২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

রাজনীতি পারিনি, তাই টিকতেও পারিনি: রাজ্জাকপুত্র সম্রাট

সম্রাট ও রাজ্জাক

বাংলার প্রয়াত কিংবদন্তি নায়করাজ রাজ্জাকের ছোট ছেলে খালিদ হোসেন সম্রাট। তাঁর বড় ভাই বাপ্পারাজ। সিনেজগতে বাবার যে সফলতা, তার ধারেকাছেও নেই দুই ছেলে। যদিও বাপ্পারাজ অভিনয়ে কিছুটা সফলতা পেয়েছিলেন। কিন্তু ছোট ছেলে সম্রাট যেন এলেন আবার নিমেষেই হারিয়েও গেলেন। বাবার পরিচালনায় ‘কোটি টাকার ফকির’ ছবি দিয়ে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করেছিলেন সম্রাট। এরপর একে একে অভিনয় করেন ‘কার্তুজ’, ‘আয়না কাহিনী’, ‘মন দিয়েছি তোমাকে’, ‘বাপ বড় না শ্বশুর বড়’, ‘রিকশাওয়ালার ছেলে’সহ বেশ কিছু ছবিতে।
এরপর ধীরে ধীরে রুপালি পর্দা থেকে হারিয়ে যান সম্রাট। একবার অভিমান ভেঙে ফিরেছিলেন, কিন্তু তেমন কিছু করতে না পেরে আবার অন্তরালে চলে যান রাজ্জাকপুত্র সম্রাট।

সম্প্রতি বেসরকারি গণমাধ্যম আরটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আবারও অভিমানের সুরে কথা বলেন সম্রাট। তিনি বলেন, ‘আমি প্রশিক্ষণ পেয়ে এসেছি, সহকারী পরিচালকের কাজ করেছি, প্রোডাকশনে কাজ করেছি। অভিনয়ের জন্য কাজ করেছি। একজন শিল্পীর তৈরি হতে একটু সময় লাগে। আমি যখন নিজেকে তৈরি করে একটা জায়গায় এসেছি, তখন কিন্তু আমাদের হলগুলো প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। আমি যখন শুরু করেছিলাম, তখন এক শ থেকে দেড় শ সিনেমা হল ছিল। তখন ঈদ দেখে আমার ছবি মুক্তি পায়নি, স্বাভাবিক সময়ে আমার ছবিগুলো মুক্তি পেত এবং টাকা উঠিয়ে আনা সম্ভব হতো। কিছু ছবির লোকসান হতো, কিছু ছবির লাভ হতো।’

নায়করাজ রাজ্জাকের দুই ছেলে—বাপ্পারাজ ও সম্রাট। ফাইল ছবি

ক্ষোভ প্রকাশ করে সম্রাট বলেন, ‘মূলত শিল্পী হতে হলে শৈল্পিক বিষয়গুলো শিখে আসতে হয়। আমি তো রাজনীতি শিখে আসিনি। রাজনীতি করতে পারিনি, সে কারণে হয়তো আমি ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকতে পারিনি। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। তবে অনেক কষ্ট করে কাজ শিখতে হয়েছে। শুধু আমি কেন? প্রত্যেক শিল্পীরই কষ্ট করতে হয় একটা পর্যায়ে যেতে।

রাজ্জাকের সঙ্গে দুই ছেলে বাপ্পারাজ ও সম্রাট। ফাইল ছবি

সেখানে আমার গুরুত্বপূর্ণ একটা সময় চলে গেছে। অবশ্যই কাজের কথা মনে পড়ে। আর এফডিসিতে কাকে মিস করব? কেউ তো আমাদের মিস করে না। এটা কষ্টের কিছু না, বাস্তব বিষয়টা বললাম। আমরা যাদের দেখে বড় হয়েছি, যাদের সাথে কাজ করেছি, তাঁরা অনেকেই নাই, গত হয়েছেন, মারা গেছেন। অনেকে প্রফেশন ছেড়ে চলে গেছেন। এখন যাঁরা এফডিসিতে আছেন, তাঁদের সাথে আমাদের যোগাযোগ ছিল না। সে কারণে বন্ডিংটা তৈরি হয়নি। একটা গ্যাপ হয়ে গেছে।’

বাবা রাজ্জাকের প্রসঙ্গে সম্রাট বলেন, ‘বাবার সিনেমাগুলো অবশ্যই দেখি। তাঁর কথা মনে হলেই সিনেমা দেখা হয়। তিনি কীভাবে নায়করাজ রাজ্জাক হয়েছেন, সেটা বোঝার জন্যও দেখতে হয়। আর নতুন শিল্পীরা চেষ্টা করছে। একজন শিল্পীর তৈরি হতে সময়ও লাগে।’