খুলছে জাতীয় নাট্যশালা, পরিস্থিতি বিবেচনায় কিছু নির্দেশনা

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা ভবনছবি: মাসুম অপু

স্বল্প পরিসরে খুলছে জাতীয় নাট্যশালার মূল থিয়েটার হল ও দুটি মহড়াকক্ষ। গতকাল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গে সেনাবাহিনী কর্মকর্তাদের এক সমন্বয় সভায় ১১ অক্টোবর থেকে জাতীয় নাট্যশালার মূল থিয়েটার হল এবং ১ ও ২ নম্বর কক্ষ নাটক ও মহড়ার জন্য সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। জানা গেছে, হল ও মহড়াকক্ষ বরাদ্দের ক্ষেত্রে বিদ্যমান নীতিমালার পাশাপাশি পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশেষ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
শিল্পকলা একাডেমি সূত্রে জানা গেছে, নিরাপত্তার স্বার্থে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের পর থেকে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার বিভিন্ন কক্ষে সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন। তখন থেকে মিলনায়তন ও বিভিন্ন কক্ষ বরাদ্দ প্রদান করা সম্ভব হয়নি। সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় এবং সংস্কৃতিকর্মী ও সংগঠনগুলোর চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে এখন সীমিত পরিসরে জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তন ও দুটি মহড়াকক্ষ নাটক মঞ্চায়ন ও মহড়ার জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এক লিখিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি বিবেচনায় কিছু নির্দেশনা অনুসরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিল্পকলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ। নাট্যদলকে এক শিফটে একটি প্রদর্শনী করার জন্য মূল হল বরাদ্দ দেওয়া হবে। নাট্যসংগঠনগুলো অনলাইনে আবেদন করতে পারবে। বরাদ্দ চূড়ান্ত করার সময় দলকে অবশ্যই তাদের উপস্থিত সদস্যদের তালিকা সংগঠনের প্যাডে লিখিতভাবে নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের দপ্তরকক্ষে জমা দিতে হবে। উক্ত তালিকা মিলনায়তন ব্যবহারের নির্ধারিত দিনে সব গেটে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণের জন্য সরবরাহ করা হবে। দর্শক প্রবেশের জন্য নাটক প্রদর্শনীর দুই ঘণ্টা আগে জাতীয় নাট্যশালার মূল ফটক খুলে দেওয়া হবে। হল বরাদ্দ ব্যতীত জাতীয় নাট্যশালার মূল ফটক খোলা হবে না।
মূল মিলনায়তনে যারা নাটক মঞ্চায়ন করবে, দুটি মহড়াকক্ষ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের বরাদ্দ দেওয়া হবে। তারা মহড়াকক্ষ ব্যবহার করতে না চাইলেই কেবল অন্যদলকে মহড়ার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে বরাদ্দপ্রাপ্ত দলকে অবশ্যই সদস্যদের তালিকা সংগঠনের নিজস্ব প্যাডে লিখিতভাবে নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের দপ্তরকক্ষে প্রদান করতে হবে।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা ভবন
ছবি: মাসুম অপু

মূল ফটক দিয়ে কেবল বরাদ্দপ্রাপ্ত সংগঠনের সদস্য, মহড়াকক্ষ ব্যবহারকারী সংগঠনের সদস্য, শিল্পকলা একাডেমির স্টাফ, সেনাসদস্য এবং টিকিট বা আমন্ত্রণপত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে দর্শনার্থী প্রবেশ করতে পারবেন। সাংবাদিকেরা অফিস পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে প্রবেশ করতে পারবেন। জাতীয় নাট্যশালার মূল হল ও মহড়াকক্ষ ব্যবহারকারী নাট্যকর্মী, সাংবাদিক ও টিকিট বা আমন্ত্রণপত্রধারী দর্শনার্থীদের যানবাহন নির্ধারিত সময়ে নাট্যশালার নিচতলার পার্কিং ব্যতীত অন্য কোথাও পার্কিং করা যাবে না।

শেষ গত ১৯ জুলাই ঢাকার শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটার মিলনায়তনে একটি নাটকের মঞ্চায়ন হওয়ার কথা ছিল। প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে শেষ পর্যন্ত সেদিন আর নাটকটি হয়নি। মূলত এদিন থেকেই ঢাকাসহ সারা দেশের কোনো শিল্পকলা একাডেমিতেই আর কোনো নাটকের মঞ্চায়ন হয়নি।