শর্ত সাপেক্ষে বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে হিন্দি সিনেমা আমদানির প্রশ্নে একমত হয়েছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের প্রযোজক, প্রেক্ষাগৃহমালিক, পরিচালক, অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলীরা। চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট ১৯টি সংগঠনের নেতারা আজ রোববার দুপুরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী হাছান মাহমুদকে জানিয়েছেন, হিন্দি সিনেমা আমদানির ব্যাপারে তাঁদের আপত্তি নেই। হিন্দি সিনেমা আমদানিসহ চারটি প্রস্তাব উত্থাপন করে ১৯ সংগঠনের মোর্চা সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদ।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা আপনাদের প্রস্তাব অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করব। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরেও আনতে হবে। আপনারা যে আজ আসবেন, সেটিও তাঁকে জানিয়েছিলাম। আমরা এখন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারব।’
গত মাসে সাফটা চুক্তির আওতায় শাহরুখ খানের পাঠান আমদানি করতে আবেদন করে ঢাকার পরিবেশনা প্রতিষ্ঠান অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্ট। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার মধ্যেই বৈঠকে বসেছিল তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আমদানি–রপ্তানি কমিটি। তবে নীতিমালাসংক্রান্ত জটিলতায় সিনেমাটি আটকে যায়। মাসখানেক পর এই খবর দিলেন তথ্যমন্ত্রী।
হাছান মাহমুদের ভাষ্যে, ‘দীর্ঘ কয়েক বছরের প্রচেষ্টায় কিছু শর্ত সাপেক্ষে নির্দিষ্টসংখ্যক ভারতীয় হিন্দি ছবি আমদানির ব্যাপারে চলচ্চিত্র অঙ্গনের সবাই একমত হয়েছেন। এ জন্য তাঁদের অভিনন্দন। আমিও নির্দিষ্ট পরিমাণ আমদানির পক্ষে, অবাধ আমদানিতে আমাদের শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
কয়েক বছর ধরেই হিন্দি সিনেমা আমদানির দাবি তুলে আসছেন হলমালিকেরা। তবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বরাবরই বলে আসছেন, এফডিসির সব সংগঠন আমদানির বিষয়ে একমত হলে তাদের আপত্তি নেই। এর মধ্যেই শিল্পী সমিতিসহ এফডিসির ১৯ সংগঠনের নেতারা সিনেমা আমদানির প্রশ্নে সম্মত হয়েছেন, গতকাল তা আনুষ্ঠানিকভাবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে।
সিনেমা আমদানি ছাড়া সিনেমা হলের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাজার কোটি টাকার ঋণ তহবিল থেকে ২০০ কোটি টাকা সিনেমা নির্মাণের জন্য বরাদ্দ করা, যৌথ প্রযোজনার নীতিমালা সংস্কার ও এফডিসির নতুন মুখের সন্ধানে আবারও চালু করার দাবি তোলা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াৎ, শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার ও সদস্য রিয়াজ, প্রদর্শক সমিতির সভাপতি কাজী শোয়েব রশীদ, সহসভাপতি মিয়া আলাউদ্দিন, প্রযোজক পরিবেশক সমিতির পক্ষে খোরশেদ আলম ও মোহাম্মদ হোসেন, ফিল্ম ক্লাবের সভাপতি কামাল মোহাম্মদ কিবরিয়া ও সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদের সদস্য সচিব শাহ আলম কিরণ।