অন্য দেশ হলে কেস করে দিতাম
‘অপরিচিত একজন যদি আপনাকে বলেন, আপনি মোটা কেন, আপনি কালো কেন, আপনার ওজন বাড়ে না কেন, কম খাইয়েন, বেশি খাইয়েন, আপনি মেকআপ নিয়ে ফর্সা হন কেন, আপনি মেকআপ ছাড়া কালো কেন—এমন নানান প্রশ্নের উত্তরে কী বলবেন? আগে কষ্ট পাইতাম, মন খারাপ লাগত। এখন সয়ে গেছে,’ অনেক কষ্ট নিয়েই কথাগুলো বললেন অভিনেত্রী প্রসূন আজাদ।
দীর্ঘদিন ধরে ফেসবুকে এসব নিয়ে নানান বার্তা পান এই অভিনেত্রী। দুই শতাধিক বার্তা পেয়েছেন তিনি। বাইরে গেলেও শরীর নিয়ে নানা কথা শুনতে হয় তাঁকে।
এই অভিনেত্রী বলেন, ‘বডি শেমিং একটি স্টাইল হয়ে গেছে। কিছু না কিছু বলতেই হবে। ঘরে ঘরে প্রচুর সার্টিফিকেট আছে কিন্তু শিক্ষাটা মগজে নেই। একটু ভালো আচরণ একজন মানুষের ভাবমূর্তি যে কতটা পরিবর্তন করে দিতে পারে, সেসব তাঁদের জানা নেই।’
কবে থেকে বডি শেমিংয়ের শিকার জানতে চাইলে কোনো দেরি না করে প্রসূন বলেন, ‘বুঝতে শেখার পর থেকেই শরীর নিয়ে কথা শুনছি। “কালো”, “শুকনো”, “মোটা” শব্দের সঙ্গে ছোট থেকেই পরিচিত। আগে উত্তর দিতাম। এখন কিছু বলি না। আর এটা হয়তো বাংলাদেশ বলেই সম্ভব। অন্য দেশ হলে কেস করে দিতাম।’ তবে প্রসূন আশাবাদী, ‘হয়তো এই বডি শেমিং শেষ হবে। আমাদের সন্তান, শিক্ষিত প্রজন্ম ভবিষ্যতে হয়তো মানুষকে মূল্যায়ন ও সম্মান করতে শিখবে।’
প্রসূন আজাদের সর্বশেষ ছবি ‘পদ্মাপুরাণ’। কাজের পরিকল্পনা প্রসঙ্গে জানালেন, সামনে সিনেমায় অভিনয় করতে যাচ্ছেন। তবে শুটিং শুরু করেই তিনি জানাতে চান।