নতুন কমিটি নিয়ে টাডের যাত্রা, নেতৃত্বে কারা
অভিনেতা-নাট্যনির্দেশক আজাদ আবুল কালামকে সভাপতি এবং সাইফ সুমনকে সাধারণ সম্পাদক করে গঠিত হয়েছে থিয়েটার আর্টিস্টস অ্যাসোসিয়েশন অব ঢাকার (টাড) পূর্ণাঙ্গ কমিটি। ঢাকার মঞ্চনাটকের শিল্পীদের অধিকার রক্ষার উদ্দেশ্যে গত ১৯ অক্টোবর নতুন এই সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ করে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টাড জানায়, গত শুক্রবার বিকেল পাঁচটায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় সংগঠনটির প্রথম সাধারণ সভা। নিবন্ধিত ১৭০ জন সদস্যের মধ্য থেকে ৮০ জন সদস্য উপস্থিত থেকে তাঁদের মতামত প্রদান করেন। ১৩ সদস্যের একটি নির্বাহী কমিটি অনুমোদন করেন সদস্যরা। এই কমিটি ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কাজ করবে।
নতুন কমিটিতে আইরিন পারভীনকে ভাইস প্রেসিডেন্ট, তৌফিকুল ইসলাম ইমনকে সেক্রেটারি অর্গানাইজেশন এবং শামীম সাগরকে ট্রেজারার করা হয়েছে। এ ছাড়া আসাদুল ইসলামকে সেক্রেটারি অফিস, নাজনীন হাসান চুমকিকে সেক্রেটারি কমিউনিকেশন, অপু শহীদকে সেক্রেটারি ইভেন্ট, কাজী রোকসানা রুমাকে সেক্রেটারি ওয়েলফেয়ার, এ কে আজাদ সেতুকে সেক্রেটারি ক্লাব মনোনীত করা হয়েছে। নির্বাহী সদস্য মনোনীত হয়েছেন অম্লান বিশ্বাস, রেজা আরিফ ও সঞ্চিতা শারমিন পিয়া।
সংগঠনটির মূল লক্ষ্য হলো ঢাকা মহানগরীর থিয়েটারচর্চায় মঞ্চে এবং নেপথ্যে যুক্ত শিল্পীদের অধিকার, স্বার্থ ও দাবি, কল্যাণ, পারস্পরিক সম্পর্ক সম্প্রসারণ, শৈল্পিক দক্ষতা উন্নয়নে প্রতিনিধিত্ব করা।
এটি কি গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নাকি পরিপূরক কোনো সংগঠন? এমন প্রশ্নের উত্তরে জানানো হয়েছে, ‘থিয়েটার আর্টিস্টস অ্যাসোসিয়েশন অব ঢাকা কোনোভাবেই থিয়েটার দল বা থিয়েটার দলগুলো নিয়ে গঠিত কোনো সংগঠনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। কারণ, এটি শুধু ব্যক্তির সংগঠন, কোনো দলের নয়।
সংগঠন সূত্রে জানানো হয়, ঢাকা মহানগরে নিয়মিতভাবে অন্তত পাঁচ বছর ধরে নাট্যচর্চার সঙ্গে যুক্ত যেকোনো নাট্যশিল্পী (অভিনেতা, নির্দেশক, নাট্যকার, ডিজাইনার, নেপথ্য মঞ্চশিল্পী) এই অ্যাসোসিয়েশনে আবেদন করতে পারবেন। এখানে প্রতিটি সদস্য একজন একক ব্যক্তি হিসেবে যুক্ত হবেন। তিনি কোনো থিয়েটার দলের প্রতিনিধিত্ব করতেও পারেন, না-ও পারেন। তবে অবশ্যই তাঁকে ঢাকা মহানগরের থিয়েটার-সংশ্লিষ্ট কোনো না কোনো কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে।