৬ দিন হাসপাতাল থেকে ১৫ দিনের বিশ্রামে নায়িকা
টাইফয়েড ও ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে টানা ছয় দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন ঢালিউডের নবাগত নায়িকা জাহরা মিতু। কিছুটা সুস্থ অনুভব করলে গতকাল শুক্রবার বাসায় ফিরেছেন তিনি। তবে দুর্বলতা এখনো কাটেনি বলে জানালেন মিতু।
অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে হঠাৎ প্রচণ্ড জ্বরে আক্রান্ত হন ঢালিউডের নবাগত নায়িকা ও মডেল জাহরা মিতু। জ্বর ও সারা শরীরে ব্যথার কারণে ভেবেছিলেন, করোনায় আক্রান্ত কি না! পরে চিকিৎসকের পরামর্শে কোভিড-১৯ টেস্ট করান। ফলাফল নেগেটিভ আসে। জ্বর না কমায় পরিবারের সবার নিরাপত্তার কথা ভেবে আইসোলশনেও চলে যান। পরে আবার টেস্ট করলে জানতে পারেন তিনি টাইফয়েড ও ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত।
পরিচালক ও প্রযোজক সূত্রে কয়েক দিন আগে খবর সামনে এসেছিল, নভেম্বরে দুবাইয়ে জাহরা মিতু অভিনীত ‘কমান্ডো’ ছবির শুটিং শুরু হবে। কিন্তু মিতু জানালেন, ছবির ব্যাপারে তিনি এখনো কিছুই জানেন না।
তাঁকে কমপক্ষে আগামী ১৫ দিন পূর্ণ বিশ্রামে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন চিকিৎসক। এমনকি মিতুকে শুটিংয়ের বিষয়ে চূড়ান্তভাবে কিছুই জানানো হয়নি। প্রথম আলোকে মিতু বললেন, ‘জ্বরের কারণে খাবারের স্বাদ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে।
পরশু দিন পর্যন্ত স্যালাইন আর ইনজেকশনের ওপরই ছিলাম। কী যে দিন গেছে, বলে বোঝাতে পারব না। একটানা ১০ দিন জ্বরে ভোগার পর জীবনকে যেন নতুন করে ফিরে পেলাম। এই সময়টায় আমার বোন ছায়ার মতো পাশে ছিল। সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমত আর আমার বোনের সেবা–শুশ্রূষা ছাড়া এ যাত্রায় বাঁচা সম্ভব হতো বলে মনে হয় না।’
বিনোদন অঙ্গনে কাজের শুরুতে উপস্থাপনা, নাটক আর গানের ভিডিওতে কাজ করতেন।
গত বছরের শেষ দিকে চলচ্চিত্রেও কাজ শুরু করেন তিনি। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের কারণ প্রসঙ্গে মিতু তখন বলেন, ‘অভিনয়ের সবচেয়ে বড় মাধ্যমে কাজ করতে চাই। হয়তো আরও দুই কিংবা তিন বছর পর সিনেমায় অভিনয় করা হতো। মনে মনে চাচ্ছিলাম আর্ট ফিল্মে কাজ করতে। যখন শাকিব খানের সঙ্গে অভিনয়ের প্রস্তাব এল, তখন ভাবলাম, দুই-তিন বছর আগে হলে সমস্যাটা কোথায়? সুযোগ এসেছে, সুযোগটা কাজে লাগাতে চেয়েছি।’
মিতু যে এত দ্রুত সিনেমায় অভিনয় শুরু করবেন তা পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুরা ভাবেননি বলে জানালেন। বললেন, ‘সত্যি কথা বলতে, কেউ কখনো ভাবেনি আমি অভিনয়ে আসব, সবাই ভেবেছিল উপস্থাপনা নিয়েই থাকব।
সুন্দরী প্রতিযোগিতায়ও অনেকবার আমার বন্ধুরা নাম রেজিস্ট্রেশন করেছে। আমি সব সময় বলতাম, পড়ালেখাই ভালো। আমার সেই বন্ধুরাই অবাক, আমি নায়িকা! আমি কিন্তু পড়াশোনা করতে গিয়ে নাচ, গান, অভিনয়, আবৃত্তি—সবকিছুতে অংশ নিতাম। বন্ধুরা তাই বলত, তুই সুন্দরী প্রতিযোগিতায় নাম লিখিয়ে অভিনয় আর মডেলিং শুরু কর। এখন বুঝি, এটাই আমার জায়গা। আমার পরিবার, বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা অনেক খুশি। নায়িকা হিসেবে যাত্রা শুরুর পর নানিবাড়িতে গেলে, নানি আমাকে বলছিলেন, জন্মের পরই তোর মাকে বলেছিলাম, মেয়ের চেহারা নায়িকাদের মতো। বুঝলাম, তিনিও খুব খুশি।’