বুধবার রাতে এক হয়েছেন পরীমনি-রাজ, ছবি পোস্ট করে দাবি করলেন আরেক নায়িকা
রাত তখন ১২টার কাছাকাছি। গত রাতে এমন সময় ফেসবুকে পোস্টে ভেসে আসে, মান-অভিমান ভুলে এক হয়েছেন তারকা দম্পতি শরীফুল রাজ ও পরীমনি। তার প্রমাণ হিসেবে ফেসবুকে পোস্টের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন পরীমনি, রাজ ও রাজ্যের সঙ্গে তোলা স্ক্রিনশট। এই পোস্ট করেছেন চিত্রনায়িকা শিরিন শিলা। তাঁর সঙ্গে কথা হলে তিনি দাবি করেন, গতকাল রাতেই মান-অভিমান ভুলে এক হয়েছেন রাজ-পরী। রাতে পরীর বাসায় পরী ও রাজ্যের সঙ্গে ছিলেন রাজ।
শিরিন শিলা ও পরীমনি বন্ধু বেশ আগের। ‘মন জানে মনে ঠিকানা’ ছবিতে তাঁদের একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল। সিনেমায় শিরিনের বড় বোনের চরিত্রে অভিনয় করেন পরীমনি। শিরিন বলেন, ‘একসঙ্গে সিনেমার কাজ করার পর থেকে পরীমনিকে বন্ধুর চেয়েও আমার কাছে বেশি বোন মনে হয়। নিয়মিতই আমাদের কথা হতো। তো, গত রাতেও কথা হচ্ছিল। পরী তখন তাঁর বাসায় ছিলেন। কথার ফাঁকে সে একসময় বললেন, রাজের সঙ্গে তার মিটমাট হয়ে গেছে। আমি ওর কথা বিশ্বাস করিনি। বললাম, ‘রাজকে দেখা। আমি স্ক্রিন শট নেব। তখন রাজের সঙ্গে কথা হয়। পরে রাজ্যকে দেখি। তাদের একসঙ্গে দেখে ভালো লাগছিল।’
এই সময় শিরিন শিলা আরও বলেন, ‘আমি রাতেই সুখবরটি সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করতে চেয়েছি। স্ক্রিন শট নিয়ে পরীমনিকে বলেছি, আমি ফেসবুকে এখন শেয়ার করে অভিনন্দন জানাব। পরী তখন বলল কর। কিন্তু রাজ তখনই ফেসবুকে ছবি পোস্ট করতে না করে দিল। যেহেতু পরীমনি আমার বান্ধবী। সে বলেছে পোস্ট করতে, তাই তার কথাই আমি শুনেছি।’ এ সময় তাঁদের সঙ্গে কী কথা হয়েছে জানতে চাইলে শিরিন আরও বলেন, ‘আসলে পরীমনি হুট করেই অনেক সময় হয়তো অনেক কথা বলে থাকে, সিদ্ধান্ত নেয় কিন্তু এটা সে করে অভিমান করে। কদিন ধরে তার সঙ্গে কথা হচ্ছিল, বুঝতে পারছিলাম তার মন রাজকে খুব মিস করছে। ঝগড়া সবারই হয়। কিন্তু তারকা বলে তাদের ঘটনাগুলো বেশি ছড়ায়।’
রাজের সঙ্গে বিয়ের পর মা হওয়া থেকে শুরু করে সবকিছুতে পরীমনির পাশে থেকে মানসিকভাবে সহায়তা করেছেন শিরিন—এমনটাই এই অভিনেত্রী জানান। তাঁদের নিজেদের মধ্যে ব্যক্তিগত জীবনের অনেক কথা ভাগাভাগি করেন। দুজনের কাজের খবরও ফেসবুকে ভাগাভাগি করতেন। কদিন আগে শিরিনের ‘বীরাঙ্গনা’ সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। সেই সিনেমার খবর ফেসবুকে পোস্ট করে শিরিন শিলাকে শুভকামনা জানিয়েছিলেন পরীমনি। শিরিন বলেন, ‘কদিন আগে পরীমনি জানিয়েছিলেন, রাজের সঙ্গে তার ঝামেলা হয়েছে। পরে আমি পরীর ফেসবুক স্ট্যাটাস দেখি, তারা বিচ্ছেদের চিন্তা করছে। তখনই আমি তাকে বলেছিলাম, ফেসবুকে আর কিছু ভাগাভাগি না করতে। সে তো রাগলে কারও কথা শোনে না। তার মন যা চায়, তাই সে করে। আমি সব সময় তাকে বলি, এখন সন্তান-সংসারকে তার গুরুত্ব দেওয়া উচিত।’