সংঘর্ষে আহত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী পরিচালক

রিয়াজুল রিজু। ছবি: ফেসবুক

আজ রোববার দুপুরের দিকে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের পাশে বন্ধুদের সঙ্গে দাঁড়িয়েছিলেন তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা রিয়াজুল রিজু। সেখানে হঠাৎ শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেয় পুলিশ। এই সময় পুলিশের ছোড়া গুলিতে (ছররা গুলি) আহত হয়েছেন এই পরিচালক। তাঁর শরীরের চারটি স্থানে ছররা গুলি লাগে। বর্তমানে তিনি বাসায় চিকিৎসাধীন।

রিয়াজুল রিজু। ছবি: ফেসবুক

সন্ধ্যা ছয়টার দিকে রিজু প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি পরিচালনার পাশাপাশি সাংবাদিকতা করি। যে কারণে টাঙ্গাইলে অনেক সাংবাদিক বন্ধুবান্ধব আছেন। তাঁদের সঙ্গেই কথা হচ্ছিল। পাশেই কিছুটা দূরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হচ্ছিল। অনেক শব্দ পাচ্ছিলাম। হঠাৎ শিক্ষার্থীরা দৌড়াতে শুরু করে। এমন সময় পুলিশের ছোড়া গুলি এসে আমার শরীরে লাগে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই চারটি গুলি লেগেছে।’

রিয়াজুল রিজু। ছবি: ফেসবুক

গুলি বিদ্ধ হয়ে সঙ্গে সঙ্গে টাঙ্গাইলের হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। বর্তমানে তিনি বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। এই পরিচালক জানান, তাঁর মাথায়, কানে, গলায় ও কাঁধে চারটি গুলি লাগে। রিজু বলেন, ‘আমি শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনের সঙ্গে সায় দিয়েছি। কিন্তু এখানে নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি করছে দেশের রাষ্ট্রব্যবস্থা। যে রাষ্ট্র শিক্ষার্থীদের বুকে নির্বিচার গুলি চালানোর অনুমতি দেয়, সেই সরকার চাই না। এটা স্বাধীন কোনো দেশ হতে পারে না। আমি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আছি। রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব, তবুও এই বুকে গুলি বন্ধ হোক।’

‘বাপজানের বায়োস্কোপ’ সিনেমার একটি দৃশ্যে সহঅভিনেত্রীর সঙ্গে শহীদুজ্জামান সেলিম। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের তরুণ চলচ্চিত্রকার রিয়াজুল রিজু প্রথম সিনেমা বানিয়েই ২০১৫ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয় করেছেন। সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কারসহ তাঁর প্রথম ছবি ‘বাপজানের বায়োস্কোপ’ আটটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জয় করেন। পরে তিনি ‘ব্ল্যাক লাইট’সহ দুটি সিনেমার শুটিং শুরু করেন।