তৃতীয় সপ্তাহে ভাগ্য ফিরছে ‘লিপস্টিক’–এর, বেড়েছে হল
এবারের ঈদে মুক্তি পেয়েছে অভিনেতা আদর আজাদ ও অভিনেত্রী পূজা চেরীর আলোচিত সিনেমা ‘লিপস্টিক’। আলোচিত এই কারণে বলা হচ্ছে যে মুক্তির পরই হলসংকটে পড়ে যায় ছবিটি। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন সিনেমা-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাও। ক্ষুব্ধ আদর আজাদ আর পূজা চেরী তো বলেই ফেলেছিলেন, ‘সিন্ডিকেটের কারণেই “লিপস্টিক”-এর হল বিপর্যয়।’ তবে এবার বলতেই হবে, সেই সমস্যা ধীরে ধীরে কাটিয়ে ফেলেছে ‘লিপস্টিক’।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যানুসারে, ঈদের তৃতীয় সপ্তাহে এসে সিনেমাটির হলসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২।
এ বিষয়ে জাতীয় দৈনিক সমকালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেতা আদর আজাদ জানান, ‘ঈদের তৃতীয় সপ্তাহে “লিপস্টিক”-এর হলসংখ্যা বেড়েছে। খুব ভালো লাগছে। প্রথম যখন গল্পটা পড়ি, তখন মনে হয়েছে দারুণ কিছু হবে। সিনেমাটি চলবে। এই ছবির প্রধান আকর্ষণ গল্প। দর্শক পছন্দ করবেন, এমন বিষয়ও আছে সিনেমায়। আমি মনে করি, গল্পের টানেই হলমুখী হচ্ছেন দর্শক। আমাদের আত্মবিশ্বাস ছিল, হল বাড়বে। সেটাই হয়েছে। আশা করি আগামী দিনে হলসংখ্যা আরও বাড়বে।’
পাশাপাশি হলমালিকদের আগ্রহ প্রসঙ্গে অভিনেতা বলেন, ‘দেখুন, দিন শেষে হলের ব্যবসাটাই চান মালিকেরা। “লিপস্টিক”-এর ট্রেলার-টিজার দেখে নওগাঁর তাজ সিনেমা হল থেকে জয়পুরহাটে গিয়েছেন কয়েকজন। ফিরেই নিজেদের হলে সিনেমাটি চালানোর সিদ্ধান্ত নেন। এভাবে অনেক হলমালিকই সিনেমাটি দেখে তাঁদের হলে চালানোর সিদ্ধান্ত নেন। পাশাপাশি রিপিট দর্শকও পাচ্ছি। অনেক দর্শক এই সিনেমা নিয়ে প্রচারণাও চালাচ্ছেন। হল মালিক সমিতির কিছু নেতাও সিনেমাটি নিয়ে ইতিবাচক কথা বলেছেন। সব মিলিয়ে একটি জাগরণ তৈরি হয়েছে।’
পাশাপাশি সিনেমা ঘিরে কোনো ষড়যন্ত্র হয়েছে কি না, প্রশ্নে আদর আজাদ বলেন, ‘পলিটিকস সব জায়গাতেই আছে। সেটা হোক নিজের পরিবার কিংবা বন্ধুবান্ধবের মধ্যে। কিন্তু কী লাভ হলো, পলিটিকস করে তো কেউ হলসংখ্যা কমাতে পারেননি। তাই এসব নিয়ে মাথা ঘামানোর মতো সময় নেই। এই সিনেমা পূজার মতো আমার ক্যারিয়ারেরও ১ নম্বর সিনেমা।’