‘কল্পনাই করতে পারি নাই কয়েক লাখ টাকার টিকিট বিক্রি করতে পারব’
রাশিয়ার মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবের নেটপ্যাক জুরিসহ একাধিক উৎসব থেকে পুরস্কার ও প্রশংসা পায় তরুণ নির্মাতা যুবরাজ শামীম পরিচালিত সিনেমা ‘আদিম’। কিন্তু প্রশংসিত সিনেমাটি দেশের প্রেক্ষাগৃহে চালানোর জন্য সংগ্রাম করতে হয় পরিচালককে। সিনেমাটি ২৫ মে মাত্র ৩টি সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছিল। তারপরও থেমে থাকেননি নির্মাতা। এবার বিকল্প উপায়ে মুক্তির পথে হাঁটছেন শামীম।
পরিচালক বলেন, ‘সিনেমাটি মুক্তির পর আমরা দর্শকদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পেয়েছি। যাঁরা সিনেমাটি দেখেছেন, প্রশংসা করেছেন। আমাদের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি দর্শক ছিল। আমরা কল্পনাই করতে পারি নাই কয়েক লাখ টাকার টিকিট বিক্রি করতে পারব। স্ক্রিনিংও বেড়েছিল। কিন্তু সিনেপ্লেক্সগুলো হয়তো ব্যবসায়িক কারণে সিনেমাটি পরে কনটিনিউ করেনি। আমরাও প্রচারণায় খুব বেশি সময় দিতে পারিনি। কিন্তু অনেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে সিনেমাটি দেখতে চাইছেন। আমরা সিনেমাটি দেশের দর্শকদের দেখাতে চাই। সে জন্য আমরা বিকল্প পথে সিনেমাটির প্রদর্শনী নিয়ে এগোচ্ছি।’
সিনেমার চিত্রগ্রহণ করেছেন আমির হামযা। তাঁর বাড়ি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে। সে কারণে এই চিত্রগ্রাহকের এলাকার আরও কয়েকজনের সহযোগিতায় সিনেমাটির প্রদর্শনী হবে। শামীম বলেন, ‘আগামী ঈদে কুড়িগ্রাম থেকে বিকল্প উপায়ে আমাদের যাত্রা শুরু হবে। কুড়িগ্রামে তিন দিন চলবে সিনেমাটি। বিভিন্ন জেলার দর্শক সিনেমাটি দেখতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। আমাদের ইচ্ছা আছে এরপর আমরা চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী ও আবার ঢাকায় মুক্তি দেব।’
সিনেমার প্রধান চরিত্র ল্যাংড়ার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন বাদশা। ৩৫ জনের মধ্য থেকে তাঁকে বাছাই করা হয়। সিনেমার বাকি চরিত্রের মধ্যে সোহাগী খাতুন, দুলাল মিয়া, সাদেক প্রমুখ। তাদের সবাইকে পরিচালক বস্তিতেই খুঁজে পেয়েছিলেন।
২০১৮ সালে নির্মাণকাজ শুরু করেন তিনি। শুটিংয়ে নানা বাধাবিপত্তি পেরোতে হয়েছে। অর্থাভাবে কখনো শুটিং বন্ধও থেকেছে। শেয়ার বিক্রি করে অর্থ সংস্থান করে সিনেমার কাজ চালিয়ে গেছেন নির্মাতা। ৫৩ জন শেয়ার কিনে সিনেমার অর্থায়নে অবদান রেখেছেন।