লিয়াকত আলী লাকীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত দাবি

সমাবেশে ‘বিক্ষুব্ধ থিয়েটার কর্মীগণ’–এর পক্ষ থেকে বিবৃতি পাঠ করেন প্রাচ্যনাটের সাহানা সুমিসংগৃহীত

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পদত্যাগী মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর বিরুদ্ধে ওঠা সব রকম দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, অনিয়ম আর দলীয় লেজুড়বৃত্তির অভিযোগ তদন্ত করে তাঁকে বিচারের আওতায় আনার দাবি তুলেছেন বিক্ষুব্ধ থিয়েটার কর্মীরা।

ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে আজ সোমবার দুপুরে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন লিয়াকত আলী লাকী। এরপর শিল্পকলা একাডেমির সামনে এক সমাবেশে এই দাবি তোলা হয়।

সমাবেশে ‘বিক্ষুব্ধ থিয়েটার কর্মীগণ’–এর পক্ষ থেকে বিবৃতি পাঠ করেন প্রাচ্যনাটের সাহানা সুমি। এতে সাতটি দাবি তোলা হয়েছে।

সমাবেশে বক্তব্য দেন কাজি তৌফিকুল ইসলাম ইমন
সংগৃহীত

সাত দাবি
১. লিয়াকত আলী লাকীর বিরুদ্ধে ওঠা সব দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, অনিয়ম আর দলীয় লেজুড়বৃত্তির অভিযোগ তদন্ত করে তাঁকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
২. শিল্পকলা একাডেমির অন্য যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, অনিয়ম আর দলীয় লেজুড়বৃত্তির অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
৩. লিয়াকত আলি লাকীকে গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন থেকে পদত্যাগ করতে হবে।
৪. গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন ও পথনাটক পরিষদকে মৌলিক রূপান্তরের পথে যেতে হবে। সব লোভ, ক্ষমতা আর স্বজনপ্রীতির ঊর্ধ্বে থিয়েটারকে গুরুত্ব দিতে হবে।
৫. গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বদলাতে হবে। যেন তা স্বৈরাচারীর বশংবদ হয়ে না পড়ে, সে জন্য গঠনতন্ত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে।

৬. জুলাই হত্যাকাণ্ডে আদেশ দেওয়া, নিপীড়নে অংশ নেওয়া, হত্যায় সমর্থন তৈরির পিআর করা মানুষদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ও বিচারের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। যাঁরা কেবল সমর্থন দিয়েছেন হত্যাকাণ্ডকে, তাঁদের যে যে মাধ্যমে সমর্থন দিয়েছেন, সেই মাধ্যমে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে।
৭. ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে সুসম্পর্কের ভিত্তিতে লেজুড়বৃত্তি নয়, সর্বজনের সর্বপ্রাণের শিল্পচর্চার দিকে যেতে হবে।

সমাবেশে বক্তব্য দেন বাকার বকুল, কাজি রোকসানা রুমা, বটতলা, কাজি তৌফিকুল ইসলাম ইমন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মোহাম্মদ আলী হায়দার।

সমাবেশ শেষে সব শহীদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। গণ–অভ্যুত্থানপরবর্তী সময়ে বিপ্লবকে ধরে রাখার জন্য থিয়েটারে সংস্কারের প্রত্যয় ব্যক্ত করে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে সমাবেশটি শেষ হয়।