চলচ্চিত্র নিয়ে সংস্কৃতি উপদেষ্টার খুব কমই করার আছে: ভ্যারাইটিকে ফারুকী
গতকাল সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। পরে জানা যায়, তিনি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। শপথ অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় ফারুকী বলেছিলেন, ‘আমি কখনোই কোনো পদ কিংবা কোনো চেয়ারে বসব, এটা ভাবিনি। কিন্তু প্রফেসর ইউনূসের সহকর্মী হওয়াটা টেম্পটিং (লোভনীয়), না বলাটা মুশকিল।’ উপদেষ্টা হওয়া নিয়ে চলচ্চিত্রবিষয়ক মার্কিন গণমাধ্যম ভ্যারাইটির সঙ্গেও কথা বলেছেন ফারুকী। এক দীর্ঘ প্রতিবেদনে ফারুকীর প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছে গণমাধ্যমটি।
‘আমি প্রাথমিকভাবে সংশয়ে ছিলাম (উপদেষ্টা হওয়া নিয়ে)। বাংলাদেশ যেহেতু একটা পুনর্গঠনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে আমার হৃদয় বলছিল, “একটা চেষ্টা করে দেখা যাক, কিছু পরিবর্তন করা যায় কি না।”
এ ছাড়া নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ইউনূসের সঙ্গে কাজেরও লোভও কাজ করছিল, যিনি এখন অন্তর্বর্তী সরকারে প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন। ফলে আমি রাজি হয়েছি।’ ভ্যারাইটিকে বলেন ফারুকী।
দায়িত্ব নেওয়ার ক্ষেত্রে কোরীয় নির্মাতা লি চ্যাং-ডংও তাঁকে প্রভাবিত করেছে বলেন জানান ফারুকী। ‘গ্রিন ফিশ’, ‘ওয়েসিস’, ‘সিক্রেট সানশাইন’ নির্মাতা লি ২০০৩-২০০৪ পর্যন্ত কোরিয়ার সংস্কৃতি ও পর্যটনমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
ফারুকী বলেন, ‘(দায়িত্ব নেওয়ার ক্ষেত্রে) এ ছাড়া আমি আমার অন্যতম প্রিয় নির্মাতা লি চ্যাং-ডংয়ের থেকেও সাহস পেয়েছি। মনে হয়েছে, ঠিক আছে। তিনি যদি আবার ফিরে এসে নিজের স্বাধীন চিন্তা অব্যাহত রাখতে পারেন, আমি হয়তো পারব।’
তবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ায় সিনেমা নিয়ে খুব বেশি কিছু করার নেই বলেও মনে করিয়ে দিয়েছেন ‘ডুব’ নির্মাতা। ফারুকীর ভাষ্যে, ‘আমাদের সরকারব্যবস্থায় চলচ্চিত্র নিয়ে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টার খুব কমই করার আছে। তবে আমি চেষ্টা করব শিল্পকলা একাডেমিতে একটা ছাপ রাখতে যেটা আমার মন্ত্রণালয়ের অধীনে।’