এসব খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকুন: জায়েদ খানকে নিপুণ
চিত্রনায়িকা নিপুণ অভিযোগ করেছেন, ফেসবুকে ফেক আইডি খুলে নানাভাবে তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এসব ফেক আইডি ও আইডি থেকে মন্তব্যকারীদের টাকাপয়সা সরবরাহ করে এই অপপ্রচার চালাচ্ছেন জায়েদ খান ও জয় চৌধুরী। গতকাল বিকেলে নবনির্বাচিত সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে ইমনের শপথ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন নিপুণ।
নিপুণের অভিযোগ, হঠাৎ এক সপ্তাহ ধরে কয়েকটি ইউটিউব চ্যানেল, কয়েকটি ফেসবুক আইডি থেকে নানাভাবে তাঁর নামে কুৎসা রটানো হচ্ছে। গালমন্দ, আজেবাজে মন্তব্য করা হচ্ছে।
নিপুণ বলেন, ‘এসব আইডির মন্তব্যের ঘরের লেখার আচার–আচরণ দেখেই বোঝা যাচ্ছে, তাঁরা সব জায়েদ খান ও জয়ের লোক। আমি নিশ্চিত, তাঁদের দিয়ে এসব নোংরামি করাচ্ছেন এই দুজন। হঠাৎ করেই এক সপ্তাহে জায়েদ খানের এত ভক্ত তৈরি হয়েছে, আমার বিশ্বাস হয় না। এই দুজন টাকাপয়সা খরচ করে ভুয়া আইডি থেকে কিছু মানুষকে আমার পেছনে লাগিয়ে দিয়েছে।’
আপনি কীভাবে নিশ্চিত হলেন, সব জায়েদ খান ও জয় চৌধুরী করাচ্ছেন? এক সংবাদকর্মীর এমন প্রশ্নে নিপুণ বলেন, ‘আমি শিওর হয়েই বলছি। কারণ, প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে এসব আইডির আসল রহস্য আমি বের করে ফেলেছি। এসব আইডি ফেক। জায়েদ খান ও জয় এসব আইডি থেকে কাজ করাচ্ছেন। এটা এখন স্পষ্ট।’
এই অভিনেত্রী জায়েদ খানের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনি সারা দিন বলেন, আমি নাকি আইন লঙ্ঘন করছি। এখন যে আপনি ফেক আইডি দিয়ে টাকা খরচ করে কিছু মানুষকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন, এটি কি আইনের লঙ্ঘন নয়? আপনি ভালো হয়ে যান। আগামীকাল শুনানি আছে, শুনানিতে যা হবে, তা আমি মেনে নেব। তার আগে এসব খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকুন।’ আর জয়ের উদ্দেশে নিপুণ বলেন, ‘ জয়, চলচ্চিত্রে তোমার আগমন বেশি দিন হয়নি। এসব খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকো। ছোট ভাই, তোমার উচিত হবে সিনেমা করার দিকে নজর দেওয়া।’
অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেবেন? এ ব্যাপারে নিপুণ বলেন, ‘অবশ্যই নেব। প্রাথমিক কাজ তো করেই রেখেছি। এখন যদি তাঁরা এসব বিভ্রান্তমূলক কাজ, এমন আজেবাজে কাজ বন্ধ না করেন, তাহলে আমাকে বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নিতে হবে। দেখা যাক, সংশোধন হয় কি না।’
অভিযোগের ব্যাপারে জয় চৌধুরী বলেন, ‘নিপুণ আপার এসব অভিযোগ পুরোটাই ভিত্তিহীন। তিনি যদি মনে করে থাকেন, আমি নানাভাবে তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছি, তাহলে সেটা আমাকে ব্যক্তিগতভাবে বলতে পারতেন অথবা সমিতির প্রেসিডেন্টের কাছে লিখিত দিতে পারতেন। কিন্তু তা না করে তিনি হুট করে আমার বিরুদ্ধে ভিডিওর সামনে বলে দিলেন। আমিও তো একজন সমিতির নির্বাচিত ক্যাবিনেট মেম্বার। আমার সম্মান নিয়ে তিনি এভাবে খেলতে পারেন না। তিনি যদি নিজেকে সেক্রেটারিই মনে করেন, তাহলে তাঁর উচিত ছিল একজন নির্বাচিত ক্যাবিনেট মেম্বারের সম্মান রক্ষা করা। কিন্তু তা তিনি করেননি। এভাবে তো সমিতির ৪২৮ সদস্যের নেতা হওয়া যাবে না।’
এই অভিনেতা আরও বলেন, ‘নিপুণ আপা মুখে বলেন আমাদের নেতা, তিনি তো নেতার পরিচয়ই দিলেন না। জায়েদ খানকে নিয়ে হাজারটা বলুক, সেটা আমার যায়–আসে না। আমাকে আন্দাজে এখানে টেনে এনে সম্মান নষ্ট করা তাঁর ঠিক হয়নি।’ নিপুণের মুখ থেকে একটা শুনে খুব কষ্ট পেয়েছেন বলে জানান জয়। বলেন, ‘ভিডিওতে দেখছিলাম আপু বলছেন, “ওই যে জয় নামে একজন আছে না”, তার মানে এভাবে বলে তিনি কী বোঝাতে চেয়েছেন, আমাকে চেনেন না? বড়রা যদি ছোটদের এভাবে ট্রিট করেন, তাহলে তো ছোটরাও বড়দের সঙ্গে একইভাবে ট্রিট করবে। আমার ব্যক্তিজীবন এতটাই খারাপ না যে এসব নোংরা জিনিস নিয়ে আমি সময় নষ্ট করব।’
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য জায়েদ খানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে কয়েকবার ফোন দিলেও ধরেননি তিনি।