অভিনয়জীবনে এমন চরিত্র করিনি

মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচারিত হচ্ছে নাটক ‘সিটি লাইফ’। আজ ধারাবাহিকটির শততম পর্ব প্রচারিত হবে। নাটকটির গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন তানজিকা আমিন। গতকাল তাঁর সঙ্গে কথা বলল ‘বিনোদন’

প্রথম আলো:

কেমন আছেন?

তানজিকা আমিন : এই তো ঠিকঠাক। স্বামী বিদেশ। তাই বলতে পারেন, দুজনেরই মন খারাপ। চোখের সামনে একটা মানুষ ছিল। অনেক মজার একজন মানুষ, সেই মানুষটার সঙ্গে এখন ফোনে ফোনে কথা বলতে হচ্ছে। মজাটা সামনাসামনি যতটা হয়, ভার্চ্যুয়ালি তো কম হয়। স্বামী দৃশ্যমান নয় আরকি। সে আমার চোখের সামনে নেই, এটাই কষ্ট।

তানজিকা আমিন। অভিনেত্রীর সৌজন্যে

প্রথম আলো :

তানজিকা আমিন : কোন মুহূর্তের কথা বারবার মনে হয়?

তানজিকা আমিন : আমার স্বামী তো অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে থাকে। ১৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠান হয়েছে, ঠিক পরের সপ্তাহে চলে গেছে। খুব বেশি দিন থাকেনি। আমাদের তাই খুব বেশি ঘোরাঘুরি হয়নি। আমাকে কী মেমোরি দিয়ে গেছে, তা যদি বলতে হয়, বলব, আমার পরিবারের সবার সঙ্গে তার আন্তরিকতা ও ঘনিষ্ঠতা। এত বিনয়ী ও আন্তরিক, পাশাপাশি ভীষণ মজার—এসবই আমার স্মৃতিতে আছে।

স্বামীর সঙ্গে তানজিকা আমিন। অভিনেত্রীর ফেসবুক থেকে
প্রথম আলো:

আপনি কি এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় যাবেন?

তানজিকা আমিন : ও ঈদুল ফিতরে দেশে আসবে। এরপর আমি যাব। এর মধ্যে যাওয়া হচ্ছে না; কারণ, ঈদের কাজ শুরু করতে হবে। আমি হয়তো কোরবানির ঈদটা ওখানে করব, সেভাবেই পরিকল্পনা আছে।

তানজিকা আমিন
ছবি : শিল্পীর ফেসবুক
প্রথম আলো:

ঈদুল ফিতরের কাজ শুরু করেছেন?

তানজিকা আমিন : ঈদের জন্য চ্যানেল আই ও মাছরাঙা টেলিভিশনের দুটি কাজ চূড়ান্ত করেছি। গল্পগুলো পড়েই কাজ করতে রাজি হয়েছি। সামনের মাসে একটি শর্টফিল্মের কাজ শুরু করব, এটাও দারুণ ভাবনা নিয়ে তৈরি হচ্ছে। এখন তো গল্পই পড়ি, অন্য কিছু দেখি না। অবশ্যই পরিচালক বড় ভূমিকা রাখে, কিন্তু সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পায় গল্প।

আরও পড়ুন

প্রথম আলো :

আপনি তো ওটিটি দিয়ে আলোচনায় এলেন। ওই মাধ্যমে কাজের কী অবস্থা?

তানজিকা আমিন : অমিতাভ রেজার পরিচালনায় ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’ সিরিজের কাজ করলাম। ঈদুল ফিতরে আসবে। অমিতাভ ভাইয়ের সঙ্গে বিজ্ঞাপনচিত্রে অনেক কাজ করেছি। ফিকশন প্রথম করলাম। আমার কাছে তাঁকে খুবই গোছানো একজন পরিচালক মনে হয়েছে। তিনি কী চান, তা বেশ ভালোমতেই জানেন। শিল্পীর সঙ্গে তাঁর বোঝাপড়ার পদ্ধতিটাও দারুণ। শিল্পীকে কোন কথাটা বললে কোন রিঅ্যাকশন দেবেন, এটা অমিতাভ রেজা খুব ভালো করেই জানেন। তিনি আমাদের বিজ্ঞাপনচিত্রশিল্পের চিত্রটাই অনেক বদলে দিয়েছেন। তাঁর কারণে বিজ্ঞাপনচিত্রশিল্প বেশ লাভবান হয়েছে। তাঁর সঙ্গে ফিকশন করে ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমার তো মনে হয়, ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’ কাজটা অসাধারণ হয়েছে, এখন পর্যন্ত যা দেখেছি, তাতে এই উপলব্ধি। আমার যে চরিত্র, যতটুকু মনে হয়েছে, ২০ বছরের অভিনয়জীবনে এমন চরিত্র করিনি।

প্রথম আলো:

কী সেই চরিত্র?

তানজিকা আমিন : সেটা তো এখন বলব না। চমক হিসেবে থাকুক। যখন প্রচারিত হবে, তখন সবাই দেখুক। এটা নিশ্চিত করে বলছি, এ রকম চরিত্র, এ রকম লুকে আমাকে কখনো কেউ দেখেনি। কারণ, এ রকম গল্প আগে হয়নি।

প্রথম আলো :

আর কিছু করছেন?

তানজিকা আমিন : না, কারও সঙ্গে কথা হয়নি। মে মাসে একটা পরিকল্পনা আছে। একটা সিনেমায় অভিনয়ের কথাও চলছে।

‘সিটি লাইফ’–এর দৃশ্য। মাছরাঙা টিভির সৌজন্যে
প্রথম আলো:

‘সিটি লাইফ’ নাটকের শততম পর্ব আজ প্রচারিত হচ্ছে...

তানজিকা আমিন : হুম। মাছরাঙার এটি ভালো একটি প্রযোজনা। নাটক তো আসলে অনেক হয়, কিন্তু এটা মোটেও গৎবাঁধা নয়। তা ছাড়া একটু ব্যতিক্রম কিছু না হলে আমারও করতে ইচ্ছা করে না। যেহেতু আমি নিজে নাটকটা করছি, নিশ্চয় ব্যতিক্রম কিছু লেগেছে বলেই করছি। তবে এটাও বলব, একেবারেই ব্যতিক্রম, সবার থেকে আলাদা, এমনটাও নয়। ‘অনলাইন অফলাইন টু’ নামে আরেকটি নাটক মাছাঙারয় প্রচারিত হবে শিগগিরই।