কীভাবে বোঝা যাবে প্রাপ্ত-অপ্রাপ্তবয়স্কদের ছবি কোনটি

‘৩৬-২৪-৩৬’ সিনেমাটি ‘ইউ’ ক্যাটারগরিতে সনদ পেয়েছে। ছবি: চরকির সৌজন্যে

সম্প্রতি সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে মুক্তির অনুমতি পেয়েছে ‘৩৬-২৪-৩৬’ সিনেমাটি। সৈয়দ জামান শাওন ও প্রার্থনা ফারদিন দীঘি অভিনীত চরকির সিনেমাটির সেন্সর সার্টিফিকেশন সনদে লেখা গ্রেডিং ‘ইউ’তে সিনেমাটি সনদ পেয়েছে। এটা নিয়ে সিনেমাভক্তদের মধ্যে কৌতূহল লক্ষ করা যায়। কারণ, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই প্রথম সিনেমার গ্রেডিং প্রকাশ্যে এল।

সম্প্রতি সেন্সর পাওয়া ‘নয়া মানুষ’ সিনেমার দৃশ্যে মৌসুমী হামিদ
পরিচালকের সৌজন্যে

দেশের বাইরে কোনো দেশে ৪/৬টির মতো সিনেমার গ্রেডিং থাকলেও বর্তমানে বাংলাদেশে দুটি গ্রেডিং পদ্ধতিতে আপাতত সনদ পাচ্ছে সিনেমাগুলো, এমনটাই জানালেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবদুল জলিল। তিনি বলেন, ‘দায়িত্ব নেওয়ার পর আমরা বেশ কিছু সংস্কারের কথা জানিয়েছি কর্তৃপক্ষকে। এরপর দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমরা গ্রেডিং পদ্ধতিতে সনদ দিতে পেরেছি। এখন থেকে যত সিনেমা জমা পড়বে, প্রতিটিরই গ্রেডিং করা হবে।’

কীভাবে সিনেমাগুলো গ্রেডিং করছেন, জানতে চাইলে সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ডের সদস্য খিজির হায়াত খান জানান, এসব সিনেমাকে, সেই ১৯৭৭ সালের সেন্সর সনদ বিধি ও ২০২৩ সালের সার্টিফিকেশন আইন অনুযায়ী দুটি ক্যাটাগরিতে গ্রেডিং করা হচ্ছে। ‘ইউ’ ও ‘এ’। সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ‘ইউ’ ক্যাটাগরির সিনেমা সর্বজনীন বা সব শ্রেণির দর্শকের জন্য প্রযোজ্য। আর ‘এ’ গ্রেডের সিনেমাগুলো শুধু প্রাপ্তবয়স্ক দর্শকের জন্য। এসব সিনেমা কিশোরদের জন্য উপযোগী নয়।

সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ড সূত্রে আরও জানা যায়, গ্রেডিং পদ্ধতিতে আরও কয়েকটি গ্রেড যুক্ত হবে, সেগুলো নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে। সেভাবেই নতুন আইন ও বিধিমালা করা হচ্ছে। এর আগে ‘নয়া মানুষ’ সিনেমাটি সেন্সর সার্টিফিকেশন পেলেও সনদে গ্রেডিং উল্লেখ ছিল না।