একমাত্র নায়িকা মৌসুমী, যার বয়স সবাই জানে
চিত্রনায়িকা মৌসুমীর জন্মদিন আজ। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন মৌসুমী। ২০ বছর বয়সে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবির মধ্য দিয়ে দেশের চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে তাঁর। প্রথম ছবিতে তাঁর নায়ক ছিলেন সালমান শাহ। অভিনয়ের পাশাপাশি গান গাওয়া, ছবি পরিচালনা এবং প্রযোজনাও করেছেন মৌসুমী। সালমান শাহ ছাড়া ওমর সানির সঙ্গেও তাঁর জুটি জনপ্রিয় হয়েছিল। এরপর তাঁরা বিয়ে করেন। মৌসুমী ও ওমর সানির সংসারে রয়েছেন দুই সন্তান ফারদীন ও ফাইজা।
এখনো পূর্ণ উদ্যমেই কাজ করে চলেছেন মৌসুমী। দীর্ঘ অভিনয়জীবনে উপহার দিয়েছেন অনেক ব্যবসাসফল ছবি। চলচ্চিত্রে অভিনয় করে অর্জন করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা অভিনেত্রীর সম্মানও।
২০২১ সালে জন্মদিন উপলক্ষে প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মৌসুমী বলেছিলেন, ‘দেশের একমাত্র নায়িকা যার বয়স সবাই জানে, সেটা হলো মৌসুমী। শুনি যে বাকি নায়িকাদের বয়স জানতে অনেকের ঘাম ছুটে যায়।
বিষয়টি এমন, সবাই যেন কিশোরী। বয়স আমি গণনার মধ্যে রাখি না। তাহলে মনে হবে, আমার আর প্রয়োজন নেই, মারা যাব। আমার কাছে বয়স শুধুই একটা সংখ্যা। যতক্ষণ দায়িত্বজ্ঞান আছে, কাজ করে যাব। ভেতরকার চঞ্চলতা একই রকম থাকবে। মনের বয়স বাড়তে না দিলেই হয়।’
সেই সাক্ষাৎকারে মৌসুমী জানিয়েছিলেন তাঁর আগামী দিনের পরিকল্পনা। সামনে আরও অনেক কিছুই করার আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিই সামাজিক কাজকে। এটাতে আনন্দ পাই। পাশাপাশি রাজনীতি করতে চাই। আর ব্যবসা-বাণিজ্য তো জীবনেরই অংশ।’ রাজনীতিতে আরও সক্রিয় হতে চান? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘ধীরে ধীরে সক্রিয় হতে চাই। সবার সঙ্গে চলব, ফিরব ও শিখব। একটা সময় দায়িত্ব নেওয়ার মতো অবস্থা যখন হবে, তখন হয়তো আরও সামনের দিকে পা বাড়াব। তবে এখনই সেসব চিন্তা নয়।’ তিনি জানান, রাজনীতিতে যাঁরা জ্যেষ্ঠ ও সক্রিয়, তাঁদের কথা ভিন্ন। কিন্তু তুলনায় যাঁরা নতুন, তাঁদের সঙ্গে তুলনা করলে অভিনয় তাঁকে অনেক প্লাস পয়েন্ট দেয়। তিনি বলেন, ‘সে জন্য আমার ইচ্ছা রাজনীতিতে আরও সক্রিয় হওয়া। তবে এটা কিন্তু সত্যি, কিছু পেতে হবে, এই চিন্তা আমার নেই। মানুষের জন্য কিছু করতে পারলেই আমার ভালো লাগবে।’
এই মুহূর্তের স্বপ্ন কী জানতে চাইলে মৌসুমী বলেছিলেন, ‘সাধারণ সব স্বপ্ন। সন্তানদের বাইরে বড় স্বপ্নের মধ্যে মৌসুমী ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনকে অনেক দূর নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা। সুন্দর একটা বৃদ্ধাশ্রমও করতে চাই।
এগুলো করতে পারলে নিজেকে অনেক সফল মনে হবে। আর যদি না-ও করতে পারি, আমার অবর্তমানে কেউ না কেউ করবে।’
সন্তানদের প্রসঙ্গে মৌসুমী বলেন, ‘ফারদীন কিছু কাজ করেছে। আমরা তাকে উৎসাহ দিয়েছি। পরে আমরা দুজন বলেছি, প্রতিষ্ঠিতও হতে হবে। আমাদের দুজনের যা কিছু, সবই তো ওদের দুই ভাই–বোনের। ফারদীন সিনেমা নিয়ে পড়াশোনা করেছে, তাতে আমরা খুশি। এখন পারিবারিক ব্যবসা দেখাশোনা করছে। অভিনয় না করলেও মা-বাবার অভিনয়জীবনের যা কিছু আছে, সবকিছু ফারদীনকেই ধরে রাখতে হবে। আর মেয়ে ফাইজার ইচ্ছা পাইলট হবে। আমরা কিছু বলছি না। কারণ, তার চাওয়া আমাদের কাছে বড়। ফাইজা সিনেমার আশপাশেও নেই, ব্যবসাও পছন্দ করে না।’