শ্রাবন্তী বা নুসরাত নয়, সেই সায়ন্তিকাই জায়েদ খানের নায়িকা
‘এটি ভুয়া খবর। আলোচনায় আসার জন্য এসব। আমাকে কয়েকজন এই নিউজের লিংক পাঠিয়েছেন, দেখে আমি হাসলাম। একটা ছবি নিয়ে প্রাথমিক একটা আলোচনা হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। কিন্তু কোনো চুক্তি বা চূড়ান্ত কোনো কিছুই হয়নি। এফডিসিতে এ রকম অনেক পরিচালকের সঙ্গে আমার ছবি নিয়ে আলোচনা হয়, হয়েছে। যদি প্রাথমিক আলোচনাকেই চূড়ান্ত ধরা হতো, তাহলে আমি ৫০টি ছবির ঘোষণা দিতে পারতাম।’
চলতি মাসের শুরুতে কলকাতার সায়ন্তিকার বিপরীতে জায়েদ খানের অভিনয় করার কথা প্রচারিত হলে ঠিক এমন মন্তব্য করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি এমনও বলেছিলেন, ‘এর আগে অন্য একটি ছবির জন্য শ্রাবন্তীকে নিয়ে একটা নিউজ হয়েছিল। তখন কিছু মানুষ শ্রাবন্তীকে বুঝিয়েছিল, আমি নাকি তাঁর নাম ভাঙিয়ে নিউজ করেছি। সে সময় শ্রাবন্তীকে নিয়ে ইজ্জত গেছে, এবার সায়ন্তিকাকে নিয়ে ইজ্জত নষ্ট করবেন না।’
তবে রটে যাওয়া ঘটনাই সত্যি হচ্ছে। সব জল্পনাকল্পনা শেষে সেই সায়ন্তিকা ব্যানার্জিই হচ্ছেন জায়েদ খানের নায়িকা, ছবির নাম ‘ছায়াবাজ’। আজ বুধবার কক্সবাজারের লোকেশনে শুটিং শুরু হচ্ছে ছবিটির। টানা ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে এই শুটিং। আজ সকালে কলকাতা থেকে ঢাকায় পৌঁছেছেন এই নায়িকা। এর আগে যৌথ প্রযোজনার ‘নাকাব’ ছবিতে শাকিব খানের দুই নায়িকার একজন ছিলেন সায়ন্তিকা।
তথ্যটি নিশ্চিত করে ছবির পরিচালক তাজু কামরুল আজ দুপুরে প্রথম আলোকে জানান, আজ সকালে কলকাতা থেকে ঢাকায় এসেছেন সায়ন্তিকা। দুপুরে কক্সবাজারে পৌঁছেছেন। আজ থেকেই শুটিং শুরু হচ্ছে।
সায়ন্তিকাকে ছবিতে নেওয়া প্রসঙ্গে তাজু বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই এই ছবিতে কলকাতার একজন নায়িকা নেওয়ার চেষ্টা করছিলাম। প্রথম দিকে শ্রাবন্তী, নুসরাত জাহানকে চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু নভেম্বরের আগে কারোই হাতে শিডিউল নেই। কিন্তু আমাদের সেপ্টেম্বরেই শুটিং করতে হবে। পরে সায়ন্তিকার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি কাজটি করতে রাজি হন।’ এই পরিচালক আরও জানান, বাংলাদেশ সরকারের সব নিয়মকানুন মেনেই সায়ন্তিকা বাংলাদেশে এসেছেন।
ভারতের আলোচিত এই নায়িকার বিপরীতে কাজ করার সুযোগে বেশ খুশি জায়েদ খান। তিনি বলেন, ‘সায়ন্তিকা কলকাতার জনপ্রিয় নায়িকা। আজই প্রথম তাঁর সঙ্গে দেখা এবং পরিচয়। কলকাতার “হিরোগিরি”,“ শুটার”, “অভিমান”, “আওয়ারা”-এর মতো ছবির নায়িকা সে। প্রসেনজিৎ, দেব, জিতেরও নায়িকা সায়ন্তিকা। তাঁর সঙ্গে কাজ করব, নিশ্চয়ই ভালো একটা অভিজ্ঞতা হবে। নিজের জন্যও একটা বড় ব্যাপার এটি।’
জায়েদ খান আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে আসার পর সায়ন্তিকার সঙ্গে যতটুকু কথা হয়েছে, আন্তরিক ও সহযোগিতাপূর্ণ মানুষ মনে হয়েছে। আশা করি, তাঁর সঙ্গে ভালো কাজ হবে। তাঁর সঙ্গে যেন তাল মিলিয়ে অভিনয়টা করতে পারি, যেন ব্যর্থ না হয়, সেটি আমার জন্য বেশি সুখকর হবে। পারিবারিক সেন্টিমেন্টের ছবি এটি। দুই ভাইয়ের ওপর গল্প এগিয়েছে। চিত্রনাট্য লিখেছেন আবদুল্লাহ জহির। একটি বিশেষ চরিত্রে মিশা সওদাগরও আছেন ছবিটিতে।’