ফিরে দেখা ২০২৩: ভালো–মন্দে কেটেছে নাটকপাড়া

নাটকপাড়ায় করোনার ভয় এ বছর পুরোপুরি কেটে গেছে। স্বাভাবিক হয়েছে সবকিছু, আবার মঞ্চে ফিরেছেন দর্শক। এসেছে বেশ কিছু নতুন নাটক। তারকা শিল্পীদের মঞ্চে ফেরা, নতুন নাটক, উৎসব আর নতুন দল—সব মিলিয়ে তুলনামূলক প্রাণচঞ্চল ছিল। তবে হতাশাও ছিল কোনো কোনো জায়গায়। বছর শেষে নাটকপাড়ায় ফিরে দেখেছেন মাসুম অপু

তারকা শিল্পীদের মঞ্চে ফেরা, নতুন নাটক, উৎসব আর নতুন দল—সব মিলিয়ে তুলনামূলক প্রাণচঞ্চল ছিলকোলাজ

‘বাদল সরকারের লেখা ও নাগরিক নাট্য সম্প্রদায় প্রযোজিত ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশে দর্শনীর বিনিময়ে প্রথম প্রদর্শিত নিয়মিত নাটক ‘বাকি ইতিহাস’। দেশ ও বিশ্বের ভয়াবহ সব নৈতিক মানবিক স্খলন–বিচ্যুতির প্রতিক্রিয়ায় এক অধ্যাপকের আত্মহত্যা নিয়ে এই নাটক। ২০২৩ সাল ছিল এই দর্শনীর বিনিময়ে নিয়মিত নাটক মঞ্চায়নের ৫০ বছর পূর্তি। শুধু তা-ই নয়, এর বাইরে এ বছর বেশ কয়েকটি বড় নাট্যদলের ৫০ বছর পূর্তি ছিল। কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর বেশিসংখ্যক নতুন নাটক মঞ্চে এসেছে। যোগ হয়েছে আরও বেশ কয়েকটি নতুন দল। সব মিলিয়ে নাটকপাড়ার জন্য স্মরণীয় একটি বছর। তবে হতাশ হওয়ার মতো চিত্রও ছিল।

মঞ্চে বিদগ্ধজন
রামেন্দু মজুমদার, ফেরদৌসী মজুমদার কিংবা আসাদুজ্জামান নূর—বাংলাদেশের গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন চর্চার ইতিহাসের সঙ্গে নামগুলো জড়িত। যাঁরা ৫০ বছরের বেশি সময় বাংলাদেশের থিয়েটার-জগৎ আলো দিয়ে আসছেন। চলতি বছর দর্শকের জন্য বড় পাওয়া এই মুখগুলোকে মঞ্চে পাওয়া। নতুন নাটক নিয়েই তাঁরা মঞ্চ করেছেন আলোকিত।

নতুন নাটক: ৩৪
উৎসব: ১২
তুন নাটকের দল: ৫
প্রদর্শনী: ১১৮২
লাভ লেটার্স নাটকে পাঠাভিনয় করছেন ফেরদৌসী মজুমদার ও রামেন্দু মজুমদার
ছবি: খালেদ সরকার

নাগরিক নাট্য সম্প্রদায় আয়োজিত ‘আলী যাকের নতুনের উৎসবে’ চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি রেপার্টরি নাট্যদল হৃৎমঞ্চ আনে নাটক ‘রিমান্ড’।

শুভাশিস সিনহার লেখা ও নির্দেশিত এ নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর, যিনি এই নাটকে একজন নৈরাজ্যবাদী লেখকের চরিত্র ধারণ করেছেন। উদ্বোধনী মঞ্চায়নের চার মাস পর নাটকটির কয়েকটি প্রদর্শনী হয়।

নতুন দল: এ্যাক্টোমোনিয়া, অন্তর্যাত্রা, একলব্য রেপার্টরি, কনটেম্পোরারি থিয়েটার আর্টস, নৃ প্রাঙ্গণ।

মহিলা সমিতিতে নাটকটি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আসাদুজ্জামান নূরের ভাষ্য ছিল, ‘মঞ্চনাটকে দর্শকের অনুভূতি আমাকে স্পর্শ করে, এটা আমার জন্য কাছে অনেক বড় পুরস্কার। সেই কারণেই কাজটা করে যেতে পারছি।’ থিয়েট্রেক্স প্রযোজিত নাট্যকার সেলিম আল দীনের ‘স্বর্ণবোয়াল’ নাটকের বিশেষ দৃশ্যে দেখা গেছে আসাদুজ্জামান নূরকে।

‘রিমান্ড’ নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর
প্রথম আলো
আলোচিত নাটক: অচলায়তন (প্রাচ্যনাট), লাভ লেটার্স (থিয়েটার), হার্মাসিস ক্লিওপেট্রা (অনুস্বর), ম্যাকবেথ (স্বপ্নদল, মূকনাট্য), রিমান্ড (হৃৎমঞ্চ), থিয়েটার ফ্যাক্টরির দ্য রেসপেক্টফুল প্রস্টিটিউট।

এ বছরই ঢাকার মঞ্চে যুক্তরাষ্ট্রের নাট্যকার এ আর গার্নির পুলিৎজার পুরস্কারের জন্য মনোনয়নপ্রাপ্ত নাটক ‘লাভ লেটারস’ নিয়ে এসেছে নাট্যদল থিয়েটার। আবদুস সেলিমের বাংলা রূপান্তরে এই নাটকে দর্শকের বড় প্রাপ্তি রামেন্দু-ফেরদৌসী জুটিকে একত্রে মঞ্চে পাওয়া। বললে বাড়াবাড়িও হবে না, নাট্যামোদীদের কাছে ফেরদৌসী মজুমদার ও রামেন্দু মজুমদারকে একসঙ্গে মঞ্চে দেখা স্মরণীয় অভিজ্ঞতার। পুরোনো নাটকের সুবাদে মঞ্চে দেখা গেছে আতাউর রহমান, মামুনুর রশীদের মতো গুণী নাট্যব্যক্তিত্বদের।

সুবর্ণজয়ন্তীর আনন্দ
যুদ্ধফেরত কয়েকজন তরুণ ১৯৭৩ সালের ২৯ জুলাই প্রতিষ্ঠা করেন ‘ঢাকা থিয়েটার’। এ নাট্যদলের প্রথম আহ্বায়ক ছিলেন তিনজন—সেলিম আল দীন, নাসির উদ্দীন ইউসুফ ও ম হামিদ। ওই বছরের নভেম্বরে প্রয়াত নাট্যকার ও অধ্যাপক সেলিম আল দীনের লেখা সংবাদ কার্টুন নাটকটি মঞ্চস্থ হয় ঢাকা জেলা ক্রীড়া সমিতির মিলনায়তনে। এ বছর প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর উদ্‌যাপন করেছে ঢাকা থিয়েটার। সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা থিয়েটার।

উৎসবে নতুন নাটক
এ বছর নাটকের ১২টি বড় উৎসব হয়েছে। সাড়া ফেলে গঙ্গা যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব। তবে ব্যতিক্রম ছিল নাগরিক নাট্য সম্প্রদায় আয়োজিত ‘আলী যাকের নতুনের উৎসব’। সাতটি নতুন নাটক নিয়ে ২০১৯ সালে নাগরিক শুরু করেছিল ‘নতুনের উৎসব’। চলতি বছর নাম বদলে হয়েছে ‘আলী যাকের নতুনের উৎসব’ নামে। বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে নতুন পাঁচটি নাটক মঞ্চস্থের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এ আয়োজন।

হার্মাসিস ক্লিওপেট্রা নাটকের দৃশ্য
ছবি: জাহরা জাহান পার্লিয়া, অনুস্বর

নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের ও মঙ্গলদীপ ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ উৎসবে উৎসবে শুভাশিস সিনহার রিমান্ড, অলোক বসুর দ্য রেসপেক্টফুল প্রস্টিটিউট, মোহাম্মদ আলী হায়দারের সখী রঙ্গমালা, বাকার বকুলের আদম সুরত এবং আজাদ আবুল কালামের অচলায়তন মঞ্চস্থ হয়। উৎসবের সব কটি নাটক দর্শকের মধ্যে যেমন সাড়া ফেলেছে, তেমনি সমালোচকদেরও প্রশংসা কুড়িয়েছে।

ব্যতিক্রম উদ্যোগ
ঢাকার প্রতিষ্ঠিত বেশ কয়েকটি বড় দলের নাট্যকর্মীদের সম্মিলিত উদ্যোগ ‘আগন্তুক রেপার্টরি’। অক্টোবর মাসে তারা মঞ্চে আনে তৃতীয় প্রযোজনা ‘একগুচ্ছ গল্প’। এ প্রযোজনা বিভিন্ন কারণে ব্যতিক্রম। একটি নাটকে রয়েছে ছয়টি গল্প। ছয়টি অণুনাটক; সব কটিরই নাট্যকার তাহ্নীনা ইসলাম। মঞ্চে দুটি করে অণুনাটকের নির্দেশনা দিয়েছেন আজাদ আবুল কালাম, ত্রপা মজুমদার ও পান্থ শাহরিয়ার। এ নাটকগুলোয় দেখা গেছে ফেরদৌসী মজুমদার, আজাদ আবুল কালাম, অপি করিম, পান্থ শাহরিয়ার ও শতাব্দী ওয়াদুদের মতো পরিচিত মুখ। এ বছর মঞ্চে আরেকটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নীলিমা ইব্রাহিমের একাত্তরের বীরাঙ্গনাদের নিয়ে লেখা নাটক ‘আমি বীরাঙ্গনা বলছি’।

এই নামে মঞ্চে নাটকটি আনেন সৈয়দ জামিল আহমেদ। জুন মাসের মাঝামাঝিতে টানা ১৫ দিন একই মঞ্চে নাটকটির ২১টি প্রদর্শনী করে নাট্যদল স্পর্ধা: ইনডিপেনডেন্ট থিয়েটার কালেকটিভ। দর্শকের ব্যাপক আগ্রহ ছিল এই নাটকে।

মে মাসে মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে ছিল থিয়েটারওয়ালা রেপার্টরির ‘নাজুক মানুষের সংলাপ’ নাটকের টানা ৯ দিনে ১২টি প্রদর্শনী। লেখক শাহাদুজ্জামান তাঁর সর্বশেষ গল্পগ্রন্থ মামলার ‘সাক্ষী ময়না পাখি’তে কথোপকথনের আঙ্গিকে লিখেছেন ‘নাজুক মানুষের সংলাপ’। সাইফ সুমন নির্দেশিত নাটকটির টানা মঞ্চায়নের উদ্যোগ প্রসংশিত হয়েছে।

অক্টোবর মাসে প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশের নাট্যচর্চার পাঁচ দশক শীর্ষক একটি মূল্যবান গবেষণাগ্রন্থ।

‘আমি বীরাঙ্গনা বলছি’ নাটকের ২১টি প্রদর্শনীর মধ্যে অন্তত ১১টি প্রদর্শনীর শতভাগ টিকিটই মুঠোফোনে বিক্রি হয়েছে। ছবি: প্রথম আলো

অভিজিৎ সেনগুপ্ত সম্পাদিত বইটি বের করেছে নবযুগ প্রকাশনী। বাংলাদেশের ৫০ বছরের নাট্যচর্চার একটি স্পষ্ট ইতিহাস উঠে এসেছে এ প্রকাশনায়। বইটি থেকে শুধু ইতিহাস জানা যাবে, তা-ই নয়, বিষয়সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীরা এখান থেকে অনেক উদাহরণ পাবেন বলে মন্তব্য করেছেন নাট্যাঙ্গনের অনেকে।

সংখ্যায় বেশি হলেও মানের দিক থেকে চিত্রটা মোটেও সুখের নয়। তবে হতাশ হয়ে থেমে থাকারও নয়। নাটকের সার্বিক উন্নয়নে এমন উদ্যোগ শিল্পকলা একাডেমি, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে নেওয়া উচিত। কেননা দেশে অনেক ভালো নির্দেশক ও নাট্যকার রয়েছেন।
নাট্যগবেষক বাবুল বিশ্বাস

রেকর্ডসংখ্যক নতুন নাটক
সংখ্যার বিবেচনায় এ বছর মঞ্চে এসেছে অনেক নতুন নাটক। পুরোনো নাটক ফিরে আসার মতো ঘটনাও ঘটেছে। বছরের প্রথম দিন ১ জানুয়ারি জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটারে প্রদর্শিত হয় গাজী রাকায়েত নির্দেশিত চারুনীড়ম থিয়েটারের প্রযোজনা আরশোলা, রঙের দিন ও শরতের মেঘ। ২৯ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়ের নতুন নাটক সুরেন্দ্র কুমারী। ধারণা করা হচ্ছে, এটিই হবে চলতি বছরের শেষ নাটক। বাংলাদেশ থিয়েটার আর্কাইভসের প্রাথমিক সূত্র অনুযায়ী সব মিলিয়ে এ বছর ৭৩টি নাটক মঞ্চে এসেছে। গত বছর যে সংখ্যা ছিল মাত্র ৩৪। এ ছাড়া প্রায় দুই দশক পর সেলিম আল দীনের পাঁচালি নাটক প্রাচ্য মঞ্চে নিয়ে এসেছে ঢাকা থিয়েটার। সাত বছর পর নাট্যদল তীরন্দাজ রেপার্টরির আলোচিত নাটক কণ্ঠনালীতে সূর্য ঢাকার মঞ্চে ফিরেছে।

ফেডারেশনে মতভেদ
১৯৮০ সালের ২৯ নভেম্বর প্রতিষ্ঠার পর বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনে মাঝেমধ্যে টুকটাক জটিলতা দেখা গেছে। তবে কখনো তা স্থায়ী হয়নি। বড় ধরনের মতভেদ বা বিচ্ছিন্নতা ছিল গ্রুপ থিয়েটারে ফেডারেশনে। চলতি বছরে ফেডারেশনে চোখে পড়ার মতো সংকট তৈরি হয়েছে।

আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও সাংগঠনিক স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে কামাল বায়েজীদকে অব্যাহতি দেয় গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন
কোলাজ

২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও সাংগঠনিক স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে সাধারণ সম্পাদক কামাল বায়েজীদ ও অর্থ সম্পাদক রফিক উল্লাহ্ সেলিমকে অব্যাহতি দেয় গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন। নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এবং মানহানির অভিযোগ এনে দুটি আলাদা মামলা করেন কামাল বায়েজীদ।

এ ঘটনার সূত্রে ফেডারেশন থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রতিবাদে নাট্যদল ‘ঢাকা থিয়েটার’ ফেডারেশন থেকে সদস্যপদ প্রত্যাহারের আবেদন জানায়। একই সূত্রে ফেডারেশনের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির ‘স্বেচ্ছাচারিতা, অগঠনতান্ত্রিক ও অবৈধ কার্যক্রমের’ অভিযোগ এনে ‘সাধারণ নাট্যকর্মীবৃন্দ’ নামের একটি প্ল্যাটফর্মও গঠন করেন ফেডারেশনভুক্তসহ দেশের বেশ কয়েকটি নাট্যদলের সদস্যরা।
নতুন সাড়া ফেলতে পেরেছে কি
মঞ্চে কাজ করেন, নিয়মিত নাটক দেখেন এবং নাটক নিয়ে লেখালেখি করেন, এমন ১০ জনের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কথা হয়। জানার চেষ্টা করি, চলতি বছর তাঁদের নতুন নাটক দেখার অভিজ্ঞতা। তাঁরা বার্তা পাঠিয়ে জানিয়েছেন নিজের কাছে ভালো লাগার উল্লেখযোগ্য নাটকের নাম।

কথা হয় কয়েকজন নাট্যব্যক্তিত্বের সঙ্গে। সব মিলিয়ে একটা বিষয় পরিষ্কার, চলতি বছর সংখ্যা বিবেচনায় নাটকের জন্য উর্বর বছর হলেও সাড়া ফেলতে পেরেছে তুলনামূলক কম নাটক। বরং ঘুরেফিরে এসেছে অচলায়তন (প্রাচ্যনাট), লাভ লেটার্স (থিয়েটার), বীরাঙ্গনা (স্পর্ধা), হার্মাসিস ক্লিওপেট্রা (অনুস্বর), সিদ্ধার্থ (আরশীনগর), তীর্থযাত্রী (নাট্যকেন্দ্র),ম্যাকবেথ (স্বপ্নদল, মূকনাট্য), অন্তরে বাহিরে চিত্রাঙ্গদা (নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়), তাজমহলের টেন্ডার (কণ্ঠশীলন), ভগবান পালিয়ে গেছে (বাতিঘর), সখী রঙ্গমালা (বটতলা), দ্বিতীয় বিজয়া (ম্যাড থেটার) নাটকগুলোর কথা উঠে এসেছে বারবার।

ম্যাকবেথ নাটকের একটি দৃশ্য
ছবি: সংগৃহীত

বছরের আলোচিত প্রযোজনার মধ্যে একাধিক নাটক রয়েছে মঙ্গলদীপ ফাউন্ডেশন ও নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রযোজিত নাটক। বাংলাদেশ থিয়েটার আর্কাইভসের উদ্যোক্তা নাট্যগবেষক বাবুল বিশ্বাস মনে করেন, সংখ্যায় বেশি হলেও মানের দিক থেকে চিত্রটা মোটেও সুখের নয়। তবে হতাশ হয়ে থেমে থাকারও নয়। বাবুল বিশ্বাস মনে করেন, নাটকের সার্বিক উন্নয়নে এমন উদ্যোগ শিল্পকলা একাডেমি, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে নেওয়া উচিত। কেননা দেশে অনেক ভালো নির্দেশক ও নাট্যকার রয়েছেন।