পরীমনির ফেরার গল্পে সঙ্গী সাইমন
চুক্তিবদ্ধ না হলেও বিভিন্ন সূত্রের খবরে জানা যায়, ‘ডোডোর গল্প’ সিনেমায় পরীমনির নায়ক হচ্ছেন সাইমন সাদিক। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেল, সাইমনই হচ্ছেন পরীমনির নতুন ছবির নায়ক। এই সিনেমার মধ্য দিয়ে দীর্ঘ বিরতির পর আবারও একসঙ্গে এক চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে যাচ্ছেন পরীমনি ও সাইমন সাদিক। আগামী অক্টোবরে এর শুটিং শুরু হবে।
পরীমনি ও সাইমন সাদিক প্রথম অভিনয় করেন ‘রানা প্লাজা’ নামের একটি সিনেমায়। ২০১৪ সালে এটির শুটিং শুরু হয়। নজরুল ইসলাম খান পরিচালিত এই সিনেমার শুটিং শেষ হলেও ৯ বছরেও তা মুক্তি পায়নি। এরপর ‘পুড়ে যায় মন’ নামে একটি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেন তাঁরা। ২০১৬ সালে সিনেমাটি মুক্তি পায়। ২০১৭ সালে শওকত হোসেন পরিচালিত ‘নদীর বুকে চাঁদ’ ছবির শুটিং শুরু হয়।
সিলেটের জাফলং ও বিছনাকান্দিতে গানের শুটিংয়ের মধ্য দিয়ে ছবিটির কাজ শুরুর কথা শোনা গেলেও আজ পর্যন্ত শেষ হওয়ার খবর শোনা যায়নি। ‘বাহাদুরি’ শিরোনামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেন পরীমনি ও সাইমন। এই দুই তারকার চার সিনেমার একটি মুক্তি পেলেও তিনটি মুক্তি পায়নি। ছয় বছরের মাথায় তাঁরা দুজন চুক্তিবদ্ধ হলেন ‘ডোডোর গল্প’ সিনেমায়।
‘ডোডোর গল্প’ সিনেমাটি ২০২১-২২ অর্থবছরের ৬০ লাখ টাকা সরকারি অনুদান পেয়েছে। পরিচালনার পাশাপাশি এই ছবির কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন রেজা ঘটক। সিনেমাটির প্রযোজক নাজমুল হক ভূঁইয়া।
সিনেমাটিতে ফটোগ্রাফার রায়হান চরিত্রে অভিনয় করবেন সাইমন সাদিক। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনেক দিন পর পরী আর আমি একসঙ্গে কাজ করতে যাচ্ছি। সিনেমাটির গল্প-প্রেক্ষাপট একেবারে আলাদা। অন্য রকম একটা বার্তাসমৃদ্ধ গল্প। একেবারে ভিন্ন ধারার কাজ হতে যাচ্ছে। আমার বিশ্বাস, পরিচালক এটি যত্নসহকারে নির্মাণ করবেন। আমরা চেষ্টা করব শতভাগ দিতে। আশা করছি, দর্শক সুন্দর একটি গল্প পেতে যাচ্ছেন।’
ঢালিউডের আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি দীর্ঘদিন লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন থেকে দূরে ছিলেন। মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটিয়ে অবশেষে তিনি চেনা ছন্দে ফিরছেন নতুন সিনেমা দিয়ে। এই ছবির আগে ‘মায়া’ নামের নতুন একটি ওয়েব ফিল্মে চুক্তিবদ্ধের খবরও জানান পরিচালক রায়হান রাফী। ‘ডোডোর গল্প’ সিনেমা দিয়ে দুই বছরের বিরতির পর বড় পর্দার জন্য শুটিংয়ে নামছেন পরীমনি। ‘ডোডোর গল্প’ সিনেমায় কাজল চৌধুরী নামের একটি চরিত্রে অভিনয় করবেন পরীমনি।
নতুন সিনেমা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনেক সুন্দর একটি গল্পে কাজ করতে যাচ্ছি। দিনটি আমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন আমার নিশ্বাসের সঙ্গে মিশে আছে। এ অঙ্গনের মানুষেরা আমার আরেকটি পরিবার। সেটা ছাড়া দীর্ঘ দুটি বছর থাকতে হয়েছে। এ সময়টা আমার পরিবারকে ভীষণ মিস করেছি।’
পরীমনি আরও বলেন, ‘অবশেষে অপেক্ষার পালা শেষ। এই গল্পের জন্য চার মাসের অপেক্ষা এবং চরিত্রের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা। প্রতিটি দিন চরিত্র ও স্ক্রিপ্ট নিয়ে ভেবেছি। যার কারণে “ডোডোর গল্প” আমার কাছে অনেক বেশি স্পেশাল। কারণ, অনেকগুলো গল্পের মধ্যে এটি অনেক ভেবেচিন্তে নির্বাচন করেছি। আশা করি, আমার দর্শকদের জন্য ভালো কিছু অপেক্ষা করছে।’