সিনিয়র শিল্পী আলমগীর, ইলিয়াস কাঞ্চন, সোহেল রানাসহ সবার সঙ্গে কথা বলেই চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে অভিনেত্রী পরীমনির সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে—গণমাধ্যমকে দেওয়া সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের এই বিবৃতি বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেছেন নায়ক আলমগীর। তিনি সরাসরি জানালেন, পরীমনি ইস্যুতে শিল্পী সমিতির কেউই তাঁর সঙ্গে কথা বলেননি।
প্রথম আলোর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে আলমগীর বললেন, ‘আমার সঙ্গে এই বিষয়ে কেউ কোনো কথা বলেনি। আমি ওই সমিতির উপদেষ্টা পরিষদেরও কেউ না। আই অ্যাম নট এন এক্সিকিউটিভ মেম্বার। আমার নাম কেন জড়ানো হচ্ছে, জানি না। শিল্পী সমিতি থেকে এখন কেউ যদি আমার নাম বলে থাকে, সেটা মোটেও ঠিক হচ্ছে না। আবারও বলছি, আমার সঙ্গে কেউ কোনো ধরনের যোগাযোগ করেনি।’
শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগরও স্বীকার করলেন, ‘আমি তো আলমগীর ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে বলিনি। আমার সঙ্গে তাঁর কথা হয়নি। আলমগীর ভাইয়ের কথা যেহেতু জায়েদ খান বলেছে, তাকেই জিজ্ঞেস করা উচিত।’
জিজ্ঞেস করা হলে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেন, ‘আমরা চলচ্চিত্রের সিনিয়র অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে পরীমনির ঘটনা নিয়ে আলাপ করেছি। তখন একেকজনের কাছ থেকে একেক রকম মন্তব্য শুনেছি। পরে বিষয়টি নিয়ে শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী সংসদের সিনিয়রদের সঙ্গে বসেছি। সব শেষে কার্যনির্বাহী সংসদের মিটিংয়ে সবার মতামত নিয়ে সাংগঠনিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের সংগঠনের সংবিধান আছে। সংবিধান রক্ষার্থে আমাদের এই সিদ্ধান্ত। এর মানে এই নয় যে আমরা পরীমনির পাশে নেই। কার্যনির্বাহী সংসদের কথা শুনে আমাদের চলতে হয়।’
তবে পাশাপাশি মিশা সওদাগর এ–ও জানিয়ে রাখলেন, ‘আলমগীর ভাইয়ের সঙ্গে কথা না হলেও উজ্জ্বল ভাই এবং সোহেল রানা ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে।’ তাঁরা এ বিষয়ে কী বলেছেন, জানতে চাইলে মিশা বললেন, ‘আমি তো এটা বলব না।’
তবে কথায় কথায় সদস্যপদ স্থগিতের বিষয়ে মিশা বললেন, ‘জ্যেষ্ঠ শিল্পীদের সঙ্গে আমরা কী কথা বলেছি বা বলিনি, সেটা বিষয় না। সদস্যপদ স্থগিতের বিষয়টি তো কার্যকরী পরিষদের সিদ্ধান্ত।’ তাহলে সিনিয়র শিল্পীদের নাম জড়াচ্ছেন কেন, এই প্রশ্নের কোনো সদুত্তর তাঁর কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
চিত্রনায়ক আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘যেকোনো অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহীর কাছে তো কর্তৃত্ব আছে। যে কর্তৃত্বে তারা সিদ্ধান্ত নিতেই পারে। আমাকে যখন জিজ্ঞেস করেছে, পক্ষ-বিপক্ষে কোনো দিকে যাইনি। বলেছি গো স্লো (ধীরে চলো)। বলেছি, এত তাড়াহুড়ো করার তো কিছুই নাই। যেকোনো একটা ঘটনা ঘটলে তো সেটার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার প্রয়োজন পড়ে না। সে জন্যই বলেছি, গো স্লো, অবজার্ভ হোয়াট ইজ হ্যাপেনিং (ধীরে চলো, দেখো কী ঘটে)।’