কাজী হায়াত-মান্নার মনোমালিন্য ও কাজী মারুফের সিনেমায় আসা
কাজী মারুফ, ঢালিউডের একসময়কার জনপ্রিয় অভিনেতা। গুণী পরিচালক কাজী হায়াতের সন্তান তিনি। বহুদিন থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে সপরিবার থিতু হয়েছেন মারুফ। যুক্তরাষ্ট্রে বসেই বানিয়েছেন ‘গ্রিন কার্ড’ সিনেমা। ঈদুল ফিতরে মুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে ছবিটির। সিনেমাটির যৌথ পরিচালনা করেছেন তাঁর বাবা কাজী হায়াৎ ও রওশন আরা।
গল্প এবং সংলাপ লিখেছেন কাজী মারুফ। মূল চরিত্রেও অভিনয় করেছেন তিনি।
একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রয়াত নায়ক মান্নার স্মৃতিচারণা করেছেন কাজী মারুফ।
তিনি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে দেখে এসেছি মান্না আঙ্কেল আমাদের বাসায় আসতেন। আমি তাঁকে আদর করে হোক, উনি আমাকে আদর করে হোক, তাঁকে আমি কিন্তু মান্না আঙ্কেলই বলি। উনি আমার আঙ্কেল, মান্না আঙ্কেল।
আপনাদের মহানায়ক, আমারও মহানায়ক এবং আপনাদের কাছে হয়তো অনেক নায়ক আছেন কিন্তু আমার কাছে একজন নায়কই আছেন। উনি মান্না। উনি মহানায়ক মান্না। উনাকে ছোটবেলায় দেখতাম, উনাকে ছোটবেলায় দেখে বড় হয়েছি। বাসায় আসতেন। যদিও আব্বা অনেকের সঙ্গে ছবি করেছেন, ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে ছবি করেছেন। কিন্তু বেশি ছবি করেছেন মান্না আঙ্কেলের সঙ্গে। একসময় আমার আব্বার মোবাইল ছিল না কিন্তু উনার ছিল। অনেক আগের কথা, যখন মোবাইল অনেক দুর্লভ ছিল। তখনকার কথা। উনাকেই আমি ফোন করতাম, বলতাম আব্বুকে দেওয়া যাবে? উনি আব্বাকে ডেকে দিতেন। বলতেন, মারুফ কথা বলো, দিচ্ছি। সব সময়ই ফোন ধরতেন। অনেক বেশি হোমলি সম্পর্ক ছিল।’
এ সময় নিজের সিনেমায় আসার কারণও ব্যাখ্যা করেন কাজী মারুফ। বলেন, ‘ভালো সম্পর্ক থাকলে মনোমালিন্য হতেই পারে। কাজী মারুফের জন্ম কাজী হায়াতের হাতে। আমার বাবার সঙ্গে মান্না আঙ্কেলের একটা মনোমালিন্য অভিমান থেকে জন্ম। বাবা-ছেলের মধ্যেও মনোমালিন্য হয়। সে রকমই একটি অভিমান। আমার মান্না আঙ্কেল মারা গেছেন, আপনারা ওনার জন্য দোয়া করবেন। আমিও মাঝেমধ্যে দোয়া করি।’