মিশার হুংকার, ডিপজল বললেন, ‘আমরা চাই ভদ্রতা ও নম্রতা’
শিল্পী সমিতি নিয়ে যেন আলোচনা থামছেই না। নির্বাচনের মাসখানেক পর সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিপুণের হাইকোর্টে রিটকে কেন্দ্র করে আবারও উত্তপ্ত এফডিসি। রিটে নতুন কমিটি বাতিল চেয়েছেন পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ। নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন অভিনেত্রী। যদিও ফল প্রকাশের দিন নতুন কমিটিকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রীর দাবি, ওই রাতের অনিয়মের অনেক কিছুর প্রমাণ তাঁর কাছে আছে। এই অভিনেত্রী অভিযোগ করে আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন বাতিল ভোটের সংখ্যা সঠিক দেয়নি। আমার জানামতে, ৮১টি ভোট বাতিল হয়েছে। কিন্তু তারা ৪০টি ভোট বাতিল দেখিয়েছে। এ নিয়ে স্পষ্ট করে কোনো কিছুই আমাদের প্যানেলকে জানায়নি নির্বাচন কমিশন।’ পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন ও আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যানের কথাবার্তা রহস্যজনক মনে হয়েছে বলেও দাবি করেন নিপুণ। তবে নিপুণের রিট নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
এদিকে ১৬ মে নতুন কমিটিকে সংবর্ধনা দিয়েছেন মিশা-ডিপজল সমর্থিত শিল্পীরা। এ সময়ে চলমান অস্থিরতা নিয়ে বক্তব্য দেন সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজল। নিপুণের রিট এবং বর্তমান কমিটি নিয়ে তাঁর কটাক্ষেরও জবাব দিয়েছেন ডিপজল। তাঁর ভাষায়, ‘তিনি (নিপুণ) তো বাপকেই অস্বীকার করে। কারণ, ও যাকে দিয়ে চলচ্চিত্র চিনেছে, তাকেই ভুলে গেছে, অস্বীকার করছে। কেস খেলবা আসো। যেটা খেলার মন চায় সেটাই খেলো। আমরা চাই ভদ্রতা ও নম্রতা। আমরা চাই চলচ্চিত্র কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায়, সেদিকেই কাজ করব। আমরা ঝামেলা চাই না।’
এ সময় সভাপতি মিশা সওদাগর কারও নাম উল্লেখ না করে দেন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া। বলেন, ‘যিনি সংবিধানকে ক্ষতবিক্ষত করেছেন, তাঁকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বুঝিয়ে দেব শিল্পী সমিতির সংগঠন কী? এবার শিল্পী সমিতির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কে? এবার শিল্পী সমিতির ক্যাবিনেটটা কী? পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জেনে যাবেন।’