মঞ্চে আসছে 'দেওয়ান গাজীর কিসসা'
দেওয়ান গাজী—গাজীপুরের দেওয়ান। ধানি জমি, সুপারির বাগান, মাছের বিল, গরুর বাথান, চালের কল—যত দূর দেখা যায়, সবই তার সম্পত্তি। লোভী গাজী দেওয়ানেরই আরেক রূপ দেখা যায় যখন সে নেশার ঘোরে থাকে, তখন দেওয়ান গাজী হয়ে ওঠেন এক দয়ালু, স্বার্থহীন মানুষ।
ব্রের্টল্ড ব্রেখটের গল্প অবলম্বনে আসাদুজ্জামান নূর রূপান্তরিত ‘দেওয়ান গাজীর কিসসা’ নাটকের পটভূমি এটি। ঢাকার মঞ্চে চর্চিত এ নাটক আবারও নতুন আঙ্গিকে মঞ্চে আসছে। আগামী বুধবার সন্ধ্যা ছয়টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে প্রাচ্যনাট স্কুল অব অ্যাকটিং অ্যান্ড ডিজাইনের ৩৭তম ব্যাচের সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠান। প্রাচ্যনাটের ৩৭তম ব্যাচ তাদের সমাপনী প্রযোজনা হিসেবে ‘দেওয়ান গাজীর কিসসা’ উপস্থাপন করবে। নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন মনিরুল ইসলাম রুবেল। ওই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অভিনেতা সুভাশিষ ভৌমিক এবং চিত্রশিল্পী বিপুল শাহ্। নাট্য প্রদর্শনী ছাড়াও ওই দিন মিলনায়তনের বাইরে থাকবে উন্মুক্ত পোস্টার প্রদর্শনী।
নাটকে দেখা যায়, ঘটনাচক্রে দেওয়ান গাজীর খাস বেয়ারা হয়ে আসে মাখন আলী। এদিকে গাজী মেয়ের বিয়ে ঠিক করেন দারোগা নফর আলীর সঙ্গে। মেয়ে লাইলী সে বিয়েতে রাজি হয় না। লাইলী মাখনের সঙ্গে ফন্দি করে কীভাবে দারোগার সঙ্গে বিয়েটা ভাঙা যায়। দারোগাকে বিয়ে না করার জন্য সে মাখনকেও বিয়ে করতে রাজি। এদিকে দারোগা নফর আলী সবকিছু বুঝেও না বোঝার ভান করে থাকে, কারণ দেওয়ান গাজীর মেয়েজামাই হতে পারলে তারও সুবিধা অনেক। দেওয়ান গাজীর দ্বৈতসত্তা আর লাইলীর ফন্দিবাজির মাঝখানে মাখন পড়ে উভয়সংকটে। এবার সে পালিয়ে যাওয়ার পথ খোঁজে; এমন কোথাও যেখানে বুকভরে শ্বাস নেওয়া যায়। কিন্তু কোথায় যাবে সে? যত দূর চোখ যায় সবকিছুই যে বুর্জোয়া আর পুঁজিবাদীদের দখলে।