‘আমার হার্টবিট বেড়ে যাচ্ছিল’
গত বছর ১৪তম এশিয়া প্যাসিফিক স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডসে সেরা অভিনেত্রী পুরস্কার জিতেছিলেন আজমেরি হক বাঁধন। সেটা নভেম্বরের কথা। কিন্তু সে সময়ই করোনার জন্য সরাসরি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেননি। অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান শেষ হয় ১০ এপ্রিল। সেই সময় পুরস্কার হাতে পেয়েও সেই খবর ভক্তদের জানাতে পারেননি। অবশেষে পুরস্কার হাতে পাওয়ার অনুভূতি জানাতে গিয়ে বাঁধন বলেন, ‘আমার হার্টবিট বেড়ে যাচ্ছিল। আমার প্রথম প্রাপ্তি, জীবনের সেরা উপহারের একটি।’
বাঁধন আরও বলেন, ‘আমার “রেহানা” সিনেমার সেরা প্রাপ্তি ছিল সেরা অভিনেত্রী পুরস্কার। অনেক কষ্ট করেও এমন সম্মাননা বা স্বীকৃতি অনেকেই পায় না। সেখানে আমি ভাগ্যবান। আমার কষ্ট সার্থক। আমি দীর্ঘদিন ধরেই অপেক্ষা করছিলাম পুরস্কারটি হাতে পাওয়ার। পরে আমাদের টিমের বাবু ভাই আমার কাছে পুরস্কারটি পৌঁছে দেয়। পুরস্কারটি হাতে পেয়ে আমার হার্টবিট বেড়ে যাচ্ছিল। সম্মানটা আমার কাজের মূল্যায়ন। আমার প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক সম্মাননা।’
পুরস্কারটি সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে উৎসর্গ করেছেন এই অভিনেত্রী। তবে বেশির ভাগ দেখা যায়, ফেসবুকে সরব থাকেন। যেকোনো ঘটনা মুহূর্তেই ভক্তদের কাছে শেয়ার করেন। তবে এবার ছিল ব্যতিক্রম। পুরস্কার হাতে পেয়েও সেটা ভক্তদের জানাতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘সেই সময় আমি একটি ফটোশুট করছিলাম। সে অবস্থায়ই আমি পুরস্কার গ্রহণ করি। কিন্তু সেই পোশাকের ছবি ফেসবুকে দেওয়া বারণ ছিল। যে কারণে গতকাল ভক্তদের জানিয়েছি। কারণ, তখন তড়িঘড়ি যুক্তরাষ্ট্রে আসি। এমনকি পুরস্কারটিও সাজিয়ে রেখে আসতে পারিনি। পুরস্কারটি যেভাবে দিয়েছিল, সেভাবেই বক্সে রেখে আসছি। তবে আমি এটাকে অনেক যত্নসহকারে সাজিয়ে রাখতে চাই।’
এ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি উৎসবে অংশ নিতে সেখানে অবস্থান করছেন। একটি উৎসব শেষে হয়েছে। এখন তিনি অংশ নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ডিরেক্টরস নিউ ফিল্মস চলচ্চিত্র উৎসবে। আজ থেকে উৎসবের দুটি প্রদর্শনী রয়েছে। উৎসব থেকে বাঁধন বলেন, ‘এ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য আমি ঈদের আগে ঢাকায় ফিরতে পারব না। হয়তো ঈদের দিন ঢাকা ফিরব। নিউ ডিরেক্টরস নিউ ফিল্মস উৎসবটি ডিরেক্টরসদের প্রাধান্য দেওয়া হয়। এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। আমাদের সিনেমার পরিচালক আসতে পারেনি। “রেহানা”র জন্য পরিচালকসহ সবার কাছে আবার কৃতজ্ঞতা। এবারও বিভিন্ন ভাষাভাষীর দর্শক সিনেমাটিকে অনেক পছন্দ করেছেন।’