কখনো ভুল করেছি, কখনো ব্ল্যাকমেলের শিকার হয়েছি
দীর্ঘ বিরতির পর নবাব এলএলবি ছবির শুটিংয়ের মধ্য দিয়ে ফিরেছেন শাকিব খান। অনন্য মামুন পরিচালিত এই ছবির শুটিং শুরু হয় ১০ সেপ্টেম্বর। নতুন স্বাভাবিকে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা কেমন, শাকিব জানালেন অকপটে।
প্রশ্ন :
নতুন স্বাভাবিকে শুটিং শুরু করলেন...
লকডাউনে ঘরে বসে ২০টির বেশি ছবির পাণ্ডুলিপি পড়েছি। বেশ কয়েকটি গল্প ভালো লেগেছে। এর মধ্যে দেশের বাইরের ছবিও আছে। নবাব এলএলবি ছবির গল্প সময়োপযোগী। এই সংকটের মধ্যেও দেশে ও দেশের বাইরে ছবির শুটিং পরিকল্পনা করা হয়েছে। লকডাউন শেষে যখন কাজে ফেরার পরিকল্পনা করছি, পরিচালক অনন্য মামুন বলল, ‘ভাইয়া, শুরুটা আপনাকেই করতে হবে।’
প্রশ্ন :
ছবির গানের শুটিংয়ের জন্য লন্ডন যাওয়ার কথা শুনেছি।
ছবিটা অনেক বড় ক্যানভাসে নির্মাণের কথা ছিল। বৈশ্বিক মহামারির কারণে লন্ডনে যাওয়া সম্ভব হয়নি। তারপরও মালদ্বীপের আসাধারণ কিছু লোকেশনের সঙ্গে দর্শককে পরিচিত করাব।
প্রশ্ন :
ছবিতে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
সবাই সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছে। ছবিটি দেখার পরে দর্শক উপলব্ধি করবেন—যদি ইচ্ছা থাকে, রুচি থাকে, তাহলে করোনাকালীন সংকটের মধ্যেও ভালো ছবি করা সম্ভব। শুরু থেকেই আমিসহ অন্য অভিনয়শিল্পীরা, পরিচালক, চিত্রগ্রাহক, শিল্প নির্দেশক—প্রত্যেকেই যেভাবে কাজ করছেন, তা মুগ্ধ করার মতো।
প্রশ্ন :
আপনার জীবনের কোন অধ্যায়টি ইরেজার দিয়ে মুছে ফেলতে চান?
কোন অধ্যায় যে মুছে ফেলব, সেটাই বুঝতে পারছি না। করোনা শিখিয়েছে, ব্যস্ত মানুষের অবশ্যই নিজের সঙ্গে কথা বলা উচিত, নয়তো জীবনে অনেক গন্ডগোল হয়ে যায়, ভুল হয়ে যায়। তাই ব্যস্ত মানুষেরা বিপদে পড়েন বেশি। ব্যস্ততার কারণে পারিপার্শ্বিক অনেক কিছু খেয়ালও করতে পারেন না তাঁরা। অনেকে তাই ব্ল্যাকমেল করেন। এটি বুঝতেই অনেক দেরি হয়ে যায়। সারা জীবন ভুগতে হয়। চোখ বন্ধ করে দৌড়াতে নেই। থামতে হয়। সারাক্ষণ ছুটে চলার নাম জীবন নয়।
প্রশ্ন :
কতবার ব্ল্যাকমেলের শিকার হয়েছেন?
কতবার জানি না। তবে অনেক ভুল করেছি। কখনো নিজে ভুল করেছি, কখনো ব্ল্যাকমেলের শিকার হয়েছি।
প্রশ্ন :
এগুলো থেকে কী শিক্ষা নিয়েছেন?
আর ভুল করা যাবে না। অনেক কিছুই শোধরাতে পারব না। এর জন্য হয়তো বড় মাশুল দিতে হবে। কিছু ভুল আছে, যা শুধরে জীবনটাকে সুন্দর করা যায়। এই সময়ে শিখেছি, চোখ–কান খোলা রেখে চলতে হয়। চলার পথে হোঁচটও খেতে হয়। তবে এর মাধ্যমে অনেক কিছু শেখাও যায়।
প্রশ্ন :
ওটিটি প্ল্যাটফর্মে প্রথমবারের মতো ছবি মুক্তি পেতে যাচ্ছে। কী ভাবছেন নতুন এই প্ল্যাটফর্ম নিয়ে?
ছবিটি ওটিটিতে চলবে, আবার প্রেক্ষাগৃহেও চলবে। ওটিটির দিক থেকে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। আমাদের দেশে নেটফ্লিক্স দেখা গেলেও সেখানে আমাদের উল্লেখযোগ্য কোনো ছবি কিংবা নাটক নেই। সিনেমার ব্যবসা এখন শুধু সিনেমা হলকেন্দ্রিক নয়, ওটিটি–কেন্দ্রিক দর্শক তৈরি হয়েছে, এটা বুঝতে হবে। বহির্বিশ্বের দর্শক আকৃষ্ট করার জন্য আমাদের নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম দরকার। ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমাদের প্রচুর বাংলাদেশি দর্শক আছে। তাঁদের টার্গেট করে আমাদের ভালো মানের দেশি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হওয়া দরকার।
সিনেমার ব্যবসা এখন শুধু সিনেমা হলকেন্দ্রিক নয়, ওটিটি–কেন্দ্রিক দর্শক তৈরি হয়েছে, এটা বুঝতে হবে। বহির্বিশ্বের দর্শক আকৃষ্ট করার জন্য আমাদের নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম দরকার। ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমাদের প্রচুর বাংলাদেশি দর্শক আছে। তাঁদের টার্গেট করে আমাদের ভালো মানের দেশি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হওয়া দরকার।