আজ ‘বাজি’ দিয়ে নতুন করে মধুবন সিনেপ্লেক্সের যাত্রা শুরু
আবার চালু হচ্ছে মধুবন। বগুড়ার এই সিনেমা হলটিকে এবার সিনেপ্লেক্সে রূপান্তরিত করা হয়েছে। শুক্রবার বেলা তিনটায় বৈকালিক শোতে (ম্যাটেনি শো) ওপার বাংলার জিৎ ও মিমি চক্রবর্তী অভিনীত ‘বাজি’ সিনেমা প্রদর্শনের মাধ্যমে নতুন আঙ্গিকে যাত্রা শুরু করছে ‘মধুবন সিনেপ্লেক্স’।
মধুবন সিনেপ্লেক্সের কর্ণধার আর এম ইউনুস রুবেলের দাবি, ‘নান্দনিক পরিবেশ, সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাউন্ড সিস্টেম, বিশ্বমানের প্রেক্ষাগৃহের অত্যাধুনিক সব সুবিধা–সংবলিত এই প্রেক্ষাগৃহে বগুড়ার দর্শকেরা আন্তর্জাতিক মানে ছায়াছবি উপভোগ করতে পারবেন। এর আসনসংখ্যা ৩৩৯। শুক্রবার তিন এবং অন্য সব দিনে চারটি করে শো প্রদর্শিত হবে মধুবন সিনেপ্লেক্সে।’
জানা গেছে, ১৯৭৪ সালে শাবানা-ওয়াসিম অভিনীত ইবনে মিজান পরিচালিত ‘ডাকু মনসুর’ সিনেমা দিয়ে যাত্রা শুরু করে মধুবন। তখন হলটির ধারণক্ষমতা ছিল ১০০০। মধুবনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ব্রিটিশ আর্মির অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট এ এম ইউনুস। বাবার সঙ্গে সিনেমা হলের ব্যবসা দেখাশোনা করতেন ছেলে আর এম ইউনুস রুবেল। তিনিই ‘মধুবন’ হলটিকে সিনেপ্লেক্সে রূপান্তরের উদ্যোগ নেন। তিনি জানান, ২০১৭ সালে ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছায়াছবি প্রদর্শনের পর সংস্কারকাজের জন্য বন্ধ রাখা হয় মধুবন। টানা সাড়ে তিন বছর ধরে চলে সংস্কারকাজ।
এ এম ইউনুস বলেন, ৪২ ফিট দৈর্ঘ্য ও ২২ ফিট প্রস্থের থ্রিডি পর্দায় দেখা যাবে ছবি। চারটি ১৮ টন রুপটফ শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ছাড়াও নারী দর্শকদের রয়েছে প্রসাধন কক্ষ, পুরুষদের জন্য আলাদা বিশ্রামাগার, ফুডকোর্ট, জুসবার, কফিশপ ও পার্কিং–সুবিধা। শুরুতে সিঙ্গেল স্ক্রিনে প্রদর্শন শুরু হলেও পরে স্ক্রিনের সংখ্যা বাড়বে। বাংলা ছায়াছবি প্রদর্শনীতে টিকিটের হার গোল্ড ৩০০, প্রিমিয়াম ২০০ এবং স্ট্যান্ডার্ড ১০০ টাকা।
বগুড়া জেলা শহরেই একসময় ১০টি প্রেক্ষাগৃহ ছিল। সারা জেলায় এ সংখ্যা ছিল ৩৮। তবে জেলাটি সিনেমার সেই জৌলুশ হারিয়েছে অনেক দিন। ভাঙা পড়েছে ৩১টি হল। শহরে দুটিসহ পুরো জেলায় মোটে ৭টি সিনেমা হল টিকে আছে।
দেড় বছর ধরে করোনার থাবায় সেগুলোও ধুঁকছে। কয়েক দিন আগে শহরের ‘সোনিয়া’ হলটি চালু হলেও দর্শক–খরা কাটছে না। একে একে বন্ধ হয়ে গেছে সাতমাথায় অবস্থিত মাধু, মেট্রো ও মেরিনা, কবি নজরুল ইসলাম সড়কে উত্তরা, চারমাথায় বীথি, জাহাঙ্গীরাবাদ ক্যান্টনমেন্টে সেনা অডিটরিয়াম এবং মাঝিড়া ক্যান্টনমেন্টে উল্লাস সিনেমা হল। মাধু, মেট্রো ও মেরিনা ভেঙে বহুতল শপিং সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে। সর্বশেষ বন্ধ হয়েছে ‘বাম্বি’ সিনেমা হল।