নতুন কমিটি ঘোষণার মধ্য দিয়ে শেষ হলো বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের ত্রয়োদশ জাতীয় বার্ষিক কাউন্সিল। পরপর সপ্তমবার সংগঠনের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আসাদুজ্জামান নূর। এ ছাড়া পরপর চতুর্থবারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মো. আহকাম উল্লাহ। আগামী তিন বছর তাঁরা এই দায়িত্ব পালন করবেন।
বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ ১৯৮৮ সালের ১৪ এপ্রিল (পয়লা বৈশাখ) যাত্রা শুরু করে। সংগঠনের প্রথম সভাপতি ছিলেন ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম সাধারণ সম্পাদক সাগর লোহানী। এবার ১৩তম কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হলো।
আজ শনিবার বিকেলে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের ত্রয়োদশ জাতীয় বার্ষিক কাউন্সিলে তাঁরা পুনর্নির্বাচিত হন। সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে দিনব্যাপী এই কাউন্সিলে সারা দেশের সদস্যভুক্ত ২৮০ সংগঠনের তিনজন করে প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
কাউন্সিলের শুরুতে শোক প্রস্তাব পাঠ করা হয়। সাধারণ সম্পাদক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। সদস্যপদ নিয়ে আলোচনা, অর্থ সম্পাদকের প্রতিবেদন, সাধারণ সম্পাদক ও অর্থ সম্পাদকের প্রতিবেদনের ওপর আলোচনা, সদস্য সংগঠনের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ, গঠনতন্ত্র সংশোধনী নিয়ে আলোচনা, নতুন কমিটি গঠন ও ভবিষ্যৎ কর্মসূচির পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়।
কাউন্সিলে দেশের তিনজন বিশিষ্ট আবৃত্তিশিল্পী ও সংগঠক আশরাফুল আলম, মীর বরকত ও হাসান আরিফ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের কাউন্সিল ও ভবিষ্যৎ কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা করেন। কাউন্সিল সভায় সভাপতিত্ব করেন আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি আসাদুজ্জামান নূর।
এ ছাড়া সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ইস্তেকবাল হোসেন, বেলায়েত হোসেন, রূপা চক্রবর্তী, গোলাম সারোয়ার, শাহাদাত হোসেন, সোহরাব হোসেন তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, শিমুল মুস্তাফা, ইকবাল খোরশেদ জাফর, রেজীনা ওয়ালী, ফয়জুল আলম, নাজমুল হাসান (কুমিল্লা), আবু সুফিয়ান চৌধুরী (ফরিদপুর), মোকাদ্দেম বাবুল (সিলেট), আজমল হোসেন (বরিশাল), আলম আরা (খুলনা), মোহাম্মদ কামাল (রাজশাহী), কান্তি কানিজা (ময়মনসিংহ) ও সমরজিৎ দাস (চট্টগ্রাম)।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন আজহারুল হক আজাদ, মীর মাসরুর জামান রনি, মাসুদুজ্জামান, কাজী মাহতাব সুমন ও রাশেদ হাসান। সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন আহসানউল্লাহ তমাল (ঢাকা), জয়দেব সাহা (ময়মনসিংহ), শাহাদাত হোসেন (ফরিদপুর), এমদাদ হোসেন কিশোর (কুমিল্লা), দেবাশীষ রুদ্র (চট্টগ্রাম), শরিফ আহমেদ (রাজশাহী), খান মাজহারুল হক লিপু (খুলনা), মারিফ বাপ্পী (বরিশাল) ও মনির হোসেন (সিলেট)। অর্থ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, অনুষ্ঠান সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, প্রশিক্ষণ সম্পাদক অলোক বসু, প্রচার সম্পাদক ফয়জুল্লাহ সাঈদ, প্রকাশনা সম্পাদক জি এম মোর্শেদ, দপ্তর সম্পাদক শিরিন ইসলাম এবং তথ্যপ্রযুক্তি ও গবেষণা সম্পাদক মিজানুর রহমান।
নির্বাহী সদস্যরা হলেন অনন্যা লাবণী, ফখরুল ইসলাম তারা, প্রশান্ত অধিকারী, সুবর্ণা আরফিন, মাশরুক রহমান, সিদ্দিকুর রহমান পারভেজ, আমিরুল বাশার, জিয়াউল ইসলাম, জালালউদ্দিন হীরা, আহমেদ শিপলু, সামসুজ্জামান বাবু, মাহবুবুর রহমান, অনন্যা সাহা, পুনম চিনু, তাসকিয়াতুন নূর তানিয়া, হাসান জাহাঙ্গীর, মশরুর হোসেন, সেলিম রেজা সাগর, সুকান্ত গুপ্ত, সাইমুম আঞ্জুম ইভান, রফিকুদ্দৌলা রাব্বী, শরীফ মজুমদার, আবদুল বারী, মো. জাহিদুল ইসলাম, ইমরান সাগর, মেরুনা বানু মুন, ম ম জুয়েল, আরিফ কাদরী, গোলাম মোস্তফা, এ টি এম মাকসুদুল হক, আল আমিন, সুলতান মাহমুদ শ্রাবণ, সালমানুল মেহেদী, উম্মে কুলসুম পলি, শামীমা রত্না, শামস-উল আলম, মুজাহিদুল ইসলাম প্রিন্স ও মশিউর রহমান।
এ ছাড়া উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা হলেন সৈয়দ হাসান ইমাম, আশরাফুল আলম, ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, এস এম মহসীন, নিরঞ্জন অধিকারী, কাজী মদিনা, পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুবর্ণা মুস্তাফা, ডালিয়া আহমেদ, মীর বরকত, হাসান আরিফ, কেয়া চৌধুরী ও লায়লা আফরোজ।