তাঁরা আমাদের ভালো থাকতে দেবেন না: শরীফুল রাজ
চার মাস ধরে তারকা দম্পতি শরীফুল রাজ ও পরীমনি নিয়ে আলোচনা যেন থামছেই না। বুধবার রাতে প্রায় চার মাসের দ্বন্দ্ব ভুলে সন্তান রাজ্যকে নিয়ে রাজ ও পরীমনিকে একসঙ্গে গান বাংলার অফিসে দেখা যায়। রাজ, পরীমনি ও রাজ্যকে নিয়ে ওই দিন কেক কেটেছেন গান বাংলার দুই কর্ণধার কৌশিক হোসেন তাপস ও ফারজানা মুন্নী——এমন একটি ভিডিও ও বেশ কয়েকটি ছবি বৃহস্পতিবার তাপসের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত হয়। নিচে ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘রাজ্য বাবার জন্মদিন উদ্যাপন করা হচ্ছে টিএমের পক্ষ থেকে।’ ছবিগুলো ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছে।
পরদিনই খবর আসে, রাজ পরীর বাসা থেকে আবার বেরিয়ে গেছেন। এরপর শুক্রবার রাতে রাজের কয়েকটি ছবি ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে শেয়ার হয়। সেখানে একটি ছবিতে মাথায় রক্ত। তবে সেটি রাজে মাথা কি না, বোঝা যাচ্ছে না। আরেকটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছেন। তবে কোথায় কীভাবে কখন রাজের মাথায় ক্ষত হয়েছে, গণমাধ্যমের খবরগুলো তা পরিষ্কার করতে পারেনি। ওই দিনই প্রথম আলো থেকে বারবার রাজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়, কিন্তু রাজ সাড়া দেননি।
তিন দিন পর সোমবার রাতে পাওয়া গেল রাজকে। মুঠোফোনে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
আহত হওয়া বা পরীর সঙ্গে নতুন করে আবার দূরত্ব তৈরির বিষয়টি অস্বীকার করেন রাজ। তিনি বলেন, ‘ফেসবুক বা কিছু অনলাইন পোর্টালে যেসব তথ্য ছড়ানো হয়েছে, সেসব সত্য নয়। গাড়ি দুর্ঘটনায় সামান্য আহত হয়েছিলাম আমি। সামান্য চিকিৎসা নিতে হয়েছিল। ওই দিন ঠিকঠাক হয়ে গেছি। আমি কয়েক দিন ধরে আমার পরবর্তী সিনেমার প্রস্তুতি নিয়ে খুব ব্যস্ত আছি। বাইরে মনোযোগ কম দিচ্ছি। একান্তই না হলে ফোন ধরি না।’
প্রথম আলোর কাছে আফসোস করে ‘পরাণ’খ্যাত এই অভিনেতা আরও বলেন, ‘আমার যা ঘটেনি, তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এটি খুবই দুঃখজনক, এসব শুনে-দেখে কষ্ট পাচ্ছি আমি। আমি, পরী, রাজ্য—এই নিয়ে আমার ঘর। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা হতেই পারে এবং আমাদের মধ্যে কোনো কিছু ঘটলে, যখনই ঠিক করতে যাই, তখনই চারপাশ থেকে কোনো না কোনো একটা ক্যাচাল বা কোনো ইস্যু তৈরি করা হয়। আমি বিষয়টি নিয়ে খুবই বিরক্ত। সবকিছুর সমাধান হওয়া দরকার, শেষ হওয়া দরকার।’
রাজের কথা, ‘আমার কাছে মনে হয়, আমার চারপাশের কিছু মানুষ এই সব বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন, ছড়াচ্ছেন। মনে হচ্ছে, তাঁরা ভালো চান না, তাঁরা আমাদের ভালো থাকতে দেবেন না।’
চারপাশের সেই মানুষ কারা, জানতে চাইলে রাজ বলেন, ‘তাঁদের কথা আর বলতে চাই না। এসব করে যদি তাঁরা ভালো থাকেন, থাকুক। যখন সময় আসবে, তখন সব বলব। আমি আগে নিজেকে একটু গুছিয়ে নিই, নিজে ঠিকঠাক হয়ে নিই, সব বলব।’
রাজের বক্তব্য, ‘আমি ও পরী ঠিকঠাক আছি। আমাদের মধ্যে কোনো সমস্যা নেই। ওর জ্বর হয়েছিল। এখন বেশ সুস্থ আছে। আমাদের নিয়ে বাজনাটা বেশি, সুযোগ পেলেই মানুষ আমাদের বাজায়।’
রাজ জানিয়েছেন, এখন তিনি, পরী, সন্তান রাজ্যসহ বসুন্ধরার বাসাতেই আছেন।