অবশেষে ‘ডেঞ্জার জোন’ মুক্তি পাচ্ছে...
বাপ্পী চৌধুরী : সাত বছর আগে ছবিটির শুটিং হয়। এরপর আরও কত কাজ করেছি। গত বছরের এপ্রিলে মুক্তি পায় শত্রু। পরে অন্যান্য ছবির শুটিং করলেও কোনোটিই মুক্তি পায়নি। ডেঞ্জার জোন-এর ট্রেলার ও গান মুক্তি পায় ঠিক পাঁচ বছর আগে। তখনই ছবিটি মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনাও ছিল। নানা জটিলতায় মুক্তি দেওয়া হয়নি। তবে আমি মনে করছি, এই সময় ছবিটি মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঠিক হয়নি।
প্রথম আলো :
কেন মনে করছেন?
বাপ্পী চৌধুরী : দেশে এখনো রাজনৈতিক অস্থিরতা আছে। তাই প্রেক্ষাগৃহের প্রতি মানুষের আগ্রহও কম। কিন্তু প্রযোজক যদি ছবি মুক্তি দিতে চান, আমার তো কিছু করার নেই। আমি অনুরোধ করতে পারি। তবে যখন দেখলাম যে প্রযোজক সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছেন, তখন আমি শুধু শিল্পী হিসেবে সাপোর্ট করে যাচ্ছি। প্রচারে অংশ নিচ্ছি।
সাত বছর আগে তৈরি ছবি, এখন কতটা প্রাসঙ্গিক?
বাপ্পী চৌধুরী : এটা থ্রিলার ধাঁচের চলচ্চিত্র। একটা কথা বলতে পারি, যাঁরা ছবিটি দেখবেন, পুরোনো মনে হবে না। সাত বছর আগে যখন ছবিটি বানানো হচ্ছিল, তখনই গল্পটা সময়ের চেয়ে এগিয়ে ছিল। তাই আশা করতে পারি, ছবিটি মানুষ দেখবেন।
প্রথম আলো :
নতুন কোনো ছবির কাজ করছেন?
বাপ্পী চৌধুরী : এক বছর ধরে কোনো কাজ করিনি, ব্যবসায় সময় দিচ্ছি। তবে ‘সিক্রেট এজেন্ট’, ‘ঢাকা ২০৪০’ ও ‘ভোলা’ তিনটি সিনেমা এখনো মুক্তির অপেক্ষায়।
প্রথম আলো :
এক বছর ধরে কাজ না করার কারণ কী?
বাপ্পী চৌধুরী : আমি যে ধরনের কাজ করতে চাইছি, সে ধরনের কাজের প্রস্তাব পাচ্ছি না। তাই অপেক্ষা করছি। পরিকল্পনা চলছে। আমার আসলে থ্রিলার ধাঁচের ছবিতে আগ্রহ বেশি।
এখন কি তাহলে আপনি নায়কের চেয়ে বেশি ব্যবসায়ী?
বাপ্পী চৌধুরী : না, নায়কই আছি। ব্যবসায়ী বলতে গেলে, নিজেকে নতুনভাবে তৈরির সময় দিচ্ছি। আমার বাবা আর বড় ভাইকেও সময় দিচ্ছি। আমাদের সুতা ও তুলার ব্যবসা। ওখানে নয়টা-পাঁচটা সময় দিতে হচ্ছে। ছয় মাস ধরে আমার এই রুটিন চলছে। আমিও বেশ উপভোগ করছি। আমার মনে হয়, যেকোনো সন্তানের একটা সময় বাবার হাত ধরা উচিত। আমিও তা–ই করেছি। তিনিও চাইছিলেন, অভিনয়ের পাশাপাশি ব্যবসা করি।
প্রথম আলো :
সিনেমা নিয়ে তাহলে চিন্তাভাবনা কী?
বাপ্পী চৌধুরী : সিনেমা তো করবই। নতুন বছরে নতুন আঙ্গিকে আসব। আশা করছি, বিশেষ দিনের জন্য কাজ শুরু করব।
প্রথম আলো :
১২ বছর ধরে চলচ্চিত্রে আছেন। এক বছর ধরে একেবারেই কাজে নেই। এ নিয়ে কোনো হতাশা নেই?
বাপ্পী চৌধুরী : মানসিকভাবে আমি একফোঁটাও হতাশ নই। আমি মনে করি, যাঁর কাছে বিকল্প থাকে, তিনি কখনো হতাশ হন না। আর যাঁর কাছে তাঁর পরিবার থাকে, তাঁর হতাশা থাকা উচিত নয়। আমি প্রতি সপ্তাহে সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পাই। গল্প পছন্দ হয় না বলে সিনেমা ছাড়ছি। তাই আমার হতাশার তো প্রশ্নই আসে না।
এবার কি বিয়ে করবেন?
বাপ্পী চৌধুরী : নিশ্চিত, আগামী বছর বিয়ে করব। পরিবারের পছন্দে বিয়েটা করব। তাদের পরিকল্পনা আছে, বলেছে মার্চ-এপ্রিলে আমাকে বিয়ের পিঁড়িতে বসিয়ে দেবে। আমিও বিয়ের জন্য তৈরি হচ্ছি।
প্রথম আলো :
হলে গিয়ে সিনেমা দেখা হয়? সর্বশেষ কী দেখেছেন?
বাপ্পী চৌধুরী : আমি নিয়মিত হলে গিয়ে ছবি দেখি। এটা দীর্ঘদিনের অভ্যাস। সর্বশেষ ভয়াল দেখেছি, ভালোও লেগেছে।
প্রথম আলো :
এখন তো শুটিংয়ের ব্যস্ততা নেই। ব্যবসায় সময় দেওয়ার পাশাপাশি কী করেন?
বাপ্পী চৌধুরী : নিয়মিত জিম করছি। ফাইট প্র্যাকটিস করছি। নাচের মহড়াও করছি। এসব নিয়মিত কাজ মনে করেই করছি।