। একদিকে সেট সামলানো, অন্যদিকে ছবিতে নিজের চরিত্রে অভিনয়—সব মিলিয়ে কিছুটা ধকল তো গেছেই। নতুনত্ব এটুকুই ছিল। বাকিটা তো আগের অভিজ্ঞতাই। শুটিংয়ে সহশিল্পী, কলাকুশলীরা এত বেশি সহযোগিতা করেছেন, আমি বিন্দু পরিমাণ সমস্যা টের পাইনি। আমি নিজেও সিনেমার একজন কর্মী। একজন শিল্পী শুটিংয়ে সারা দিন পরিশ্রম করেন, তাঁর জন্য পারিশ্রমিকটা বড়। ছবিটির ১৮ দিনের আউটডোর ছিল। শিল্পী-কলাকুশলীদের ১৫ দিনের পারিশ্রমিক আগেই দিয়েছি। এতে করে নিজের ভালো লাগা যেমন ছিল, শিল্পীরাও আনন্দ নিয়ে কাজ করেছেন।
প্রশ্ন :
ছবিটি কবে মুক্তি দেওয়ার ইচ্ছা?
ছবিটির বেশির ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আশা করছি, আর চার দিনের শুটিং করলে শেষ হবে। একটি ছবির পোস্টপ্রোডাকশনের কাজ বেশি গুরুত্বপূর্ণ। শিগগিরই সম্পাদনার কাজ শুরু হবে। যেহেতু আমার প্রথম প্রযোজিত ছবি, তাই একটু ভালো দিনক্ষণ দেখেই মুক্তি দিতে চাই। তবে এ বছর নয়, আগামী বছর।
প্রশ্ন :
জন্মদিনে শাকিব খান তাঁকে একটি ডায়মন্ডের নাকফুল উপহার দিয়েছেন, বুবলীর এমন একটি বক্তব্য ফেসবুকে শেয়ার করে আপনি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। এরপর বুবলী ও আপনি একে অপরকে ইঙ্গিত করে পাল্টাপাল্টি স্ট্যাটাস দেন।
এসব নিয়ে কিছু বলতে চাই না। এতক্ষণ লাল শাড়ি নিয়ে কথা বলছিলেন, তা নিয়ে বলুন, উত্তর দিচ্ছি। ওসব ব্যাপারে বলতে ভালো লাগে না।
প্রশ্ন :
কিন্তু বুবলী তো বলেছেন, ‘আমাদের মধ্যে তৃতীয় একজন হঠাৎ করেই ঢুকে গেছেন।’ অনেকে বলছেন, ‘তৃতীয় পক্ষ’ বলতে তিনি আপনাকেই বুঝিয়েছেন।
তিনি কি সরাসরি আমার নাম বলেছেন? যা–ই হোক, এসব শুনে আমার হাসি পাচ্ছে। কে তৃতীয় পক্ষ, কে প্রথম পক্ষ, আরেকটু পরিষ্কার করা দরকার ছিল। তাঁর প্রতিটি বক্তব্যই আমার কাছে হাস্যকর মনে হয়। দেখুন, এসবের কারণে সাধারণ মানুষ আমাদের নিয়ে কী ভাববেন? আমাদের অভিনয় মানুষ পছন্দ করেন। আমাদের ভালোবাসেন। রাজ্জাক, কবরী, জাফর ইকবাল, সালমান শাহ, শাবনূরসহ অনেকেই আমার পছন্দের তারকা। তাঁরাও তো এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছেন। কিন্তু কোনো বিষয় নিয়ে তাঁদের তো এত টানাহেঁচড়া দেখিনি। এখন এই ইন্ডাস্ট্রি কেমন যেন হয়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা, ভালোবাসার জায়গা উঠে যাবে।
প্রশ্ন :
শাকিব খান বলেছেন, অপু-বুবলীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক এখন অতীত।
হ্যাঁ, দুজনের ব্যাপারেই বলেছেন। আমার ব্যাপারটা বাদ দিলাম। সেটা সবাই জানেন। কিন্তু এই বক্তব্যের পরও তিনি (বুবলী) এত জাহির করছেন কেন? শাকিব খান সব তো ক্লিয়ার করেই দিয়েছেন। বিষয়টি হয়ে গেছে ‘গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল’ অবস্থা।
প্রশ্ন :
আপনাকে নিয়েও তো শাকিব খান কথা বলেছেন।
বলেছেন। কিন্তু আমি তো আর অন্যের মতো কোনো প্রতিবাদ করছি না। কোনো মিথ্যাচার করছি না। আর আমার সঙ্গে এটি যায়ও না। আমি একজন মানুষ, আমি একজন অভিনেত্রী—এসব দিয়েই আমার ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করি। কোনো মনগড়া কথা বলে সেই ব্যক্তিত্ব আমি নষ্ট করব না। অন্যের মতো উদ্ভট কথাবার্তা, উদ্ভট মন্তব্য আমার মুখে মানায় না। আমার দর্শক, আমার ভক্ত-অনুসারীরা আমাকে ভালোবাসেন, আমাকে উৎসাহ জোগান। তাঁদের শক্তি নিয়েই আমার পথচলা।