ঢাকায় নিজের ঘর চিনছেন না পপি
গতকাল রোববার রাতে ঢাকায় ফিরেছেন পপি। পাঁচ মাস পর ঢাকায় ফিরে নিজের ঘরটাকে চিনতে পারছেন না নায়িকা। করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার আগে পরিবারের সবাইকে নিয়ে খুলনার বাড়িতে যান তিনি। ঢাকায় ফেরার আগে করোনার প্রকোপ বাড়লে আর ফেরা সম্ভব হয়নি। এর মধ্যে করোনায় আক্রান্তও হন তিনি। চিকিৎসা শেষে তিনি এখন পুরোপুরি সুস্থ।
পাঁচ মাস পর ঢাকায় ফিরে নিজের ঘরটাকে চিনতে পারছেন না নায়িকা পপি। আজ সোমবার দুপুরে প্রথম আলোকে এমনটাই জানিয়েছেন তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই নায়িকা। করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার আগে পরিবারের সবাইকে নিয়ে খুলনার বাড়িতে যান তিনি। ঢাকায় ফেরার আগে করোনার প্রকোপ বাড়লে আর ফেরা সম্ভব হয়নি। এর মধ্যে করোনায় আক্রান্তও হন তিনি। চিকিৎসা শেষে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে গতকাল রোববার রাতে ঢাকায় ফিরেছেন পপি।
প্রথম আলোকে পপি বলেন, ‘করোনামুক্ত হওয়ার পরও ফিরব কি ফিরব না, সেই দোটানায় ছিলাম। অনেকের সংক্রমিত হওয়ার খবরও পাচ্ছিলাম। তারপরও প্রয়োজনীয় কাজ থাকায় ঢাকায় ফিরতে হয়েছে। প্রায় পাঁচ মাস পর ঢাকায় ফিরে দেখলাম, পুরো বাসায় ধুলাবালি। ঘর গোছানোর কাজ করছি। করোনার মধ্যে নতুন কয়েকটি ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব এসেছিল। কিন্তু এই মুহূর্তে শুটিংয়ে ফেরার কোনো চিন্তাভাবনা নেই। আপাতত সুস্থ থাকাটা বেশি জরুরি।’
খুলনায় থাকাকালে গত ২২ জুলাই করোনায় আক্রান্ত হন পপি। এরপর দুই দফা পরীক্ষার পর জানা যায় তিনি করোনামুক্ত। বর্তমানে তিনি ঢাকার ইস্কাটনের বাসায় বিশ্রামে আছেন। এর আগে দুই দফা করোনার ফল নেগেটিভ পেয়েছেন এই অভিনেত্রী। করোনামুক্ত হলেও তাঁর শারীরিক দুর্বলতা এখনো রয়ে গেছে।
পপি আক্রান্ত হওয়ার আগে তাঁদের বাসার কেউ করোনায় আক্রান্ত হননি। কীভাবে সংক্রমিত হয়েছিলেন জানতে চাইলে পপি বলেন, ‘করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পর বেশ সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করছিলাম। তবে কিছুদিন রাতের বেলা শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষের মধ্যে খাবার বিতরণ করেছি। এর বাইরে কোথাও বের হইনি। কীভাবে কী হয়েছে বলতে পারি না।’
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর ঢাকা থেকে খুলনায় পৈতৃক বাড়িতে চলে যান পপি। পাঁচ মাস সেখানেই ছিলেন তিনি। প্রথম দিকে পরিবারের সহযোগিতায় পপি নিজেই শহরের বিভিন্ন জায়গায় স্বল্প আয়ের মানুষকে সহায়তা দিয়েছেন। পরে করোনোর প্রকোপ বেড়ে গেলে ঘর থেকে বের হওয়া বন্ধ করে দেন তিনি।