বাঁধন ও দিতিকন্যা লামিয়ার ‘মেয়েদের গল্প’ নিয়ে যা জানা গেল
দেশের চলচ্চিত্রের একসময়ের জনপ্রিয় তারকা দম্পতি সোহেল চৌধুরী ও দিতির কন্যা লামিয়া চৌধুরী চলচ্চিত্র পরিচালনা করবেন, এমন একটি খবর সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন নিজেই। আর এ ছবিতে অভিনয়ের কথা শোনা গিয়েছিল আজমেরী হক বাঁধনের। কিন্তু বছর পার হতেই জানা গেল, ছবিটিতে অভিনয় করছেন না বাঁধন। এমনকি ‘মেয়েদের গল্প’ নামের ছবিটির কবে শুটিং হবে, সে বিষয়েও কিছুই বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট কেউ। কারণ হিসেবে জানা গেল, যে বা যাঁরা এ ছবিটির পেছনে অর্থ লগ্নি করার কথা ভেবেছিলেন, তাঁরা সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন। তাই আপাতত ছবিটি সম্পর্কে কোনো তথ্যই দিতে পারেননি সংশ্লিষ্ট কেউই।
ঢালিউডের জনপ্রিয় তারকা দম্পতি সোহেল চৌধুরী ও দিতির কন্যা লামিয়ার সিনেমার প্রতি আগ্রহ ছোটবেলা থেকেই। তবে পড়াশোনার কারণে এত দিন এ অঙ্গনে কাজ করার সুযোগ হয়ে ওঠেনি, যদিও লামিয়ার পড়াশোনা ছিল চলচ্চিত্র নিয়েই। এ বছরই তাঁর পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্রের শুটিং শুরুর কথা ছিল। প্রথম ছবির নামও ঠিক করে রেখেছিলেন। ‘মেয়েদের গল্প’ নামের এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য লিখিতভাবে চুক্তিবদ্ধ না হলেও মৌখিকভাবে অভিনয়ের জন্য সম্মতি দিয়ে রেখেছিলেন বাঁধন।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বাঁধন বললেন, ‘ছবিটির প্রযোজনায় যাঁর থাকার কথা ছিল, তিনি পরে তাঁর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। এরপর ছবিটি নিয়ে আমাদের কথাবার্তা এবং কাজও খুব একটা এগোয়নি। আমিও আর ছবিটি নিয়ে কোনো খোঁজখবর জানি না। আমি যে নেই, এটা চূড়ান্ত।’
‘মেয়েদের গল্প’ ছবিটি প্রসঙ্গে লামিয়া জানালেন এভাবে, ‘একটি সিনেমায় বেশ কিছু বিষয় থাকে। বিশেষ করে ব্যবসার দিকটা আগে বিবেচনা করতে হয়। সেটাসহ আরও বিভিন্ন কারণে আমাদের চুক্তিটা হয়নি। বাঁধনের সঙ্গে যে সিনেমাটি হওয়ার কথা ছিল, তা আপাতত হচ্ছে না।’
সিনেমাটি নিয়ে নতুন বছরে সুসংবাদ আসতে পারে, এমন ইঙ্গিতও দিয়ে রাখলেন লামিয়া। তিনি জানালেন, চিত্রনায়িকা মা দিতি বেঁচে থাকতেই তাঁরা এই গল্প নিয়ে কাজ শুরু করেন। চিত্রনাট্য তৈরি এবং গানের পরিকল্পনাও অনেকটা এগিয়ে নিয়েছিলেন। এ গল্পের সঙ্গে তাঁর অনেক শ্রম জড়িয়ে আছে। তাই যাদের সঙ্গে বনিবনা হবে, তাদের নিয়ে কিছুটা দেরিতে হলেও কাজটা তিনি শেষ করতে চান।
জানা গেছে, ১০ বছর আগে ‘মেয়েদের গল্প’ নামের এই সিনেমার কথা লামিয়া তাঁর মা দিতিকে বলেছিলেন। অভিনয়ের পাশাপাশি এটি তিনি প্রযোজনা করবেন, এমনটাও কথা দিয়েছিলেন মেয়েকে। কিন্তু কথা রাখতে পারেননি। ২০১৬ সালে মারা যান দিতি।