প্রথম আলো :
শুভ জন্মদিন।
নাজিফা তুষি: অনেক ধন্যবাদ।
প্রথম আলো :
জন্মদিন নিয়ে সবারই আলাদা একটি পরিকল্পনা থাকে, আপনার ক্ষেত্রে পরিকল্পনাটা কেমন?
নাজিফা তুষি: বন্ধুবান্ধব, কাছের মানুষ সবাই টেক্সট করে, ফোন করে, ভিডিও কল করে, গিফট পাঠায়—এসবের মধ্যে থাকা হয়। কেউ কেউ দিনটি বিশেষভাবে রাঙিয়ে তোলার চেষ্টা করে। অনেকেই সারপ্রাইজ দেওয়ার চেষ্টা করে। দেখা যায়, অনেক দিন কোনো এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা নেই, তার সঙ্গে কথা হলো। হয়তো আমাকে নিয়ে অন্যরা পরিকল্পনা করে, নিজের কোনো পরিকল্পনা থাকে না। প্রিয়জনদের সঙ্গে দিনটি কাটাতে ভালো লাগে।
প্রথম আলো :
জন্মদিনটি কিছু ভাবায়?
নাজিফা তুষি: জন্মদিন মানেই তো এক বছর জীবন থেকে কমে গেল। বয়স বেড়ে যাচ্ছে (হাসি)। আসলে তেমন কিছু ভাবি না। শৈশবের দিনগুলোর কথা মনে পড়ে। তখন অনেক গিফট পেতাম। ছোট কোনো কিছুতেই তখন অনেক আনন্দ থাকত। এখন টিনএজ পেরিয়ে গেছি। ম্যাচিউরিটি এসেছে। দিন শেষে জীবন নিয়ে ভাবতে হয়। জীবনটা এখন আর আগের মতো নেই, অন্য রকম হয়ে গেছে। নিজের প্রতি দায়িত্ব বাড়ছে।
প্রথম আলো :
অভিনয়ের প্রশংসা পেলেও ভক্তদের অভিযোগ, আপনার কাজের সংখ্যা কম...
নাজিফা তুষি: আমি নিজেও মাঝেমধ্যে এটা ভাবি, কাজের সংখ্যা কম। কিন্তু আমি তো নাটকে অভিনয় করি না। সিনেমা ও ওটিটির কাজ করি। সে কারণে কাজের সংখ্যা কিছুটা কম। কাজের একটা ধারাবাহিকতা থাকা দরকার। তবে ভবিষ্যতে হয়তো দর্শক নিয়মিত আরও ভালো কাজ পাবেন, সেই চেষ্টা করব।
প্রথম আলো :
বললেন যে প্রিয়জনদের সঙ্গে দিনটি কাটে। আপনার এই প্রিয়জন কারা?
নাজিফা তুষি: আমার পরিবার। আমার মা-বাবা, ছোট তিন বোন আছে। এ ছাড়া আমার শৈশবের অনেক বন্ধু রয়েছে, যারা আমার খুবই কাছের বন্ধু। হয়তো অনেক দিন দেখা হয় না। কিন্তু সম্পর্কটা এখনো আগের মতোই রয়ে গেছে। এ ছাড়া ইন্ডাস্ট্রিতে আমার কিছু বন্ধু আছে। তাদের সঙ্গে ভালো সময় কাটে। আমি এই সম্পর্কগুলো ধরে রাখার চেষ্টা করি। কারণ, আমার গণ্ডি অনেক ছোট।
প্রথম আলো :
তারকা হওয়ার পর মিডিয়ার বাইরের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কগুলো কীভাবে রক্ষা করেন?
নাজিফা তুষি: যেকোনো বন্ধুত্বই নির্ভর করে সম্পর্কের যত্নের ওপর। সম্পর্কটাকে লালন করতে হয়। আমার দিক থেকে সব সময় চাই সম্পর্ক রক্ষা করে চলতে। এটা আমি খুবই পছন্দ করি। আমি সময়ের সঙ্গে অনেকের সঙ্গে মিশি। তাদের প্রতি অন্তরের টান অনুভব করি। কারণ, বন্ধু ছাড়া মানুষ একা। এই যে ১২ বছর, কারও সঙ্গে ৮–১০ বছরের বন্ধুত্বের সম্পর্ক, এটা দীর্ঘদিন ধরে লালন করার কারণেই তৈরি হয়েছে। আমার স্কুলের বন্ধুরা বেশির ভাগই এখন বিদেশে। দেখা হয় না কিন্তু সম্পর্ক লালন করার কারণে আগের মতোই রয়েছে।
প্রথম আলো :
বিশেষ দিনগুলো কীভাবে কাটাতে ভালো লাগে?
নাজিফা তুষি: আমার কাছে জন্মদিনটি অবশ্যই বিশেষ। এই দিনটি কাজের মধ্যে থাকলে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। জন্মদিনে শুটিং মানেই আমার কাছে অন্য রকম। কারণ, শুটিং আমার কাছে বিশেষ কিছু। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, আমার জন্মদিন বেশির ভাগই দেখা যায় উৎসবের কোনো দিন পড়ে যায়। এর আগে ঈদে পড়েছে। এবার পূজার দিনে পড়েছে। শৈশবে ঈদের দিন জন্মদিন হওয়ায় সালামি বেশি পেয়েছিলাম। অনেক উপহার পেয়েছিলাম।
প্রথম আলো :
পরিবার থেকে এখন সবচেয়ে বেশি কী শুনতে হয়?
নাজিফা তুষি: মা-বাবা চান আমি ভালোভাবে সেটেল্ড হই। নিজেকে আরও গোছাই। নিজেকে আরও সময় দিই। সবাই তো চায় সন্তানকে ভালো জায়গায় দেখতে। সেগুলো নিয়েই কথা হয়।
প্রথম আলো :
বিয়ে নিয়ে কিছু বলেন...
নাজিফা তুষি: মাঝেমধ্যে তো তাঁদের জায়গা থেকে বলেনই। বিয়ে নিয়ে আমি নিজেই কম ভাবি। যে কারণে মা-বাবাও বিয়ে নিয়ে তেমন কিছু বলতে পারেন না। আমি এখন ক্যারিয়ারকেই গুরুত্ব দিচ্ছি বেশি।
প্রথম আলো :
ব্যস্ততা...
নাজিফা তুষি: হাতে কিছু কাজ রয়েছে, সেগুলোর দিকেই মনোযোগ। সিনেমা, নাকি সিরিজে অভিনয় করছি, এগুলো এখনই বলা যাবে না। তবে দর্শক সামনে কিছু কাজ পাবেন।