বর্ষীয়ান অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের কাছে একটি আবদার করেছেন নায়িকা মৌসুমী। গতকাল বাসায় তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন নায়ক ওমর সানী ও মৌসুমী। সেখানে সৌজন্য সাক্ষাতের পর হঠাৎ আবদারটি করে বসেন মৌসুমী। তাঁর দীর্ঘদিনের ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেন এ টি এম শামসুজ্জামানের কাছে।
মৌসুমীর সাধ, এ টি এম শামসুজ্জামানের লেখা একটি চিত্রনাট্যে অভিনয় করবেন। তাঁর সেই সাধ পূরণ করবেন, কথা দিয়েছেন শামসুজ্জামান। বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ থাকার পর এখন তিনি সুস্থ। করোনার কারণে ইচ্ছা থাকলেও প্রিয় এই তারকার সঙ্গে দেখা করতে যেতে পারেননি ওমর সানী ও মৌসুমী। নতুন স্বাভাবিকে সেই সুযোগ হাতছাড়া হতে দেননি তিনি। ওমর সানী ফেসবুকে লেখেন, ‘আমি সব সময় মনে করি, চলচ্চিত্রের একজন দার্শনিক মানুষ, অসম্ভব জ্ঞানের অধিকারী এ টি এম সাহেব। বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থতায় কাবু ছিলেন। মৌসুমীকে নিয়ে তাঁকে দেখতে যাওয়ারও চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে বেশ দেরি হয়ে গেল। অবশেষে তাঁকে দেখে ভালো লাগছে।’
এ টি এম শামসুজ্জামানের বাসা সূত্রাপুরে। সেখানে প্রায় ঘণ্টাখানেক এই অভিনেতার সঙ্গে আড্ডা দেন তারকা দম্পতি। তাঁর কাছে মৌসুমীর আবদার প্রসঙ্গে ওমর সানী লিখেছেন, ‘তাঁর এত আদর, ভালোবাসা, স্নেহ ভোলার মতো নয়। মৌসুমী তাঁর কাছে আবদার করল একটি চিত্রনাট্যের। মৌসুমীর অনেক দিনের শখ, তাঁর স্ক্রিপ্টে ছবি বানাবে। তিনি শোনার সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে গেলেন।’
অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামানের স্ত্রী রুনি জামান প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল দুপুরে ওমর সানী ও মৌসুমী এসেছিলেন। মৌসুমী স্ক্রিপ্ট চাইলে তিনি খুশি হয়েছেন। স্ক্রিপ্ট দিতে রাজিও হয়েছেন। এই বয়সে শারীরিক এই অবস্থায় কীভাবে লিখবেন? জানতে চাইলে রুনি জামান বলেন, তিনি মুখে মুখে বলবেন, সেটা শুনে একজন লিখবেন। এভাবেই মৌসুমীর জন্য চিত্রনাট্য লেখার পরিকল্পনা করেছেন তিনি।
গত বছর এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে অসুস্থ হয়ে পড়েন এ টি এম শামসুজ্জামান। সে রাতে তাঁকে গেন্ডারিয়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দেড় মাসের বেশি সময় চিকিৎসা গ্রহণের পর তিনি এখন কিছুটা সুস্থ। এখন বাড়িতে বই পড়েই বেশির ভাগ সময় কাটাচ্ছেন শামসুজ্জামান।
এ টি এম শামসুজ্জামান বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা, পরিচালক, কাহিনিকার ও চিত্রনাট্যকার। অভিনয়ের জন্য বেশ কয়েকবার তিনি পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। শিল্পকলায় অবদানের জন্য ২০১৫ সালে পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদক।