গুরুতর অসুস্থ আবৃত্তিশিল্পী তারিক সালাহউদ্দিন
আবৃত্তিশিল্পী তারিক সালাহউদ্দিন মাহমুদ দুই সপ্তাহ ধরে অসুস্থ। বেশ কিছুদিন ধরেই ব্রেইন ইনফেকশনে ভুগছেন তিনি। পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে কিডনি সমস্যা, হৃদরোগ সমস্যা ও চোখের ছানি সমস্যা। এখন স্ট্রোক করে প্যারালাইজড। এমন তথ্য জানালেন এই আবৃত্তিশিল্পীর একমাত্র মেয়ে সংগীতা বহ্নি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন তাঁদের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে।
সংগীতা জানান, ‘এখন বাবা মাঝেমধ্যে কথা বলতে পারেন। গত ২৬ মার্চ থেকে তিনি অসুস্থ। ৩০ মার্চ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ভর্তি করাই। ২৯ মার্চ থেকেই তাঁর কোনো সেন্স ছিল না। কিন্তু ৩১ তারিখ তাঁরা রিলিজ করে দেয়। করোনা সংক্রমণের কারণে তাঁরা হাসপাতালে রাখতে চায়নি। এখন ময়মনসিংহে আমাদের বাসাতেই আছেন। শুয়ে থাকার কারণে শরীরে ঘা হয়ে যাচ্ছে। সরকারের কাছে সাহায্য চাই। সরকার যদি একটু সহযোগিতা করে, তাহলে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারব। এদিকে মা–ও স্ট্রোক করা।’
আবৃত্তিশিল্পী তারিক সালাহউদ্দিন মাহমুদের জন্ম ১৯৪১ সালের ১৪ অক্টোবর টাঙ্গাইলে। আবৃত্তিচর্চার শুরু তরুণ বয়সে। একক প্রচেষ্টায় আবৃত্তিচর্চা চালিয়ে যাচ্ছেন। আবৃত্তির ওপর লিখেছেন দুটি বই। একটি ‘আবৃত্তিলোক’ অপরটি ‘বস্তুবাদী আবৃত্তিতত্ত্ব’।
তারিক সালাহউদ্দিন মাহমুদ আবৃত্তিশিল্পে তাঁর অবদানের জন্য পেয়েছেন সম্মাননাও। এর মধ্যে স্বরকল্পন আবৃত্তি সম্মাননা পদক ২০০৫, কবিতা বাংলা সম্মাননা পদক ২০১১, নরেন বিশ্বাস পদক ২০১১, জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা ২০১৩, সাহিত্য বাজার সম্মাননা ২০১৪ এবং গোলাম মোস্তফা পদক ২০১৮ উল্লেখযোগ্য।
তাঁর আবৃত্তি নিয়ে আছে অসাধারণ স্মৃতিও। তাঁর মেয়ে সংগীতা বহ্নি জানান, তাঁর বাবা তাঁকে বলেছিলেন, একবার ১৯৬৮ সালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে তারিক সালাহউদ্দিন মাহমুদের আবৃত্তি শুনে স্বয়ং বঙ্গবন্ধু অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। এর কয়েক দিন পরেই ১৫ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান টেলিভিশনে আবৃত্তি অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা হয়ে যায়। ওই অনুষ্ঠানের প্রযোজক ছিলেন প্রয়াত কবি শহীদ কাদরী।