‘হাওয়া’ দেখতে কলকাতায় দর্শকের ভিড়

মুক্তির তিন মাস পার করছে ‘হাওয়া’ চলচ্চিত্র

চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত সাড়াজাগানো ছবি ‘হাওয়া’। দেশের গণ্ডি পরিয়ে অনেক দিন ধরে বিদেশেও বইছে ‘হাওয়া’। মুক্তির তিন মাস পর এবার ছবিটি কলকাতায় প্রদর্শিত হবে। আজ শুরু হওয়া ‘৪র্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব’ প্রদর্শিত হবে ‘হাওয়া’র চারটি শো। আজ কলকাতার স্থানীয় সময় বেলা ১টায় নন্দন–১ এ প্রথম প্রদর্শন হয়। বাংলাদেশি এই ছবি দেখতে বেলা পৌনে ১১টা থেকে হলের সামনে ভিড় করছে কলকাতার সিনেমাপ্রেমীরা।

‘হাওয়া’ দেখতে হলের সামনে ভিড় করছে কলকাতার সিনেমাপ্রেমীরা

চলচ্চিত্র উৎসব উপলক্ষে চঞ্চল চৌধুরী এখন কলকাতায় আছেন। সেখান থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নন্দন–১–এর সামনের একটা ভিডিও শেয়ার করেন। সেখানে দেখা যায় সব বয়সের দর্শক ছবিটি দেখার জন্য হলের সামনে লাইন ধরে কেউ দাঁড়িয়ে আছেন, কেউ বসে আছেন।

হলের গেট খোলার অপেক্ষায় তাঁরা। উৎসবে সবার জন্য উন্মুক্ত এবং ছবি দেখতে পারবে বিনা মূল্যে। যে আগে আসবে সেই দেখতে পারবে ছবিটি। ছবিটি কেউ মিস করতে চান না, তাই তো সকাল সকাল এসে দাঁড়িয়ে আছেন দর্শক।

হাওয়া সিনেমায় চান মাঝি চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী
ছবি: সংগৃহীত

এর আগে গতকাল রাতে ছবি প্রদর্শনের সময়সূচি জানিয়ে চঞ্চল চৌধুরী একটি ফেসবুকে পোস্ট করেন। সেখানে জানানো হয় ছবিটি আজ শনিবার বেলা ১টায় এবং সন্ধ্যা ৬টায় নন্দন-১ প্রদর্শিত হবে। এরপরের দুটি প্রদর্শন ৩১ অক্টোবর ও ২ নভেম্বর নন্দন-২–এ সন্ধ্যা ৬টায় দেখানো হবে।

‘গুণিন’ সিনেমার মুখ্য দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন শরিফুল রাজ ও পরীমনি
চরকির সৌজন্যে

আজ কলকাতায় ‘৪র্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব’ শুরু হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের ব্যবস্থাপনায় চলচ্চিত্র উৎসবটি চলবে আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কলকাতার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাগৃহ নন্দন-১, ২ ও ৩ হলে বাংলাদেশি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। এ সময় এই হলগুলো দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

কলকাতার রবীন্দ্রসদনের দৃশ্য

আজ বিকেল চারটায় কলকাতার রবীন্দ্রসদনে উৎসবের উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। বিশেষ অতিথি থাকবেন জনপ্রিয় চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ। উৎসবে ‘হাওয়া’, ‘পরাণ’, ‘গুণিন’, ‘বিউটি সার্কাস’, ‘শাটল ট্রেন’সহ বাংলাদেশের ৩৭টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।